শিক্ষাঙ্গন
প্রতিবন্ধীকে মারধর করা সেই ছাত্রলীগ কর্মীকে শোকজ
চবি প্রতিনিধি
১২ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:৫৭ অপরাহ্ন
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শুক্কুর আলমকে মারধরের দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী মোরশেদুল আলম রিফাতকে কারণ দর্শাতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ শোকজ নোটিশ অভিযুক্তকে পাঠানো হয়। আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে রিফাতকে বলা হয়, আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আপনি একা একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে বিনা অপরাধে হাত ও লাঠি দিয়ে মাথায় ও চোখে গুরুতর আঘাত করার ফলে সে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়। এ ধরনের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অতএব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তি-মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তা এই পত্র প্রদানের তিন দিনের মধ্যে অফিস চলাকালীন সময়ে অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য শুনানিসহ লিখিতভাবে জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। অন্যথায় আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো বক্তব্য নাই এবং তদানুযায়ী একতরফাভাবে আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত রিফাতের কারণ দর্শানোর নোটিশটি তার বিভাগ এবং পরিবার বরাবরও পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আমরা তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। দেখামাত্র আটকের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পুলিশকে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। তিন দিনের মধ্যে সন্তোষজনক বক্তব্য না পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবন্ধী ছাত্রসমাজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিসকু) সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে আমরা আশা করছি।
উল্লেখ্য, রোববার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের নুর আলম স্টোরের সামনে শুক্কুর আলমকে মারধর করেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী রিফাত।
নোটিশে রিফাতকে বলা হয়, আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আপনি একা একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে বিনা অপরাধে হাত ও লাঠি দিয়ে মাথায় ও চোখে গুরুতর আঘাত করার ফলে সে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়। এ ধরনের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অতএব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তি-মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তা এই পত্র প্রদানের তিন দিনের মধ্যে অফিস চলাকালীন সময়ে অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য শুনানিসহ লিখিতভাবে জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। অন্যথায় আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো বক্তব্য নাই এবং তদানুযায়ী একতরফাভাবে আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত রিফাতের কারণ দর্শানোর নোটিশটি তার বিভাগ এবং পরিবার বরাবরও পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আমরা তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। দেখামাত্র আটকের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পুলিশকে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। তিন দিনের মধ্যে সন্তোষজনক বক্তব্য না পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবন্ধী ছাত্রসমাজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিসকু) সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে আমরা আশা করছি।
উল্লেখ্য, রোববার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের নুর আলম স্টোরের সামনে শুক্কুর আলমকে মারধর করেন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী রিফাত।