দেশ বিদেশ

আসামে বন্দিশিবিরে কথিত বাংলাদেশির মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ

মানবজমিন ডেস্ক

১৭ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

আসামের বন্দিশিবিরে কথিত এক ‘বাংলাদেশি’ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় অঙ্গরাজ্যটির তেজপুর জেলায় এক বন্দিশিবিরে আটক থাকাকালীন তার মৃত্যু হয়। নিহতের নাম দুলালচন্দ্র পাল। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখতে স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। অভিযোগ উঠেছে, যথাযথ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাকে বন্দিশিবিরে পাঠানো হয়েছিল। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি ও বার্তা সংস্থা পিটিআই।
খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালে একটি ট্রাইব্যুনাল তাকে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে ঘোষণা করে। শিবিরের নিয়ন্ত্রক মৃন্ময় দাওকা জানিয়েছেন, তখন থেকেই বন্দিশিবিরে আটক রয়েছেন তিনি। দাওকা জানান, ডায়াবেটিস ও মানসিক অবনতির কারণে গত মাস থেকেই চিকিৎসাধীন ছিলেন দুলালচন্দ্র। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১১ই অক্টোবর তাকে তেজপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন চিকিৎসকরা। পর্যবেক্ষণ শেষে তাকে বন্দিশিবিরে নিয়ে আসা হয়। এর পরদিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফের ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ওইদিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৩ই অক্টোবর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
স্থানীয় উপ-কমিশনার মানবেন্দ্র প্রতাপ সিং পিটিআইকে জানিয়েছেন, দুলালচন্দ্রের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তদন্তটি পরিচালনা করবেন, স্থানীয় অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পরাগ কাকোতি। এ ছাড়া, দ্য বেঙ্গলি ফেডারেশন অব আসামও এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে।
লাশ নেবে না পরিবার: এদিকে, তিনদিন ধরে গুয়াহাটির হাসপাতালে পড়ে আছে দুলালচন্দ্রের লাশ। তাকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করা না হলে মৃতদেহ গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে তার ছেলে আশিস পাল। এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার তার বাড়িতে গেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন আশিস।
এনডিটিভি জানিয়েছে, মৃতের পরিবারের দাবি, যেহেতু রাজ্যের তরফে তাকে ‘বাংলাদেশি’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে, ফলে তার দেহ বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়া উচিত। আশিস দাবি করেন, ১৯৬০ সালের জমির নথিপত্র রয়েছে তাদের কাছে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় নাম উঠেছে।চলতি বছর আসাম সরকারের তরফে জানানো হয়, ১৯৮৫ থেকে এখনো পর্যন্ত ৪৫ দিনের একটি শিশু এবং ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধসহ মোট ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভিন্ন বন্দিশিবিরে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তৈরি করা হয়। আগস্টে নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে বাদ পড়ে ১৯ লাখ মানুষের নাম।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status