ভারত

অযোধ্যা মামলার বৃত্তান্ত (১৫২৮-২০১৯)

কলকাতা প্রতিনিধি

৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

ফাইল ফটো

১৫২৮: মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপ্রধান মীর বাকী বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন।

১৮৮৫ : মহন্ত রঘুবীর দাসবাবরি মসজিদেও বাইরে একটি অস্থায়ী মন্দির তৈরির দাবি জানান। ফৈজাবাদ কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

১৯৪৯:  বিতর্কিত কাঠামোর বাইওে কেন্দ্রীয ডোমের নীচে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হয়।

১৯৫০: জনৈক গোপাল সিমলা বিশারদ রাম লালার মূর্তি পূজার জন্য জানিয়ে ফৈজাবাদ জেলা কোর্টে  আবেদন জানান।

১৯৫৯: এলাকার অধিকার দাবি করে নির্মোহী আখড়া মামলা করে।

১৯৬১: উত্তরপ্রদেশের সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডও এলাকার অধিকার জানিয়ে পাল্টা আবেদন করে।

১৯৮৬ (১ অক্টোবর): স্থানীয় আদালত সরকারকে এক নির্দেশে হিন্দুদের পূজা করার অনুমতি দিয়ে রামলালা যেখানে রয়েছে তার গেট খুলে দিতে বলে।

১৯৮৯: ভগবান শ্রী রামলীলা বিরাজমানের পক্ষে তার সখা এলাহাবাদ হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি দেওকী নন্দন আগরওয়াল আদালতে মামলা করেন।

১৯৯০ (২৫ সেপ্টেম্বর): অযোধ্যায় রামমন্দিও নির্মানের লক্ষ্যে  বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানী গুজরাটের সোমনাথ থেকে দেশব্যাপী রথযাত্রা শুরু করেন।  

১৯৯২ (৬ ডিসেম্বর): বিজেপি নেতাদের নেতৃত্বে করসেবকদের একটি দল উন্মত্ততার সঙ্গে বাবরি মসজিদকে ধুলিসাৎ করে দেয়।

১৯৯৪ (২৪ অক্টোবর): সুপ্রিম কোর্ট ইসলাম ফারুকির মামলায় এক ঐতিহাসিক রায়ে প্রথম জানায় যে, মসজিদ ইসলাম ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়।

২০০২ (এপ্রিল): এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিতর্কিত স্থানের মালিকানা সংক্রান্ত মামলার শুনানী শুরু করে।

২০১০ (৩০ সেপ্টেম্ব): এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২:১ সংখ্যাধিক্যের রায়ে বিতর্কিত জমিকে সুন্নী ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রামলালার মধ্যে তিনভাবে ভাগ করার নির্দেশ দেয়।

২০১১ (৯ মে): সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার ভ’মি বিবাদ নিয়ে এলাহাবাদ হাইকের্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।

২০১৭ (২১ মার্চ): সুপ্রিম কোর্টেও তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে কোর্টের বাইরে সমাধান খোঁজার কথা বলেন।

২০১৭ (১ ডিসেম্বর: ২০১০ সালের এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ কওে ৩২ জন সিভিল রাইটস অ্যক্টিভিস্ট মামলা করে।

২০১৯ (৮ জানুয়ারি): সুপ্রিম কোট অযোধ্যার বিতর্কিত ভূমি বিবাদ মামলার শুনানীর জন্য প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, শরদ অরবিন্দ বোরদে, এন ভি রমন, ইউ ইউ ললিত ও ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে ৫ সদস্যের সংবিধান বেঞ্চ গঠন করে।

২০১৯ (২৫ জানৃুয়ারি): বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এই মামলা থেকে সওে দাঁড়ানোয় সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান বেঞ্জ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, শরদ অরবিন্দ বোরদে, এস আব্দুল নাজির, অশোক ভ’ষন ও ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে পুনর্গঠন করে।

২০১৯ (২৬ ফেব্রুয়ারি): সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতার কথা জানায়। তিন সদস্যের মথ্যস্থতাকারী কমিটি তৈরি কওে দেয়।

২০১৯ (৯ মে): মধ্যস্থতাকারী কমিটি সুপ্রিম কোর্ঠে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করে।

২০১৯ (১ আগষ্ট): মধ্যস্থতাকারী কমিটি সিলকরা ঘামে আদালতে তাদেও রিপোর্ট জমা দেয়।

২০১৯ (৬ আগষ্ট): সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা ভূমি বিবাদ মামলার প্রতিদিন শুনানীর কথা ঘোষনা করে।

২০১৯ (১৬ অক্টোবর): শুনানী শেষ ঘেঅষনা কওে আদালত রায় সংরক্ষিত রাখে।

২০১৯ (৯ নভেম্বর): চূড়ান্ত রায় ঘোষণা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status