দেশ বিদেশ
বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। গতকাল বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত সমাবেশের পর মিছিল করতে চাইলেও পুলিশি কড়াকড়ির কারণে সমাবেশেই শেষ হয় কর্মসূচি। সমাবেশে ঢাকা মহানগরীর নেতারা বলেন, মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি করে বেয়াদবি কিছুতেই মেনে নেয়া হবে না। ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি না হলে তারা আবার শাপলা চত্বরে যাবেন। এমনকি যারা নবীর মান ইজ্জত রক্ষা করতে পারে না তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো দরকার নাই। হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার আমির আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী বলেন, নবীর সঙ্গে যারা বেয়াদবি করেছে তাদের কখনওই মেনে নেয়া হবে না। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আল্লাহ ও নবী রাসূলগণের কটূক্তিকারীদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যদণ্ডের বিধান রেখে একটি আইন করতে হবে। এই আইন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, সরকার নবীর সম্মান রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের ক্ষমতায় থাকার দরকার নাই। হেফাজতে ইসলাম শান্তিতে বিশ্বাস করে, তবে কোনোভাবেই নবীর সঙ্গে বেয়াদবি মেনে নেয়া হবে না। তিনি বলেন, যদি দোষীদের শাস্তি না হয় তবে আমরা বসে থেকে আঙ্গুল চুষবো না। হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক হুমকি দিয়ে বলেন, হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর সম্মান আমাদের কাছে অনেক বেশি। যদি তাদের সম্মান রক্ষা করতে না পারেন তবে গদিতে আগুন দেয়া হবে। দোষীদের শাস্তি না হলে আমরা আবার শাপলা চত্বরে যাব। মাওলানা ঈসা শাহেদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন হিন্দু ধর্মের যে ছেলেটির অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দেয়া হয়েছে তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল। আমরা বলতে চাই প্রধানমন্ত্রী আপনি অবিলম্বে আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করুন তা না হলে আমাদের ঈমানী দায়িত্ব পালনে সর্বদা প্রস্তুত আছি। সমাবেশ থেকে হেফাজত ইসলামের নেতারা সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে, ভোলায় পুলিশের মামলা প্রত্যাহার করা। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের মুক্তি। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ভোলার পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার এবং বাংলাদেশ থেকে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।