খেলা

অধিনায়কত্ব হারালেন সরফরাজ

স্পোর্টস ডেস্ক

১৯ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার, ৯:০৪ পূর্বাহ্ন

সরফরাজ আহমেদকে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাশাপাশি দল থেকেও বাদ দেয়া হয়েছে। টেস্টে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান আজহার আলী। আর টি টোয়েন্টিতে দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়েছে বাবর আজমের কাঁধে। নভেম্বর-ডিসেম্বরের অস্ট্রেলিয়া সফরের মধ্য দিয়ে নতুন অধিনায়কদের কাজ শুরু হবে। তবে এখনো ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে বহাল আছেন সরফরাজ। সামনের বছরের জুলাইয়ের আগে কোনো ওয়ানডে না থাকায় এই সংস্করণ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে নেয়নি পিসিবি।
২০১৬ সালে আজহার আলীর কাছ থেকে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সরফরাজ। ২০১৭ সালে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতান তিনি। সরফরাজের অধীনে পাকিস্তান টি টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে আসে। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া, ঘরের মাঠে হোম সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে টি-টোয়েন্টিতে নাস্তানাবুদ হওয়া, টেস্টে র‌্যাঙ্কিংয়ে তালিকার ৭ নম্বরে নেমে যাওয়া- এসবের পাশাপাশি ব্যাট হাতে বাজে ফমের্র কারণে অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন সরফরাজ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি বলেন, ‘সরফরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া ছিল কঠিন সিদ্ধান্ত। খেলোয়াড় ও নেতা হিসেবে সে ছিল অসাধারণ। পাকিস্তান ক্রিকেট তার মতো লড়াকু নেতা আর কেউ ছিলোনা। কিছুসময় ধরে তার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যাচ্ছিল। যার ফলে ব্যাটেও রান মিলছেনা তার। তাই দলের স্বার্থে তাকে সরিয়ে দিতে হলো। আমরা আশা করি, সে নিজেকে গুছিয়ে নিবে। জাতীয় দলের বাইরে সে নিজের ফর্ম খুঁজে নেবে। আবার জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে ফিরবে।’
বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন সরফরাজ, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করা আমার জন্য সম্মানের ছিল। সতীর্থ, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফ সবাইকে এই দায়িত্ব পালনের সময় পাশে পেয়েছি বলে ধন্যবাদ। আজহার আলী ও বাবর আজমের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে। আশা করি তারা দলকে ভালো অবস্থানে নেবে।’ আর অধিনায়কত্ব ফিরে পেয়ে আজহার বলেন, ‘এই পদটা অনেক সম্মানের। আমার প্রতি বিশ্বাসের প্রতিদান মাঠেই দেয়ার চেষ্টা করবো।’ অপরদিকে প্রথমবারের মতো যে কোন সংস্করণে অধিনায়কত্ব পাওয়া নতুন টি টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, ‘টি টোয়েন্টির ১ নম্বর দলের অধিনায়ক হতে পারা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমি এই চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত, এর মাধ্যমে দলের জন্য আরো বেশি অবদান রাখতে চাই।’ চলতি বছর সরফরাজের অধীনে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ছিল জঘন্য। ২০১৬-১৮ এই তিন বছরে পাকিস্তান টি টোয়েন্টিতে মোট ৫ ম্যা্‌চ হেরেছে। অথচ চলতি বছরে ৬ ম্যাচে হার দেখেছে ৫টিতে। আর এজন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয় সরফরাজকে। ব্যাটিং পজিশন এগিয়ে আনলেও রানের দেখা মিলেনি তার ব্যাটে। বরং অধিনায়কত্বের পর সরফরাজের ব্যাটিং গড় ২৯ থেকে কমে ২৭ হয়েছে। তার অধীনে টেস্টেও মলিন পাকিস্তান। ১৩ টেস্টে ৮ হারের বিপরীতে ৪ জয় ও ১ ড্র করে দল। টেস্টে পাঁচ বছর আগে মিসবাহ’র অধীনে সর্বশেষ সেঞ্চুরি পান সরফরাজ। শেষ ছয় ইনিংসে তিনবার শূন্য রানে মাঠ ছাড়েন।
সরফরাজের অধীনে পাকিস্তানের জয়-পরাজয়
ম্যাচ জয় হার রান
টেস্ট ১৩ ৪ ৮ ৫৬৮
ওয়ানডে ৫০ ২৮ ২০ ৮০৪
টি-টোয়েন্টি ৩৭ ২৯ ৮ ৫২১
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status