অনলাইন
ফিরে দেখা নুসরাত হত্যাকাণ্ড
সেদিন যা ঘটেছিলো
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
ইতিহাসের এক কালো দিন ৬ই এপ্রিল। নিজের মাদ্রাসা অধ্যক্ষের লালসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় চলতি বছরের ওই দিনে নৃশংসভাবে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেয়া হয় আলীম পরীক্ষার্থী ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে। এর ৫ দিন পর ১০ই এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি।
নুসরাত হত্যাকাণ্ড দেশব্যাপী আলোড়ন তোলে। হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ফুঁসে ওঠে দেশ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মিডিয়াতে সংবাদ শিরোনাম হয় নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড। বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশিরা হত্যাকারীর বিচার দাবিতে প্রতিবাদের মূখর হন।
কি ঘটেছিলো ৬ তারিখে? নুসরাত হত্যার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেয়ার আগে গত ২৮শে মে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলো তদন্তভার পাওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই সংবাদ সম্মেলনে জানানো সেদিনের বিস্তারিত-
সেদিন পিবিআই জানায়, ৬ই এপ্রিল সকালে শাহাদত হোসেন শামীম, নুর উদ্দিন, হাফেজ আবদুল কাদের মাদ্রাসায় আসে এবং পরিকল্পনা মত যার যার অবস্থানে যায়।
শাহাদত হোসেন পলিথিনে করে আনা কেরোসিন তেল ও অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে থেকে আনা গ্লাস নিয়ে ছাদের বাথরুমের পাশে রেখে দেয়।
কামরুন্নাহার মনির তিনটি বোরকা ও চার জোড়া হাত মোজা নিয়ে সাইক্লোন সেন্টারের তৃতীয় তলায় রাখে।
শাহাদত হোসেন শামীম, জাবেদ ও জোবায়ের সাড়ে ৯টার দিকে বোরকা ও হাত মোজা পরিধান করে সেখানে অবস্থান নেয়।
নুসরাত পরীক্ষা দিতে এলে পরিকল্পনা মতো উম্মে সুলতানা পপি গিয়ে নুসরাতকে বলেন তার বান্ধবীকে মারধর করা হচ্ছে। একথা শুনে নুসরাত দৌড়ে ছাদে যেতে থাকে।
দ্বিতীয় তলায় পৌঁছালে নুসরাতকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে বলে ও ভয় দেখায় পপি। নুসরাত মামলা তুলবে না বলতে বলতে ছাদে উঠলে কামরুন্নাহার মনি, শাহাদত হোসেন শামীম, জোবায়ের ও জাবেদ নুসরাতের পেছন পেছন ছাদে যায়। সেখানে তারা নুসরাতকে একটি কাগজে স্বাক্ষর দিতে বললে নুসরাত অস্বীকৃতি জানায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহাদত হোসেন শামীম বাম হাত দিয়ে নুসরাতের মুখ চেপে ধরে ও পপিকে বলে নুসরাতের বোরকার মধ্য থেকে ওড়না নেয়ার জন্য।
পপি ওড়না নিয়ে জুবায়েরকে দেয়। জুবায়ের এক অংশ দিয়ে পা বাঁধে ও পপি হাত পেছনে বেঁধে ফেলে। এরপর পপি, মনি ও শাহাদাত তাকে শুইয়ে ফেলে। পরে তাকে মুখ চেপে ধরে গিঁট দেয়া হয়।
আর জাভেদ কালো পলিথিনে থাকা তেল গ্লাসে করে নিয়ে নুসরাতের শরীরে ঢেলে দেয়। শামীমের ইঙ্গিতে জুবায়ের তার কাছে থাকা ম্যাচ থেকে আগুন ধরিয়ে দেয়, তারপর সেখান থেকে সবাই চলে যায়।
নুসরাত হত্যাকাণ্ড দেশব্যাপী আলোড়ন তোলে। হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে ফুঁসে ওঠে দেশ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মিডিয়াতে সংবাদ শিরোনাম হয় নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড। বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশিরা হত্যাকারীর বিচার দাবিতে প্রতিবাদের মূখর হন।
কি ঘটেছিলো ৬ তারিখে? নুসরাত হত্যার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেয়ার আগে গত ২৮শে মে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলো তদন্তভার পাওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই সংবাদ সম্মেলনে জানানো সেদিনের বিস্তারিত-
সেদিন পিবিআই জানায়, ৬ই এপ্রিল সকালে শাহাদত হোসেন শামীম, নুর উদ্দিন, হাফেজ আবদুল কাদের মাদ্রাসায় আসে এবং পরিকল্পনা মত যার যার অবস্থানে যায়।
শাহাদত হোসেন পলিথিনে করে আনা কেরোসিন তেল ও অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে থেকে আনা গ্লাস নিয়ে ছাদের বাথরুমের পাশে রেখে দেয়।
কামরুন্নাহার মনির তিনটি বোরকা ও চার জোড়া হাত মোজা নিয়ে সাইক্লোন সেন্টারের তৃতীয় তলায় রাখে।
শাহাদত হোসেন শামীম, জাবেদ ও জোবায়ের সাড়ে ৯টার দিকে বোরকা ও হাত মোজা পরিধান করে সেখানে অবস্থান নেয়।
নুসরাত পরীক্ষা দিতে এলে পরিকল্পনা মতো উম্মে সুলতানা পপি গিয়ে নুসরাতকে বলেন তার বান্ধবীকে মারধর করা হচ্ছে। একথা শুনে নুসরাত দৌড়ে ছাদে যেতে থাকে।
দ্বিতীয় তলায় পৌঁছালে নুসরাতকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে বলে ও ভয় দেখায় পপি। নুসরাত মামলা তুলবে না বলতে বলতে ছাদে উঠলে কামরুন্নাহার মনি, শাহাদত হোসেন শামীম, জোবায়ের ও জাবেদ নুসরাতের পেছন পেছন ছাদে যায়। সেখানে তারা নুসরাতকে একটি কাগজে স্বাক্ষর দিতে বললে নুসরাত অস্বীকৃতি জানায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহাদত হোসেন শামীম বাম হাত দিয়ে নুসরাতের মুখ চেপে ধরে ও পপিকে বলে নুসরাতের বোরকার মধ্য থেকে ওড়না নেয়ার জন্য।
পপি ওড়না নিয়ে জুবায়েরকে দেয়। জুবায়ের এক অংশ দিয়ে পা বাঁধে ও পপি হাত পেছনে বেঁধে ফেলে। এরপর পপি, মনি ও শাহাদাত তাকে শুইয়ে ফেলে। পরে তাকে মুখ চেপে ধরে গিঁট দেয়া হয়।
আর জাভেদ কালো পলিথিনে থাকা তেল গ্লাসে করে নিয়ে নুসরাতের শরীরে ঢেলে দেয়। শামীমের ইঙ্গিতে জুবায়ের তার কাছে থাকা ম্যাচ থেকে আগুন ধরিয়ে দেয়, তারপর সেখান থেকে সবাই চলে যায়।