দেশ বিদেশ

মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে

১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন

মিনিট বা আধা মিনিটের ব্যাপার। এই সময়ের মধ্যেই মেইন লাইন ছেড়ে লুপ লাইনে ঢুকে পড়তো উদয়নের সবকটি বগি। কিন্তু তা আর হয়নি। শেষ ৩টি বগির মাঝেরটিতে আঘাত করে তূর্ণা-নিশীথার ইঞ্জিন। দুর্ঘটনার পর এই বিষয়টি ছিলো আলোচনায়। স্থানীয় লোকজন বলেন, আরেকটু সময় পেলেই হতো। উদয়ন চলে আসতো লুপ লাইনে। দুর্ঘটনাও ঘটতো না।  চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা-নিশীথা ট্রেনটি মঙ্গলবার রাত দুইটা ৪৮ মিনিটে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে এগুতে থাকে তূর্ণা। মন্দবাগ স্টেশন মাস্টার ট্রেনটিকে তার স্টেশনে প্রবেশের আগেই আউটারে থামার সিগন্যাল দেন। কিন্তু তূর্ণার চালক (লোকো মাস্টার) সিগন্যাল না মেনেই ঢুকে পড়েন।  রেলপথ মন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন- তিনি উদয়নের কোন দোষ দেখছেন না। তূর্ণার চালক, সহকারী চালককে সাময়িক বরখাস্ত করার কথাও জানান তিনি।  স্থানীয় লোকজন বলছেন, সিলেটের দিক থেকে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি যদি আর মাত্র ৩০ সেকেন্ড আগে কিংবা চট্টগ্রাম থেকে আসা তূর্ণা-নিশীথা ্র্রেনটি যদি আর মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরে এই লাইন দিয়ে প্রবেশ করতো তাহলে এতবড় একটা দুর্ঘটনা হয়তো ঘটতো না। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্দবাগ স্টেশনের মাস্টার মো. জাকের হোসেন চৌধুরী বলেন- তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটিকে আউটার ও হোমে মেইন লাইনে থামার জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিলো। আর উদয়ন ট্রেনটিকে মেইন লাইন থেকে একনম্বর লুপ লাইনে আসার সিগন্যাল দেয়া হয়েছিল। সেই হিসেবে উদয়ন ট্রেন এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করছিলো। ৬টি বগি ওই লাইন ছেড়ে আসার পর নিশীথা ট্রেনের চালক সংকেত অমান্য করে উদয়ন ট্রেনের ওপর উঠে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status