এক্সক্লুসিভ
পাসপোর্ট পেতে হাইকোর্টে ডাকসুর ভিপি নুর
স্টাফ রিপোর্টার
২১ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেও পাসপোর্ট না পেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রিট আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের জন্য রেখেছে। গতকাল বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে পাসপোর্ট নিয়ে করা আবেদনের শুনানি না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ‘ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভিপি নুর তার প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ। ভিপি নুর বলেন, আমি ডাকসু ভিপি হয়েও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে এই পর্যন্ত চারবার হামলার শিকার হয়েছি। এ কারণে আমি অসুস্থ। চিকিৎসকরা আমাকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সে কারণে গত ২৩শে এপ্রিল আগারগাও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আবেদন করি। পাসপোর্ট অধিদপ্তর ২রা মে পাসপোর্ট দেয়ার দিন নির্ধারণ করে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পাসপোর্ট অফিস আমার পাসপোর্ট দেয়নি। নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট না পেয়ে গত ১লা আগস্ট হাইকোর্টে রিট করি। কিন্তু দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ ছিল। এ কারণে শুনানি হয়নি। গতকাল আমার আইনজীবী শুনানির জন্য দিন ধার্য করার আবেদন জানান। কিন্তু আদালত শুনানির দিন ধার্য করতে রাজি হননি। কবে শুনানি হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে আমার কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, সরকার হয়তো আদালতকে প্রভাবিত করেছে পাসপোর্ট না দেয়ার জন্য। যদি এটা হয়, তবে তা নিন্দনীয়। ভিপি নুর আরো বলেন, আমার পাসপোর্টটা লাগবে এখন। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হবে শুনানি। অর্থাৎ দায়িত্বটা শেষ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে গিয়ে শুনানি হবে। দীর্ঘদিন ধরে যেমন পাসপোর্ট অফিস টালবাহানা করেছে। আজ নয়, কাল আসেন, এভাবে ঘুরাচ্ছে আমাকে। এখন আবার আদালত ঘোরাচ্ছে। হয়তো মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পেতে পারি। এতে স্পষ্ট যে, আদালত যে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না, আদালতকে যে প্রভাবিত করা হচ্ছে। আজকে সাধারণ মানুষ-ছাত্র কেউ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। ভিপি নুর জানান, গত জুলাইয়ে নেপালের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনারে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ ছিল তার। জরুরিভিত্তিতে পাসপোর্ট পেতে ব্যাংকে নির্ধারিত ফিসহ এপ্রিল মাসে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ফরম জমা দেন তিনি।
এ সময় অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, পাসপোর্টটি জরুরি বিষয়। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্যই আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম।
কিন্তু আদালত তা করলেন না। তিনি আরো বলেন, জানুয়ারিতে যদি আবার সরকার সময় চায়, আদালত যদি সময় দেন তাহলে হয়তো ভিপি হিসেবে নুরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
এ সময় অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, পাসপোর্টটি জরুরি বিষয়। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্যই আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম।
কিন্তু আদালত তা করলেন না। তিনি আরো বলেন, জানুয়ারিতে যদি আবার সরকার সময় চায়, আদালত যদি সময় দেন তাহলে হয়তো ভিপি হিসেবে নুরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।