দেশ বিদেশ
নোবিপ্রবিতে ৪১ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১০ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
নোবিপ্রবিতে শিক্ষকের ওপর হামলা সংঘর্ষ, লুট ও ২২টি চাপাতি, ৫টি দা, ৫টি হাতুড়ি, ২০টি স্টিল পাইপ, ১০টি প্লাস্টিকের পাইপ, ১২০টি লৌহার রড, ৬টি ক্রিকেট স্টাম্প, দেশীয় টেডা ১৬টি, ১৬ বোতল বিদেশি মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ৪টি চাকু ও প্রচুর পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার ঘটনায় বহিষ্কারসহ ৪১ ছাত্রলীগকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি-তে), আবাসিক হল ভাঙচুর ও শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় ১৬ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কারসহ মোট ৪১ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকালে রিজন বোর্ডের এক মিটিং শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নিয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বৈঠকে ১৬ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার, ৭ জনকে ২০ হাজার টাকা, ১২ জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সতর্কীকরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১লা সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে প্রকাশ্যে ফাও খানা ও মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও সিটবাণিজ্যের আধিপত্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সফিকুল ইসলাম রবিন গ্রুপ ও সেক্রেটারি এই.এম.ধ্রুব গ্রুপের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি বড় আকার ধারণ করে। এ নিয়ে রোববার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আব্দুস সালাম হলে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গভীর রাত পর্যন্ত উভয় গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন আবার তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এ সময় আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর হলের সহকারী প্রভোস্ট ইকবাল হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আল আমিন শিকদার হামলার শিকার হন। একই সঙ্গে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হলের ১৫-২০টি রুমের দরজা, জানালা, চেয়ার, টেবিল, ফুলের টব এবং বাথরুমের বেসিন ভাঙচুর ও ৫৫ ইঞ্চি টিভি লুট করে। এ সময় হলে থাকা ছাত্রদের ল্যাপটপ, মোবাইল ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়। এতে অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মমিনুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা মামলা করে। পরদিন ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আবদুস সালাম হলে অভিযান চালিয়ে হল থেকে ২২টি চাপাতি, ৫টি দা, ৫টি হাতুড়ি, ২০টি স্টিল পাইপ, ১০টি প্লাস্টিকের পাইপ, ১২০টি লৌহার রড, ৬টি ক্রিকেট স্টাম্প, দেশীয় টেঁটা ১৬টি, ১৬ বোতল বিদেশি মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ৪টি চাকু ও প্রচুর পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন। এদিকে আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় দোষী সব শিক্ষার্থীর নাম ও পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে জানায়।