দেশ বিদেশ

ফেনী নদীর পানিচুক্তি নিয়ে হাইকোর্টে রিট

স্টাফ রিপোর্টার

১৯ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

ফেনী নদীর পানি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেছে  বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি এই রিট দায়ের করেন। রিটে ওই নদী থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পানি সরবরাহ ও পাম্প বসানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পূর্ন নিয়ন্ত্রণ রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। রিট মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চুক্তি স্থগিত রাখতেও সরকারকে নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানান রিটকারী আইনজীবী।  
রিটকারী আইনজীবী মাহমুদুল হাসান জানান, বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে, চুক্তির আগেই অবৈধভাবে ২০১০ সাল থেকে ভারতীয় ভূখন্ডে অন্ত্রত ৩৪টি স্থানে পানির পাম্প স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে প্রায় ৩০-৩৫ কিউসেক পানি তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে আবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে খাবার পানি সরবরাহ করার জন্য ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি দিতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। এটাকে সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে রিটে বলা হয়েছে, ফেনী নদী থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পানি সরবরাহ ও পাম্প বসানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা আবশ্যক। অন্যথায় চুক্তির ব্যতয় ঘটিয়ে ভারত যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে পানি নেয় সেক্ষেত্রে ফেনী নদীর মারাত্মক ঝুঁকিসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮(এ)-এর লঙ্ঘন হবে। বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য কোন রাষ্ট্রের যদি কোনো চুক্তি হয়, তবে ওই চুক্তি যদি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে, ওই  চুক্তির উপর হস্তক্ষেপ করার। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালে কলকাতা হাইকোটের হস্তক্ষেপের কারণে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত ছিটমহল চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এই মামলাতেই শেষ পর্যন্ত ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ভারত সরকারকে ছিটমহল বিনিময়ের অনুমোদন দেন । এর মাধ্যমে তারা একটি নজির স্থাপন করে যে,  যেকোনো বৈদেশিক চুক্তি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে, সেখানে হস্তক্ষেপ করার জন্য পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। তাই বাংলাদেশের হাইকোর্টেরও এই ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ পাবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status