বাংলারজমিন
পুলিশ ও পরিবারের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি
গৃহবধূর জীবনের মূল্য ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা
মাগুরা প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার, ৮:০২ পূর্বাহ্ন
মাগুরায় শ্রীপুর উপজেলার সোনাতুন্দি গ্রামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যাকে ঘিরে প্রায় ৩ লাখ টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা ও পরিবারের মধ্যে। গতকাল এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত গৃহবধূর নাম জেসমিন নাহার (২০)। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ বিশ্বাস। বাড়ি মাগুরা সদরের বাঁশতৈল গ্রামে। গত মার্চ মাসে সোনাতুন্দির আবু কালাম মোল্যার ছেলে রেন্টু মোল্যার (৩০) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রেন্টু সম্প্রতি ব্যবসায়িক কাজে ২ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য জেসমিন ও তার পরিবারকে চাপ দিচ্ছিল। যৌতুক দিতে না পারায় সোমবার সকালে জেসমিনকে মারধর করে রেন্টু। এতে অভিমান করে জেসমিন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে সোমবার সকালে আত্মহত্যা করে। এই যৌতুক ও আত্মহত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে দেনদরবার শুরু হলে স্থানীয় সব্দালপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসেন মোল্যা, শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর জেসমিনের বাবাকে নিয়ে সালিশে বসেন। সেখানে জেসমিনের পরিবারকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও এসআই জাহাঙ্গীরকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টির মীমাংসা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসেন মোল্যা জানান, বিয়ের সময় স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য খরচ বাবদ জেসমিনের স্বামীকে কিছু টাকা দেয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, ‘জেসমিনের মা-বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন হয়েছে।’ শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে পুলিশের অর্থ গ্রহণের কোনো তথ্য তার জানা নেই।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসেন মোল্যা জানান, বিয়ের সময় স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য খরচ বাবদ জেসমিনের স্বামীকে কিছু টাকা দেয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, ‘জেসমিনের মা-বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন হয়েছে।’ শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে পুলিশের অর্থ গ্রহণের কোনো তথ্য তার জানা নেই।