খেলা

জন্মস্থানেও তারকা নন রোহিত শর্মা!

ইশতিয়াক পারভেজ, নাগপুর (ভারত) থেকে

৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

নাগপুরের ছেলে রোহিত শর্মা। এখানেই জন্ম তার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু সকালে টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ নাগপুরের বেশ কয়েকটি দৈনিকের প্রথম পাতায় চোখে পড়েনি বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের খবর। তবে খেলার পাতায় বড় করে সংবাদ শিরোনাম- ‘রোহিত সাইক্লোন হিটস এসসিএ।’ তার মানে স্পষ্ট গুজরাটের রাজকোটে সাইক্লোন মাহা আঘাত হানেনি, তবে আঘাত হেনেছে রোহিতের ব্যাট। ওই ম্যাচে জয় নিয়ে রোহিত রোমাঞ্চ জমিয়ে রেখেছেন নিজ মাঠের জন্য। তাই নাগপুর জুড়ে এখন অপেক্ষা রোহিতের আরেকটি সাইক্লোন আঘাতের। বলার অপেক্ষা নিজের শহরের চেনা-জানা মাঠে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন বারবার বাংলাদেশের স্বপ্নে বাধা হওয়া রোহিত। তবে জন্মস্থানে তাকে নিয়ে নেই তেমন কোনো উচ্ছ্বাস। এমনকি তাকে এই শহরের তারকা মানতেও নারাজ নাগপুরের মানুষ। কারণটা জানালেন নাগপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মিডিয়া ম্যানেজার শারদ পধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আসলে রোহিতের জন্ম নাগপুরে হলেও তিনি এই শহরের নয়। এটি তার নানা-নানির বাড়ি। এমনকি তিনি কখনো নাগপুরের হয়ে খেলেননি। তিনি খেলেছেন মুম্বইয়ের হয়ে। যে কারণে এখনকার মানুষ তাকে নিজেদের তারকা বলে দাবি করতে চান না। তবে এটি সত্যি তিনি ভারত ক্রিকেটে অনেক বড় তারকা।’
নিজের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রাজকোটে রোহিত হাঁটছিলেন শতকের দিকেই। কিন্তু তরুণ বিল্পব থামান সেই ঝড়। ৪৩ বলে ৮৫ রান করেন রোহিত শর্মা। তবে নাগপুরে তাকে নিয়ে আবেগ নেই তার ইঙ্গিত পাওয়া গেলো মোবাইলের দোকানে রিচার্জ করতে গিয়ে। রোহিতের শহর কথাটা শুনতেই কেমন জানি বিরক্ত হলে দোকানের মালিক। বাংলাদেশের সংবাদ কর্মী পরিচয় পেয়ে ধিরজ চৌহান হিন্দিতে যা বললেন তার অর্থ - ‘কাল (গতকাল) ভারতকে লজ্জা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন রোহিত। ভয়ই পেয়েছিলাম। বাংলাদেশ দল দারুণ খেলে। ওদের কাছে না হেরেই যায় দল। তবে তোমাকে একটা কথা বলে দিচ্ছি রোহিতের প্রোফাইলে নাগপুর লেখা থাকলেও ও কিন্ত আমাদের হয়ে কখনোই খেলেনি। আমরা আসলে ওকে ভারতেরই তারকা ক্রিকেটার মনে করি। তবে আমাদের নাগপুরের নয়। তবে হ্যা, ওর মায়ের এখানেই জন্ম। কিন্তু ও (রোহিত) আমাদের নাগপুরের ক্রিকেটের জন্য বড় তারকা নয়।’ পেসার উমেশ যাদবকেই ভারতীয় দলে নাগপুরের প্রতিনিধি মনে করেন স্থানীয়রা।
রোহিতের পিতা গুরুনাথ শর্মা ছিলেন ট্রান্সপোর্ট ফার্মের সাধারণ কর্মচারি। তাই অনেকটা দরিদ্র পরিবারেই বড় হন এই ব্যাটসম্যান। অর্থাভাব হলেও ছোটবেলা থেকেই তার ক্রিকেটের প্রতি অসম্ভব ভালবাসা ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতেন ক্রিকেট খেলেই। পরিবারের সাহায্যও পেয়েছিলেন। তার চাচারাও স্কুল-কলেজের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। তার শুরুটা হয়েছিল অফস্পিনার হিসেবে। তবে কোচের পরামর্শে ব্যাটিংয়ে মন দেন। ব্যাটিং অর্ডারে ৮ নম্বর থেকে তুলে এনে সোজা পাঠিয়েছিলেন ওপেন করতে। ‘হ্যারিস অ্যান্ড জাইলস শিল্ড’ স্কুল ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে অভিষেক ম্যাচেই অপরাজিত ১২০ রান করে বসেন রোহিত শর্মা। ২০০৭-এ ভারত দলে তার অভিষক হয় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। অবশ্য টেস্ট অভিষেক হয় ২০১৩তে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ২১৮ ম্যাচে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ২৭টি। এর মধ্যে ডাবল সেঞ্চুরিই দুটি। ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ২৬৪ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪তে।




 
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status