বিশ্বজমিন
থাইল্যান্ডে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ১৫
মানবজমিন ডেস্ক
৭ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
থাইল্যান্ডে সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো চার জন। দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা এটি। নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্যও আছেন। মঙ্গলবার রাতে মুসলিম অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় ইয়ালা প্রদেশের এক তল্লাসিচৌকিতে এই হামলা হয়। ২০০৪ সাল থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় অঞ্চলটিতে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, হামলাকারীরা হামলায় বন্দুকের পাশাপাশি বিস্ফোরকও ব্যবহার করেছে। পালানোর সময় রাস্তায় পেরেক ফেলে যায়, যাতে তাদের পিছু করা কঠিন হয়ে পড়ে। হামলায় একজন পুলিশ সদস্য ও বেশ কয়েকজন গ্রাম্য প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
কোনো দল এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি। এছাড়া, হামলাকারীদের স¤পর্কে কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। তবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র কর্নেল প্রামোতে প্রম-ইন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এর পেছনে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জড়িত থাকতে পারে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে হওয়া সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর একটি এটি।
কারা এই সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী?
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ইতিহাস শুরু হয় আরো একশ বছরেরও বেশি সময় আগে। থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল তখন সুলতানি শাসনাধীন। অঞ্চলটি তৎকালীন সময়ে পাতানি নামে পরিচিত ছিল। অঞ্চলের বেশিররভাগ জনসংখ্যাই ছিল মালয় মুসলিম। তবে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে পাতানি থাইল্যান্ডের অংশ হয়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক স্বাধীন বিশ্লেষক রাংগ্রাওয়ি চালের্মস্রিপিনিয়োরাত বিবিসিকে জানান, থাইল্যান্ডের অন্যান্য অংশের চেয়ে সাংস্কৃতিক, জাতিগত বা ধর্মীয়ভাবে ভিন্ন ছিলেন মালয় মুসলিমরা। তারা ‘সাংস্কৃতিক আত্তীকরণের বিরুদ্ধে’ লড়াই শুরু করে। অঞ্চলটিকে স্বাধীন ঘোষণার দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। কিন্তু তাদের কঠোরভাবে দমন করা হয়। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় তাদের বিদ্রোহ স্তিমিত থাকে। অঞ্চলটিতে শান্ত পরিস্থিতি বজায় থাকে।
তবে ২০০৪ সাল থেকে সহিংস হয়ে ওঠে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল। ওই বছর চার প্রহরীকে হত্যা করে সেনাবাহিনীর এক অস্ত্রভাণ্ডার থেকে ৪০০ আক্রমণ রাইফেল চুরি করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। কর্তৃপক্ষ এজন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে। এরপর থেকে অঞ্চলটিতে প্রায়ই অস্থিরতা বজায় রয়েছে। তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিদ্রোহী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ হাজার বেসামরিক।
খবরে বলা হয়, হামলাকারীরা হামলায় বন্দুকের পাশাপাশি বিস্ফোরকও ব্যবহার করেছে। পালানোর সময় রাস্তায় পেরেক ফেলে যায়, যাতে তাদের পিছু করা কঠিন হয়ে পড়ে। হামলায় একজন পুলিশ সদস্য ও বেশ কয়েকজন গ্রাম্য প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
কোনো দল এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি। এছাড়া, হামলাকারীদের স¤পর্কে কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। তবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র কর্নেল প্রামোতে প্রম-ইন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এর পেছনে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জড়িত থাকতে পারে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে হওয়া সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর একটি এটি।
কারা এই সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী?
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ইতিহাস শুরু হয় আরো একশ বছরেরও বেশি সময় আগে। থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল তখন সুলতানি শাসনাধীন। অঞ্চলটি তৎকালীন সময়ে পাতানি নামে পরিচিত ছিল। অঞ্চলের বেশিররভাগ জনসংখ্যাই ছিল মালয় মুসলিম। তবে বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে পাতানি থাইল্যান্ডের অংশ হয়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক স্বাধীন বিশ্লেষক রাংগ্রাওয়ি চালের্মস্রিপিনিয়োরাত বিবিসিকে জানান, থাইল্যান্ডের অন্যান্য অংশের চেয়ে সাংস্কৃতিক, জাতিগত বা ধর্মীয়ভাবে ভিন্ন ছিলেন মালয় মুসলিমরা। তারা ‘সাংস্কৃতিক আত্তীকরণের বিরুদ্ধে’ লড়াই শুরু করে। অঞ্চলটিকে স্বাধীন ঘোষণার দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। কিন্তু তাদের কঠোরভাবে দমন করা হয়। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় তাদের বিদ্রোহ স্তিমিত থাকে। অঞ্চলটিতে শান্ত পরিস্থিতি বজায় থাকে।
তবে ২০০৪ সাল থেকে সহিংস হয়ে ওঠে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল। ওই বছর চার প্রহরীকে হত্যা করে সেনাবাহিনীর এক অস্ত্রভাণ্ডার থেকে ৪০০ আক্রমণ রাইফেল চুরি করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। কর্তৃপক্ষ এজন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে। এরপর থেকে অঞ্চলটিতে প্রায়ই অস্থিরতা বজায় রয়েছে। তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিদ্রোহী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ হাজার বেসামরিক।