শেষের পাতা
রাঙ্গা অনুতপ্ত, বক্তব্য প্রত্যাহার, তবে...
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি বা গণতন্ত্র দিবস ১০ই নভেম্বরে দেয়া নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। তার ওই বক্তব্যে সর্বত্র যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এ জন্য নূর হোসেনের মায়ের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন। বনানীস্থ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে পঠিত বিবৃতিতে রাঙ্গা বলেন, অনিচ্ছাকৃত ভাবে আমার মুখ থেকে সেদিন নূর হোসেন সম্পর্কে কিছু অযাচিত কথা বেরিয়ে গেছে, যা নূর হোসেনের পরিবারের সদস্যদের মনে আঘাত করেছে, আমি এ জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি আমার বক্তব্যের জন্য অনুতপ্ত। তিনি তার বক্তব্যে নূর হোসেনের মায়ের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি একজন মা। আমিও একজন মায়ের সন্তান। আমি তাকে কষ্ট দিয়েছি।
তিনি কেঁদেছেন, তার চোখের পানি আমি সহ্য করতে পারিনি। আমি তার প্রতি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এটা সত্য যেভাবেই হোক নূর হোসেন মারা গেছেন। মা সন্তানহারা হয়েছেন। তবে সেদিন কেন তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন? তার একটি ব্যাখ্যাও বিবৃতির সূচনাতে দেয়ার চেষ্টা করেন রাঙ্গা। বলেন, প্রতি বছর নূর হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে কয়েকটি সংগঠনের আলোচনা, বক্তব্য এবং বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। এমনকি তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালিও করা হয়। ফলে জাতীয় পার্টির কর্মীদের মধ্যে ক্ষেভের সৃষ্টি হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সেই প্রেক্ষিতে উত্তেজনার মধ্যে বক্তব্য প্রদানকালে আমার মুখ ফসকে কথাগুলো বের হয়ে যায়। নূর হোসেনের পরিবারের প্রতি প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এরশাদ সমব্যাথী ছিলেন দাবি করে জাপা মহাসচিব বলেন, বক্তব্য প্রত্যাহারের পর আশা করি এ নিয়ে আর কোন ভুলবুঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না।
উল্লেখ্য, রোববার জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শহীদ নূর হোসেন ইয়াবা-ফেসসিডিলে আসক্ত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছিলেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি তার বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করেন। তার বক্তব্যে রাজনীতি এবং গণতন্ত্রমনা সাধারণ মানুষের নিন্দার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে সমালোচনার ঝড়। রাঙ্গা নিজে ইবাবা খেয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন কি-না? সেই ট্রলও হয়। তার বক্তব্যের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাস্তায় নামে গণতন্ত্রের পোস্টার খ্যাত শহীদ নূর হোসেনের মা ও পরিবারের সদস্যরা। তারা রাঙ্গার বিচারের ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়ে তাকে জনরোষ থেকে বাঁচতে দেশবাসীর প্রতি নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু রাঙ্গা নূর হোসেনের মায়ের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করলেও সংক্ষুব্দ জনগণের কাছে এখনও ক্ষমা চাননি।
তিনি কেঁদেছেন, তার চোখের পানি আমি সহ্য করতে পারিনি। আমি তার প্রতি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এটা সত্য যেভাবেই হোক নূর হোসেন মারা গেছেন। মা সন্তানহারা হয়েছেন। তবে সেদিন কেন তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন? তার একটি ব্যাখ্যাও বিবৃতির সূচনাতে দেয়ার চেষ্টা করেন রাঙ্গা। বলেন, প্রতি বছর নূর হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে কয়েকটি সংগঠনের আলোচনা, বক্তব্য এবং বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়। এমনকি তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালিও করা হয়। ফলে জাতীয় পার্টির কর্মীদের মধ্যে ক্ষেভের সৃষ্টি হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সেই প্রেক্ষিতে উত্তেজনার মধ্যে বক্তব্য প্রদানকালে আমার মুখ ফসকে কথাগুলো বের হয়ে যায়। নূর হোসেনের পরিবারের প্রতি প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এরশাদ সমব্যাথী ছিলেন দাবি করে জাপা মহাসচিব বলেন, বক্তব্য প্রত্যাহারের পর আশা করি এ নিয়ে আর কোন ভুলবুঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না।
উল্লেখ্য, রোববার জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় শহীদ নূর হোসেন ইয়াবা-ফেসসিডিলে আসক্ত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছিলেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি তার বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করেন। তার বক্তব্যে রাজনীতি এবং গণতন্ত্রমনা সাধারণ মানুষের নিন্দার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে সমালোচনার ঝড়। রাঙ্গা নিজে ইবাবা খেয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন কি-না? সেই ট্রলও হয়। তার বক্তব্যের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাস্তায় নামে গণতন্ত্রের পোস্টার খ্যাত শহীদ নূর হোসেনের মা ও পরিবারের সদস্যরা। তারা রাঙ্গার বিচারের ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়ে তাকে জনরোষ থেকে বাঁচতে দেশবাসীর প্রতি নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু রাঙ্গা নূর হোসেনের মায়ের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করলেও সংক্ষুব্দ জনগণের কাছে এখনও ক্ষমা চাননি।