এক্সক্লুসিভ
নাচ-গানে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনকে না
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৭ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
‘মধু হই হই আরে বিষ খাওয়াইলা’-গানটি গেয়ে কিছুদিন আগে নেট জগতে ভাইরাল চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। কিন্তু তার এই নাচ-গান সুনজরে দেখেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন এবং জানিয়ে দেন ভবিষ্যতে এভাবে আর নাচ-গান করা যাবে না। বিষয়টি স্বীকার করেছেন সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমার তো শত্রুর অভাব নেই। তারা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়েছে আমার ব্যক্তিত্ব নেই, আমি ব্যক্তিত্বহীন। ব্যক্তিত্বের কারণে এই পদে থেকে নাচ-গান করা যাবে না। তিনি বলেন, সিভিল সার্জন পোস্টটা তো অনেক বড়। এই পদে থেকে কখনোই এ ধরনের কিছু করা যাবে না এটাই আমাকে বোঝানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, আপনাকে এবারের মতো মাফ করা হয়েছে, সামনে নাচ-গান করলে আমরা আর আপনাকে সেফ করতে পারবো না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, সিভিল সার্জন গাড়িতে বসে যে গানটি করেছেন সেটা তেমন দোষের নয়। অন্য গানের জন্য তাকে নাচ-গান করতে না করা হয়েছে। একটি সুইমিং পুলে হাফপ্যান্ট পরে ‘মেরে আঙ্গেনে মে তুমহারা কিয়া কাম হায়’ গানটি দৃষ্টিকটু হয়েছে।
একটা দায়িত্বশীল পদে থেকে কোনো সুস্থ মানুষ এভাবে নেচে-গেয়ে গান করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিতে পারেন না। আমরা উনাকে তার অবস্থা, অবস্থান এবং সুস্থধারার আচরণের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি মাত্র। এদিকে সিভিল সার্জনের নাচ-গান না করার বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি সংস্কৃতি জগতের অনেকেই। চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সংগঠক সাইদুল ইসলাম বলেন, সিভিল সার্জন তো দুর্নীতি করেননি। মানসিক প্রশান্তির জন্য একটু নাচ-গান করেছেন। এতে বাধা দেয়া ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল।
সাইদুল ইসলাম বলেন, নাচ-গান করলে ব্যক্তিত্ব চলে যায় বা ব্যক্তিত্বহীন মানুষ নাচ-গান করে এটা প্রথম শুনলাম। এমন যদি হতো নাচ-গানের জগতে এত ব্যক্তিত্ব জন্ম নিতো না। এক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বের সংজ্ঞা কী তাও জানতে চান এই সংগঠক।
উল্লেখ্য, গত ৩০শে অক্টোবর চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, একটি পাজেরো গাড়ির ভেতরে বসা অবস্থায় হাততালি দিয়ে চট্টগ্রামের জনপ্রিয় আঞ্চলিক গান ‘মধু হই হই আরে বিষ খাওয়াইলা’ গানটি করেন। তার সঙ্গে একই সুরে গানটি করেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন অন সুই প্রু মারমাও। আর তাদের এই গানের ভিডিওটি ধারণ করেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন শওকত উল্লাহ।
গানটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকীর ফেসবুক ওয়াল থেকে বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত ভিডিওটি দেখেছেন ১ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। লাইক পড়েছে ২ হাজার ২০০, মন্তব্য এসেছে ৫৭টি এবং শেয়ার করেছেন ১২০০ ফেসবুক ব্যবহারকারী। এর বাইরে অসংখ্য ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিজের মতো করে ফেসবুকে আপলোড করেছেন।
সেদিন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, হবিগঞ্জে সিভিল সার্জনদের সম্মেলনে অংশ নেয়া শেষে ফেরার পথে কুমিল্লায় গাড়িতে দুষ্টুমির ছলে গানটি গেয়েছেন। পরে মজা করেই গানটি ফেসবুকে আপলোড করেছেন।
