বাংলারজমিন
সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য দ্বারে দ্বারে
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার, ৮:১২ পূর্বাহ্ন
বানিয়াগ্রাম মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া (১৪) এক ছাত্রী পুত্র সন্তানের জননী। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের পাইকশা গ্রামে। কিশোরী এখন সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সুবিচারের আশায় ধর্ষিতা শামসুন্নাহার স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছে। এছাড়া ভিকটিমের পিতা গত ১৯শে সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জজকোর্টে বিচার প্রার্থী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার পাইকশা গ্রামের দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ীর ছোট মেয়েকে ২০১৮ সালের ৩০শে নভেম্বর রাতে একাকী ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রতিবেশী আরিফ মিয়ার পুত্র সাগর মিয়া (২০) কৌশলে ছুরির ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষক চলে যায়। ভয়ে ধর্ষিতা তখন কাউকে বিষয়টি জানায়নি। কিন্তু ঘটনার চার মাস পর তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে সে তার মাকে প্রথমে ঘটনাটি জানায়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার অভিভাবকরা সাগরের পিতামাতার কাছে বিচার প্রার্থী হলে তারা সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেয়। এদিকে গত ৩১শে আগস্ট ২০১৯ সকালে ধর্ষিতা কিশোরী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু এর কোনো বিচার না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়। এছাড়া ধর্ষিতার পিতা গত ১৫ই সেপ্টেম্বর আইনগত সহায়তা চেয়ে কটিয়াদী থানায় মৌখিকভাবে জানালে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়। গত ১৯শে সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ ট্রাইব্যুনালে ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
সাগরের মা সুরমা আক্তার বলেন, ওই কিশোরীর (ধর্ষিতা) বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসে। সাগরের উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কোর্টে মামলা দিয়ে হয়রানি করার পাঁয়তারা করছে। ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ হয়েছিল। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে যাচাই করার জন্য বললে তারা রাজি হয়নি। ডিএনএ টেস্টে যদি প্রমাণ হয় নবজাতক আমার ছেলে সাগরের ঔরসজাত সন্তান। তাহলে আমার গ্রহণ করতে কোনো আপত্তি নেই। সাগর কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুদিন পূর্বে সে বিদেশে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে আচমিতা ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ধর্ষিতার পিতা বিচার প্রার্থী হলে উভয়পক্ষকে পরিষদে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষিতা সাগর মিয়াকে দোষারোপ করে। কিন্তু সাগর মিয়া বিষয়টি অস্বীকার করে। ফলে আমি ব্যর্থ হয়ে ভিকটিমকে আদালতের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেই।
কটিয়াদী থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি বা কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার পাইকশা গ্রামের দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ীর ছোট মেয়েকে ২০১৮ সালের ৩০শে নভেম্বর রাতে একাকী ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রতিবেশী আরিফ মিয়ার পুত্র সাগর মিয়া (২০) কৌশলে ছুরির ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ধর্ষক চলে যায়। ভয়ে ধর্ষিতা তখন কাউকে বিষয়টি জানায়নি। কিন্তু ঘটনার চার মাস পর তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে সে তার মাকে প্রথমে ঘটনাটি জানায়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার অভিভাবকরা সাগরের পিতামাতার কাছে বিচার প্রার্থী হলে তারা সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেয়। এদিকে গত ৩১শে আগস্ট ২০১৯ সকালে ধর্ষিতা কিশোরী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু এর কোনো বিচার না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়। এছাড়া ধর্ষিতার পিতা গত ১৫ই সেপ্টেম্বর আইনগত সহায়তা চেয়ে কটিয়াদী থানায় মৌখিকভাবে জানালে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়। গত ১৯শে সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ ট্রাইব্যুনালে ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
সাগরের মা সুরমা আক্তার বলেন, ওই কিশোরীর (ধর্ষিতা) বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসে। সাগরের উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কোর্টে মামলা দিয়ে হয়রানি করার পাঁয়তারা করছে। ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ হয়েছিল। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে যাচাই করার জন্য বললে তারা রাজি হয়নি। ডিএনএ টেস্টে যদি প্রমাণ হয় নবজাতক আমার ছেলে সাগরের ঔরসজাত সন্তান। তাহলে আমার গ্রহণ করতে কোনো আপত্তি নেই। সাগর কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুদিন পূর্বে সে বিদেশে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে আচমিতা ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ধর্ষিতার পিতা বিচার প্রার্থী হলে উভয়পক্ষকে পরিষদে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষিতা সাগর মিয়াকে দোষারোপ করে। কিন্তু সাগর মিয়া বিষয়টি অস্বীকার করে। ফলে আমি ব্যর্থ হয়ে ভিকটিমকে আদালতের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেই।
কটিয়াদী থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ থানায় আসেনি বা কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।