বিশ্বজমিন
হংকংয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, যোগাযোগ ব্যাহত
মানবজমিন ডেস্ক
১২ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ২:৫২ পূর্বাহ্ন
হংকংয়ে গাড়ি চলাচল বিঘ্নিত করার ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার সারাদিন হংকংয়ের ট্র্যাফিক বিঘ্নিত করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। তাদের এ ঘোষণার পর সহিংসতার আশঙ্কায় শহরটির বহু স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দমাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। বাতিল করে দেয়া হয়েছে একাধিক ট্রেন সেবা। এছাড়া, পিছিয়ে দেয়া হয়েছে অনেক ট্রেন ছাড়ার সময়সূচী। যাত্রীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে মোতায়েন করা হয়েছে দাঙ্গা পুলিশ। সেখানে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, সোমবার থেকে হংকংয়ে তীব্র সহিংস পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ওইদিন পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীরা অপর এক ব্যক্তির গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই আগুন লাগানো হয়েছিল। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হংকংজুড়ে কয়েক ডজন স্কুল নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, শহরের সিটি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটে একাধিক রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেছে।
প্রসঙ্গত, সোমবারও হংকং অচল করে দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল শহরটির প্রধান সড়ক ও বাজারগুলো। এদিন এক বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছে পুলিশ। ফেসবুকে সম্প্রচারিত এক ‘লাইভ ভিডিও’তে ওই ঘটনা ধরা পড়েছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ফুটেজে দেখা যায় যে, হংকংয়ের সাই ওয়ান হো জেলায় মুখোশধারী এক ব্যক্তিকে আটক করার সময় নিজের পিস্তল বের করছেন এক পুলিশকর্মী। এ সময় অপর এক মুখোশধারী ব্যক্তি তার দিকে আগালে তাকে গুলি করে ওই পুলিশকর্মী। বিক্ষোভকারীদের অবরুদ্ধ করে রাখা এক রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই আরো দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে ওই পুলিশ সদস্য। এতে আহত হন আরো এক মুখোশধারী। আহতদের একজন শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে হংকং সরকার এক প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বিলে, হংকং থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডে সন্দেহভাজন আসামীদের প্রত্যর্পণ করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা জানায়, এমনটা হলে হংকংয়ে চীনের প্রভাব বাড়বে। সাবেক বৃটিশ কলোনি হংকং। গত শতকের শেষ দশকে চীনের সঙ্গে যুক্ত হয় অঞ্চলটি। কিন্তু ‘এক দেশ দুই নীতি’ ব্যবস্থার আওতায় বেশকিছুটা স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে তারা। বিক্ষোভকারীদের অবিরাম কর্মসূচির মুখে প্রত্যর্পণ বিলটি বাতিল ঘোষণা করে হংকং কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে বিক্ষোভকারীদের দাবি ততই বেড়েছে। সব দাবি পূরণ করতে অস্বীকৃতি জানায় কর্তৃপক্ষ। চলতে থাকে বিক্ষোভ।
খবরে বলা হয়, সোমবার থেকে হংকংয়ে তীব্র সহিংস পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ওইদিন পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীরা অপর এক ব্যক্তির গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই আগুন লাগানো হয়েছিল। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হংকংজুড়ে কয়েক ডজন স্কুল নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, শহরের সিটি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটে একাধিক রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেছে।
প্রসঙ্গত, সোমবারও হংকং অচল করে দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল শহরটির প্রধান সড়ক ও বাজারগুলো। এদিন এক বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছে পুলিশ। ফেসবুকে সম্প্রচারিত এক ‘লাইভ ভিডিও’তে ওই ঘটনা ধরা পড়েছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ফুটেজে দেখা যায় যে, হংকংয়ের সাই ওয়ান হো জেলায় মুখোশধারী এক ব্যক্তিকে আটক করার সময় নিজের পিস্তল বের করছেন এক পুলিশকর্মী। এ সময় অপর এক মুখোশধারী ব্যক্তি তার দিকে আগালে তাকে গুলি করে ওই পুলিশকর্মী। বিক্ষোভকারীদের অবরুদ্ধ করে রাখা এক রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই আরো দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে ওই পুলিশ সদস্য। এতে আহত হন আরো এক মুখোশধারী। আহতদের একজন শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে হংকং সরকার এক প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বিলে, হংকং থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডে সন্দেহভাজন আসামীদের প্রত্যর্পণ করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা জানায়, এমনটা হলে হংকংয়ে চীনের প্রভাব বাড়বে। সাবেক বৃটিশ কলোনি হংকং। গত শতকের শেষ দশকে চীনের সঙ্গে যুক্ত হয় অঞ্চলটি। কিন্তু ‘এক দেশ দুই নীতি’ ব্যবস্থার আওতায় বেশকিছুটা স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে তারা। বিক্ষোভকারীদের অবিরাম কর্মসূচির মুখে প্রত্যর্পণ বিলটি বাতিল ঘোষণা করে হংকং কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে বিক্ষোভকারীদের দাবি ততই বেড়েছে। সব দাবি পূরণ করতে অস্বীকৃতি জানায় কর্তৃপক্ষ। চলতে থাকে বিক্ষোভ।