এর আগে গত ২৮শে অক্টোবর চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী আরেকটি ভিডিও নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেন। যেখানে তাকে একটি কিডস সুইমিংপুলে নাচতে-গাইতে দেখা যায়। তবে ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায় সবাই সিভিল সার্জনদের এই গান গাওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। এদিকে ব্যক্তিজীবনে বিয়ে করেননি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। কুমিল্লায় থাকাবস্থায় তিনি গড়ে তুলেছেন চিরকুমার সমিতি। বিয়ে, প্রেম-ভালোবাসা সমপর্কে তিনি বলেন, মনের মতো কাউকে পাইনি বলে বিয়ে করিনি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, সিভিল সার্জন গাড়িতে বসে যে গানটি করেছেন সেটা তেমন দোষের নয়। অন্য গানের জন্য তাকে নাচ-গান করতে না করা হয়েছে। একটি সুইমিং পুলে হাফপ্যান্ট পরে ‘মেরে আঙ্গেনে মে তুমহারা কিয়া কাম হায়’ গানটি দৃষ্টিকটু হয়েছে।
একটা দায়িত্বশীল পদে থেকে কোনো সুস্থ মানুষ এভাবে নেচে-গেয়ে গান করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিতে পারেন না। আমরা উনাকে তার অবস্থা, অবস্থান এবং সুস্থধারার আচরণের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি মাত্র। এদিকে সিভিল সার্জনের নাচ-গান না করার বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি সংস্কৃতি জগতের অনেকেই। চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সংগঠক সাইদুল ইসলাম বলেন, সিভিল সার্জন তো দুর্নীতি করেননি। মানসিক প্রশান্তির জন্য একটু নাচ-গান করেছেন। এতে বাধা দেয়া ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল।
সাইদুল ইসলাম বলেন, নাচ-গান করলে ব্যক্তিত্ব চলে যায় বা ব্যক্তিত্বহীন মানুষ নাচ-গান করে এটা প্রথম শুনলাম। এমন যদি হতো নাচ-গানের জগতে এত ব্যক্তিত্ব জন্ম নিতো না। এক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বের সংজ্ঞা কী তাও জানতে চান এই সংগঠক।
উল্লেখ্য, গত ৩০শে অক্টোবর চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, একটি পাজেরো গাড়ির ভেতরে বসা অবস্থায় হাততালি দিয়ে চট্টগ্রামের জনপ্রিয় আঞ্চলিক গান ‘মধু হই হই আরে বিষ খাওয়াইলা’ গানটি করেন। তার সঙ্গে একই সুরে গানটি করেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন অন সুই প্রু মারমাও। আর তাদের এই গানের ভিডিওটি ধারণ করেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন শওকত উল্লাহ।
গানটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকীর ফেসবুক ওয়াল থেকে বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত ভিডিওটি দেখেছেন ১ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। লাইক পড়েছে ২ হাজার ২০০, মন্তব্য এসেছে ৫৭টি এবং শেয়ার করেছেন ১২০০ ফেসবুক ব্যবহারকারী। এর বাইরে অসংখ্য ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিজের মতো করে ফেসবুকে আপলোড করেছেন।
সেদিন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, হবিগঞ্জে সিভিল সার্জনদের সম্মেলনে অংশ নেয়া শেষে ফেরার পথে কুমিল্লায় গাড়িতে দুষ্টুমির ছলে গানটি গেয়েছেন। পরে মজা করেই গানটি ফেসবুকে আপলোড করেছেন।
এর আগে গত ২৮শে অক্টোবর চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী আরেকটি ভিডিও নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেন। যেখানে তাকে একটি কিডস সুইমিংপুলে নাচতে-গাইতে দেখা যায়। তবে ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রায় সবাই সিভিল সার্জনদের এই গান গাওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। এদিকে ব্যক্তিজীবনে বিয়ে করেননি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। কুমিল্লায় থাকাবস্থায় তিনি গড়ে তুলেছেন চিরকুমার সমিতি। বিয়ে, প্রেম-ভালোবাসা সমপর্কে তিনি বলেন, মনের মতো কাউকে পাইনি বলে বিয়ে করিনি।