বিশ্বজমিন
কারবালায় ইরানি কনস্যুলেটে বিক্ষোভকারীদের হামলা, নিহত ৩
মানবজমিন ডেস্ক
৪ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র শহর কারবালায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছে ইরাকের সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রোববার রাতে কনক্রিটের প্রাচীর টপকে কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশ করে হামলাকারীরা। এ সময় ইরাকি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩ জন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে সেখানে উড্ডয়নরত ইরানি পতাকা পুড়িয়ে তার জায়গায় একটি ইরাকি পতাকা লাগিয়ে দেয়। এছাড়া, কনস্যুলেট ভবনের চারপাশে অবস্থান নিয়ে ভবনের ভেতর পাথর ছুড়ে মেরেছে বিক্ষোভকারীরা। অনেকে ভবন সংলগ্ন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়েছে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
খবরে বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে ওই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, কারবালায় পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরাক সরকার।
গত মাসের শুরুর দিক থেকেই ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। দেশটিতে আইএস’র পরাজয়ের পর থেকে চলমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে তারা। তারা অভিযোগ তুলেছে, অভিজাত শ্রেণির নেতারা দেশের সমপদ লুটে খাচ্ছে। দেশজুড়ে সৃষ্ট বেকারত্ব, অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করছে ইরাকিরা। তারা ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি সরকারের পতনের দাবি জানিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান জনরোষের মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট আগাম নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আরো জানিয়েছেন, বিকল্প কাউকে খুঁজে পাওয়া গেলেই পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন মাহদি। তবে তাতেও থামছে না বিক্ষোভ।
ইরাক সরকারের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ইরান ও তাদের সমর্থিত মিলিশিয়াদের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিক্ষোভকারীরা। প্রাণঘাতী এই বিক্ষোভে ইতিমধ্যে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিক্ষোভকারীদের দমাতে ইরান সমর্থিত স্নাইপার ও মিলিশিয়া মোতায়েন করা হয়েছিল। তারা বিক্ষোভকারীদের দূর থেকে বুকে ও মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী।
সময় যত গড়াচ্ছে, বিক্ষোভ ততই জোরালো হচ্ছে। বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বাগদাদের বেশির ভাগ মূল সড়ক ও হাইওয়ে। বিক্ষোভকারীরা এখন সরকারের পদত্যাগের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছে। ক্লাস বাদ দিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে হাজার হাজার স্কুল শিক্ষার্থীও। রোববার প্রধানমন্ত্রী মাহদি বিক্ষোভকারীদের প্রতি রাস্তা খুলে দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলার সময় হয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এই বিক্ষোভ। এর আগে অবশ্য তিনি পার্লামেন্টে রদবদল সহ নানা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তাতে সন্তুষ্ট হয়নি বিক্ষোভকারীরা।
খবরে বলা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে ওই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, কারবালায় পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরাক সরকার।
গত মাসের শুরুর দিক থেকেই ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। দেশটিতে আইএস’র পরাজয়ের পর থেকে চলমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে তারা। তারা অভিযোগ তুলেছে, অভিজাত শ্রেণির নেতারা দেশের সমপদ লুটে খাচ্ছে। দেশজুড়ে সৃষ্ট বেকারত্ব, অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করছে ইরাকিরা। তারা ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি সরকারের পতনের দাবি জানিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান জনরোষের মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট আগাম নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আরো জানিয়েছেন, বিকল্প কাউকে খুঁজে পাওয়া গেলেই পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন মাহদি। তবে তাতেও থামছে না বিক্ষোভ।
ইরাক সরকারের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ইরান ও তাদের সমর্থিত মিলিশিয়াদের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিক্ষোভকারীরা। প্রাণঘাতী এই বিক্ষোভে ইতিমধ্যে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিক্ষোভকারীদের দমাতে ইরান সমর্থিত স্নাইপার ও মিলিশিয়া মোতায়েন করা হয়েছিল। তারা বিক্ষোভকারীদের দূর থেকে বুকে ও মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী।
সময় যত গড়াচ্ছে, বিক্ষোভ ততই জোরালো হচ্ছে। বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বাগদাদের বেশির ভাগ মূল সড়ক ও হাইওয়ে। বিক্ষোভকারীরা এখন সরকারের পদত্যাগের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছে। ক্লাস বাদ দিয়ে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে হাজার হাজার স্কুল শিক্ষার্থীও। রোববার প্রধানমন্ত্রী মাহদি বিক্ষোভকারীদের প্রতি রাস্তা খুলে দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলার সময় হয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এই বিক্ষোভ। এর আগে অবশ্য তিনি পার্লামেন্টে রদবদল সহ নানা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তাতে সন্তুষ্ট হয়নি বিক্ষোভকারীরা।