প্রথম পাতা
মইন উদ্দীন খান বাদল আর নেই
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৮ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের সংসদ সদস্য ও জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল আর নেই (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। বৃহসপতিবার ভোর ৫টার দিকে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু দেবী শেঠীর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সের মজুমদার ইউনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মইন উদ্দীন খান বাদল ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। প্রখ্যাত এই রাজনীতিবিদ তিনবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নেয়ামত উল্লাহ জানান, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন মইন উদ্দীন খান বাদল। চিকিৎসার জন্য গত ১৮ই অক্টোবর তিনি ভারতের ব্যাঙ্গালুরু যান। সেখানে দেবী শেঠী হাসপাতালের মজুমদার ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান তিনি।
বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আছিয়া খাতুন বলেন, একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদকে আমরা হারালাম। স্যার অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। এমন মানুষ সমাজে খুবই বিরল। অনুসারী নেতাকর্মীরা জানান, কর্ণফুলী নদীর উপর বৃটিশ আমলে নির্মিত রেল কাম সড়ক সেতু জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে এ জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণের স্বপ্ন ছিল তার। এ জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল। গত ২৫শে জুন তিনি জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ না হলে সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, কালুরঘাটে একটি নতুন সেতুর জন্য আমি এলাকায় মুখ দেখাতে পারি না। মানুষ আমার মরা মা তুলে গালি দেয়। আমি এটা আর সহ্য করবো না। যদি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর কোনো সুরাহা না হয়, তাহলে আমি এ সংসদ থেকে পদত্যাগ করবো।
মইন উদ্দীন খান বাদলের ছোট ভাই মনির খান জানান, ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই নেতা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বাঙালিদের ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্তান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মৌলভী সৈয়দের সঙ্গে কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। জাসদ, বাসদ হয়ে পুনরায় জাসদে আসেন। মইন উদ্দীন খান বাদল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) শরীফ-আম্বিয়া অংশের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নেয়ামত উল্লাহ জানান, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন মইন উদ্দীন খান বাদল। চিকিৎসার জন্য গত ১৮ই অক্টোবর তিনি ভারতের ব্যাঙ্গালুরু যান। সেখানে দেবী শেঠী হাসপাতালের মজুমদার ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান তিনি।
বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আছিয়া খাতুন বলেন, একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদকে আমরা হারালাম। স্যার অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। এমন মানুষ সমাজে খুবই বিরল। অনুসারী নেতাকর্মীরা জানান, কর্ণফুলী নদীর উপর বৃটিশ আমলে নির্মিত রেল কাম সড়ক সেতু জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে এ জায়গায় নতুন সেতু নির্মাণের স্বপ্ন ছিল তার। এ জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল। গত ২৫শে জুন তিনি জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ না হলে সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, কালুরঘাটে একটি নতুন সেতুর জন্য আমি এলাকায় মুখ দেখাতে পারি না। মানুষ আমার মরা মা তুলে গালি দেয়। আমি এটা আর সহ্য করবো না। যদি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর কোনো সুরাহা না হয়, তাহলে আমি এ সংসদ থেকে পদত্যাগ করবো।
মইন উদ্দীন খান বাদলের ছোট ভাই মনির খান জানান, ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই নেতা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বাঙালিদের ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্তান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মৌলভী সৈয়দের সঙ্গে কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। জাসদ, বাসদ হয়ে পুনরায় জাসদে আসেন। মইন উদ্দীন খান বাদল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) শরীফ-আম্বিয়া অংশের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।