বাংলারজমিন
জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ডিমওয়ালা ইলিশের ঝাঁক
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
ইলিশের নদী খ্যাত লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের মেঘনায় নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ডিমওয়ালা ইলিশ। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে রায়পুরের মেঘনা নদীতে ১০ সহস্রাধিক জেলে নদীতে ইলিশ ধরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলেরা এখন ইলিশ উৎসবে মেতে উঠেছে। তবে জেলেদের জালে বেশি ধরা পড়ছে মা ইলিশ। শুক্রবার বিকালে রায়পুর উপজেলার মাছ বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে ডিমওয়ালা ইলিশে বাজার ভরপুর। বাজারে প্রায় ৯০ শতাংশ ইলিশই ডিমওয়ালা। এক একটি ইলিশের ওজন হয়েছে দেড় কেজিরও বেশি। ৭শ’ থেকে হাজার টাকার মধ্যে কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে এসব ইলিশ। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষেও জেলেদের এত মা ইলিশ ধরা পড়ায় উদ্বিগ্ন মৎস্য বিশেষজ্ঞগণ। তাদের মতে আরো কয়েক দিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলে সকল মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারতো। বাজারে ইলিশ কিনতে আসা অনেক ক্রেতাও এমন কথাই জানিয়েছেন। এ দিকে ডিমওয়ালা ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ কম। ডিম ছাড়া ইলিশের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। তবে ইলিশের ডিমেও আলাদা স্বাদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেক ক্রেতা। এরপরও ইলিশ কিনতে এসে খালিহাতে ফিরে যাচ্ছে না কোনো ক্রেতা। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ৮শ’ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত ওজনের ইলিশ কিনতে এসে কম দামেই পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা। ক্রেতা রাসেল ও কাউছার বলেন, বাজারে বড় বড় ইলিশ পেয়েছি তবে সবগুলো ডিমে ভরপুর। ডিমের কারণে মাছের স্বাদ কমে যায়। আবার ইলিশের ডিম খেতে বেশ মজার। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতেই ২২ থেকে ৩০শে অক্টোবর ইলিশের প্রজনন মৌসুম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ ইলিশ ডিম ছেড়েছে। কিছু ইলিশ হয়তো ডিম ছাড়তে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। ভবিষ্যতে প্রজনন মৌসুমের সময় বৃদ্ধি করা নিয়ে আলোচনা হবে। এ বছর জাটকা ইলিশ ও মা ইলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় এবার নদীতে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।