দেশ বিদেশ
টিকাদানে সফল হওয়ার কারণেই মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে
স্টাফ রিপোর্টার
৭ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের গড় আয়ু এক দশক আগেও ছিল ৬০ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছরে দাঁড়িয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম সফল হওয়ার কারণেই এই সফলতা এসেছে। গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর ‘ভ্যাকসিন হিরো ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এক সময় ভালোভাবে দেশে টিকাদান কর্মসূচি সম্পন্ন হতো না। এখন শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় টিকা দেয়ার কারণে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। আগে প্রতি হাজারে ১৪০ শিশুর মৃত্যু হত। বর্তমানে সেই সংখ্যা শুধু ৪০ জনে নেমে এসেছে। বর্তমানে আমরা প্রায় তিন লাখ শিশুর অপমৃত্যু ঠেকাতে পারছি। তাছাড়া ঠিকমতো টিকা নেয়ার কারণে পোলিওসহ আরো অন্য দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। মন্ত্রী আরো বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়া বন্ধ করতে হবে।
নরমাল ডেলিভারি করাতে না পারলে শিশু মৃত্যুর হার আশানুরূপভাবে কমবে না। এসডিজি অর্জন করতে হলে আমাদের শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ১৩ জনের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। দেশে বাল্যবিয়ের প্রচলন এখনো বন্ধ হয়নি। এটি বন্ধ করতে না পারলে মা ও শিশু উভয়ের মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হবে না। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত সবাইকে আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব জনবল আমরা নিয়োগ দিচ্ছি ও দেবো। তাদের মানোন্নয়নেও আমরা কাজ করবো। শুধুমাত্র আপনারা আন্তরিকভাবে কাজ করে যান। বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী এ অনুষ্ঠানকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে টিকাদান কর্মসূচিতে সংযুক্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুভেচ্ছা প্রদান করেন এবং বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে পুরস্কৃত করেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ. খ. ম. মহিউল ইসলাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জাং রানা, ইউনিসেফ-এর বাংলাদেশের উপ-প্রতিনিধি ভিরা ম্যান্ডনকা প্রমুখ।। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রমের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন কর্তৃক ‘ভ্যাকসিন হিরো ২০১৯’ সম্মাননায় ভূষিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নরমাল ডেলিভারি করাতে না পারলে শিশু মৃত্যুর হার আশানুরূপভাবে কমবে না। এসডিজি অর্জন করতে হলে আমাদের শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ১৩ জনের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। দেশে বাল্যবিয়ের প্রচলন এখনো বন্ধ হয়নি। এটি বন্ধ করতে না পারলে মা ও শিশু উভয়ের মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হবে না। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত সবাইকে আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব জনবল আমরা নিয়োগ দিচ্ছি ও দেবো। তাদের মানোন্নয়নেও আমরা কাজ করবো। শুধুমাত্র আপনারা আন্তরিকভাবে কাজ করে যান। বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী এ অনুষ্ঠানকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে টিকাদান কর্মসূচিতে সংযুক্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুভেচ্ছা প্রদান করেন এবং বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে পুরস্কৃত করেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ. খ. ম. মহিউল ইসলাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জাং রানা, ইউনিসেফ-এর বাংলাদেশের উপ-প্রতিনিধি ভিরা ম্যান্ডনকা প্রমুখ।। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রমের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন কর্তৃক ‘ভ্যাকসিন হিরো ২০১৯’ সম্মাননায় ভূষিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।