খেলা
ন্যূনতম সুবিধা নেই ঘরোয়া ক্রিকেটে
স্পোর্টস রিপোর্টার
২২ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:২৩ পূর্বাহ্ন
জাতীয় লীগে খেলোয়াড়দের যাতায়াতে ব্যবহৃত বাস
২১তম জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) শুরু হয় গত ১০ই অক্টোবর। শুরুর আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে লীগে বড় পরিবর্তনের কথাই বলছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। লীগ শুরুর আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের মানদণ্ড বেঁধে দেয়া হয়। ফিটনেস পরীক্ষায় উৎরাতে না পারা ক্রিকেটাররা আসরে অংশও নিতে পারেনি। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণও বাধ্যতামূলক করা হয় শর্ত সাপেক্ষে। কিন্তু এত কিছুর পরও বাড়ানো হয়নি ক্রিকেটারদের ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা। ম্যাচ ফি বাড়ানোর কথা থাকলেও তা বাড়েনি। এমনকি ক্রিকেটারদের দৈনিক খরচও মানসম্মত নয়। শুধু তাই নয়, হোটেল থেকে তাদের মাঠে নিয়ে আসার পরিবহন ব্যবস্থাও নিম্ন মানের। ঢাকার রাস্তায় চলা লক্করঝক্কর, এসিবিহীন বাসগুলো ব্যবহার করা হয় খেলোয়াড়দের যাতায়াতে। সেখানে নেই কোনো নুন্যতম সুবিধা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। দীর্ঘদিন থেকেই চলে আসছে এমনটা। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগেও ছিল একই দৃশ্য। গতকাল ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবিতে ছিল এই নিম্নমানের বাস বিড়ম্বনার কথাও। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমরা যে বাসে মাঠে আসা যাওয়া করি তা খুব নিম্নমানের। যা আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক। এটা প্লেয়ারদের জন্য একবারেই আরামদায়ক নয়। একটা এসি বাস অবশ্যই থাকা উচিত। যেখানে ক্রিকেটাররা অন্তত স্বস্তিতে মাঠে আসতে পারে।’
শুধু বাসই নয় ঘরোয়া ক্রিকেট চলাকালে ক্রিকেটারদের থাকার হোটেল গুলোও হয় অত্যন্ত নিম্নমানের। থাকে না নুন্যতম সুযোগ সুবিধা। বিশেষ করে চার দিনের ম্যাচ চলাকালে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ধরে রাখা খুবই কঠিন হয়। তাই তাদের ফিটনেস ঠিক রাখতে প্রয়োজন হয় জিম ও সুইমিংপুলের। কিন্তু ঘরোয়া লীগে এমন সুবিধা আছে এমন কোনো হোটেলেই ক্রিকেটারদের রাখা হয় না। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘হোটেলে জিম এবং সুইমিং পুল অবশ্যই থাকতে হবে। কারণ চার দিনের ম্যাচ শেষে প্রতিটি প্লেয়ারের অনেক কষ্ট হয়। তো এখানে অবশ্যই রিকভারির জায়গা থাকতে হবে। টু স্টার বা থ্রি স্টার হোটেলে প্লেয়ারদের থাকা সম্ভব নয়।’
শুধু তাই নয় জাতীয় ক্রিকেট লীগ চলাকালে বা প্রতিদিন ভ্রমন ভাতা ও প্রতিদিন যে খাবার খরচ দেয়া হয় তা একেবারেই অপর্যাপ্ত বলে দাবি করেন সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, ‘ভ্রমন বড় একটি ইস্যু। ভ্রমন বাবদ যে টাকা দেয়া হয় সেটা পর্যাপ্ত না।
আমাদের ২৫শ টাকা দেয়া হচ্ছে এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে ভ্রমন বাবদ। ধরেন একজন ক্রিকেটার ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবে, আপনারা বলতে পারেন ২৫শ টাকায় বাস ছাড়া অন্য কোনোভাবে সে পৌঁছাতে পারে?
অতএব বিসিবি বা বিভাগ থেকে যেন বিমান ভাড়া দেয়া হয় সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।’ এছাড়া প্রতিদিনের খরচ ১৫০০ টাকা নিয়েও রয়েছে জোর আপত্তি। সাকিব বলেন, ‘আমাদের জাতীয় লীগে প্রতিদিন অ্যালাউন্স দেয়া হয় মাত্র ১৫শ টাকা। কিন্তু একজন ক্রিকেটারের ফিটনেস ধরে রাখতে ভালো খাবারের প্রয়োজন। যা এই টাকায় কোনভাবে সম্ভব নয়।
শুধু বাসই নয় ঘরোয়া ক্রিকেট চলাকালে ক্রিকেটারদের থাকার হোটেল গুলোও হয় অত্যন্ত নিম্নমানের। থাকে না নুন্যতম সুযোগ সুবিধা। বিশেষ করে চার দিনের ম্যাচ চলাকালে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ধরে রাখা খুবই কঠিন হয়। তাই তাদের ফিটনেস ঠিক রাখতে প্রয়োজন হয় জিম ও সুইমিংপুলের। কিন্তু ঘরোয়া লীগে এমন সুবিধা আছে এমন কোনো হোটেলেই ক্রিকেটারদের রাখা হয় না। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘হোটেলে জিম এবং সুইমিং পুল অবশ্যই থাকতে হবে। কারণ চার দিনের ম্যাচ শেষে প্রতিটি প্লেয়ারের অনেক কষ্ট হয়। তো এখানে অবশ্যই রিকভারির জায়গা থাকতে হবে। টু স্টার বা থ্রি স্টার হোটেলে প্লেয়ারদের থাকা সম্ভব নয়।’
শুধু তাই নয় জাতীয় ক্রিকেট লীগ চলাকালে বা প্রতিদিন ভ্রমন ভাতা ও প্রতিদিন যে খাবার খরচ দেয়া হয় তা একেবারেই অপর্যাপ্ত বলে দাবি করেন সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, ‘ভ্রমন বড় একটি ইস্যু। ভ্রমন বাবদ যে টাকা দেয়া হয় সেটা পর্যাপ্ত না।
আমাদের ২৫শ টাকা দেয়া হচ্ছে এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে ভ্রমন বাবদ। ধরেন একজন ক্রিকেটার ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবে, আপনারা বলতে পারেন ২৫শ টাকায় বাস ছাড়া অন্য কোনোভাবে সে পৌঁছাতে পারে?
অতএব বিসিবি বা বিভাগ থেকে যেন বিমান ভাড়া দেয়া হয় সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।’ এছাড়া প্রতিদিনের খরচ ১৫০০ টাকা নিয়েও রয়েছে জোর আপত্তি। সাকিব বলেন, ‘আমাদের জাতীয় লীগে প্রতিদিন অ্যালাউন্স দেয়া হয় মাত্র ১৫শ টাকা। কিন্তু একজন ক্রিকেটারের ফিটনেস ধরে রাখতে ভালো খাবারের প্রয়োজন। যা এই টাকায় কোনভাবে সম্ভব নয়।