ভারত
পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি বন্দিদের জন্য আটককেন্দ্র
কলকাতা প্রতিনিধি
১৪ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি বন্দিদের জন্য আটককেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। অবশ্য শুধুমাত্র শাস্তির মেয়াদ পূর্ণ হওয়া যে সব বন্দিকে নানা জটিলতার কারণে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না সেই সব জানখালাস বন্দীদেরই রাখা হবে এই ডিটেনশন সেন্টারে। জানখালাস বন্দিদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ বাংলাদেশি । এখন দক্ষিণবঙ্গের জন্য দমদম সেন্ট্রাল জেল এবং উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে বহরমপুর সেন্ট্রাল জেলে অস্থায়ী বন্দি শিবির রয়েছে। অস্থায়ী বন্দি শিবিরে বাংলাদেশি এবং অন্য বিদেশিদের একসঙ্গে রাখা হয়েছে। অস্থায়ী শিবিরে জানখালাস বন্দির সংখ্যা এই মুহূর্তে বেশি। তবে রাজ্যের কারা কর্তারা জানিয়েছেন, এনআরসি বা নাগরিক পঞ্জিকে ঘিরে যে ডিটেনশন ক্যাম্প বা অনাগরিক শিবিরের পরিকল্পনা চলছে, জানখালাস বন্দিদের এই সেন্টারের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। অনেক আগেই এই ডিটেনশন সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। কারা দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দু’টি ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হবে। একটি হবে বাংলাদেশিদের জন্য। অন্য সেন্টারে রাখা হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, জিম্বাবোয়ে, পাকিস্তান, মায়ানমারের মতো দেশের জানখালাস বন্দিদের।
কারা কর্মকর্তাদের মতে, বাংলাদেশিদের ভাষা ও খাদ্যাভাসের সঙ্গে অন্যান্য বিদেশির ভাষা ও খাদ্যাভ্যাসের মিল নেই। তাই দু’টি শিবির তৈরি হলে দু’পক্ষের সুবিধা হবে। সেখান থেকেই পৃথক শিবির তৈরির ভাবনা। তবে বাংলাদেশিদের জন্য ডিটেনশন সেন্টারের জন্য সীমান্তের কাছাকাছি বনগাঁয় ডিটেনশন সেন্টারের জন্য অনেক দিন আগেই জমি চিহ্নিত করা হেেলও বতর্মানে সেই জমি নিয়ে জটিলতার কারণে সেই ডিটেনশন সেন্টার তৈরির কাজ আপাতত আটকে রয়েছে। তবে অন্য বিদেশিদের জন্য কলকাতার নিউটাউনে তিন একর জমির উপরে গড়ে তোলা হবে ডিটেনশন সেন্টারটি। এর জন্য জমি চিহ্নিত করার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে।
কারা কর্মকর্তাদের মতে, বাংলাদেশিদের ভাষা ও খাদ্যাভাসের সঙ্গে অন্যান্য বিদেশির ভাষা ও খাদ্যাভ্যাসের মিল নেই। তাই দু’টি শিবির তৈরি হলে দু’পক্ষের সুবিধা হবে। সেখান থেকেই পৃথক শিবির তৈরির ভাবনা। তবে বাংলাদেশিদের জন্য ডিটেনশন সেন্টারের জন্য সীমান্তের কাছাকাছি বনগাঁয় ডিটেনশন সেন্টারের জন্য অনেক দিন আগেই জমি চিহ্নিত করা হেেলও বতর্মানে সেই জমি নিয়ে জটিলতার কারণে সেই ডিটেনশন সেন্টার তৈরির কাজ আপাতত আটকে রয়েছে। তবে অন্য বিদেশিদের জন্য কলকাতার নিউটাউনে তিন একর জমির উপরে গড়ে তোলা হবে ডিটেনশন সেন্টারটি। এর জন্য জমি চিহ্নিত করার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে।