খেলা

সাঁতারে অপ্রীতিকর ঘটনা, কোচের পদত্যাগ

স্পোর্টস রিপোর্টার

২২ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:২২ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর- এসএ গেমসের বাকি আর মাত্র দু’মাস। কিন্তু এরই মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলো বাংলাদেশের সাঁতারে। জুনিয়র সাঁতারুদের শাস্তি ভোগ করতে দেখে সরে গেছেন সাঁতারের মূল কোচ তাকেও ইনোকি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চলে যাওয়ার পর ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছেন আসল কারণ। গত রোববার ইনোকির তত্ত্বাবধানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে সিনিয়র জাতীয় দলের অনুশীলন চলছিল। সে সময় জুনিয়র জাতীয় দলও (ট্যালেন্ট হান্ট দল) ছিল সেখানে। এক সময়ে জাপানিজ কোচ দেখেন, নিয়ম ভেঙে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় জুনিয়র জাতীয় দলের কোচ ও কর্মকর্তারা গরমের মধ্যে শারীরিক অনুশীলনের শাস্তি দিচ্ছেন সাঁতারুদের। শাস্তি ভোগের এক পর্যায়ে শরিফা আক্তার মিম নামের এক সাঁতারু অজ্ঞান হয়ে যান। ১০ মিনিটের মতো তিনি রোদের মধ্যে একাই পড়েছিলেন ফ্লোরে। ইনোকি কোচদের জিজ্ঞেস করেন, মেয়েটা ঠিক আছে কি না। তারা হাসতে হাসতে জানান, অভিনয় করছে, কিছু হয়নি! ইনোকি কোচদের বলেন, মিমের কাছে যেতে। বলার ২/৩ মিনিট পরে কোচরা গিয়ে তাকে ছায়ায় নিয়ে যান। এই সময়ে ইনোকি বারবার বলার পরও অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেননি জুনিয়র কোচরা। পরে ভ্যানে করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয় মিমকে।
সেদিনই বিকালে পদত্যাগ করে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান ইনোকি। এই ব্যাপারে সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ জানান ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চলে গেছেন জাপানি কোচ। সাইফ বলেন, ‘তার যাওয়ার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। আমরা কথা বলার অনেক চেষ্টা করেছি। তিনি আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি।  ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চলে গেছেন। সাঁতারুরা গোপনে মোবাইল রাখতো। যে কারণে ওদের শাস্তি দিয়েছিল। সেটা নিয়েই ইনোকি মূলত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।’
বিশ্ব সাঁতারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিনা’র কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন ইনোকি। ৫ কর্ম দিবস সময় দিয়ে এরই মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সাঁতার ফেডারেশন। সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন ‘ট্যালেন্ট হান্টের ঘটনা জানার পর আমি সঙ্গে সঙ্গে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করি। বিষয়টি ইনোকি খুব বড় করে দেখেছেন। আমরা মোবাইল রাখতে দিই না; কারণ, ওরা রাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সকালে ওদের অনুশীলনে সমস্যা হয়। এ কারণে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছিলাম। কী শাস্তি দিয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে জানি না। যদি অমানবিক শাস্তি দিয়ে থাকে তাহলে এক রকম। যদি রুটিন শাস্তি দিয়ে থাকে তাহলে আরেক রকম। পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। মিম এখন ক্যাম্পে আছে, ভালো আছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status