বাংলারজমিন

নবাবগঞ্জে উদ্বোধনের পরপরই বিআরটিসি সার্ভিস বন্ধ

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

১৫ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:০০ পূর্বাহ্ন

গুলিস্তান-বান্দুরা সড়কে উদ্বোধনের ২ ঘণ্টা পরই বন্ধ হয়ে গেছে আকাঙ্ক্ষিত বিআরটিসি বাস সার্ভিস। গত শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজধানীর গুলিস্তান থেকে এ সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের ২ ঘণ্টা পরই বন্ধ হয়ে যায় বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস। ঘটনাটি জানাজানি হলে ফেসবুকে সমালোচনার ঝর উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উদ্বোধনের পরপর বেলা ১১টার দিকে বিআরটিসির একটি এসি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকার গুলিস্তান থেকে ছেড়ে আসে। ওই বাসটি খারশুর এলাকায় পৌঁছলে তা আটকে দেয় এন মল্লিক ও যমুনা পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। যাত্রীদের রাস্তার মাঝখানে নামিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করেন অভিযুক্ত দুই পরিবহনের শ্রমিকরা। বিআরটিসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ জানান, এন মল্লিক ও যমুনা পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা বিআরটিসি বাসের থাকা শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের মারধর করে বাসটি আটকে রাখে ও ভাঙচুর করে। হামলায় আহত হয় বিআরটিসি বাসের সুপারভাইজার আবু তাহের। এ ছাড়াও বাসে থাকা যাত্রী, শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের নানাভাবে হেনস্থা করে। হামলার ঘটনার সময় এন মল্লিক পরিবহনের মালিক নার্গিস মল্লিকের ছেলে রবিন মল্লিক, ইসমাইল মল্লিক ও তাদের কয়েকজন কর্মচারী এবং যমুনা পরিবহনের মালিক চন্দন বাবুসহ অজ্ঞাত আরো ১৫-২০ জন ছিল বলে অভিযোগ করেন ওই কর্মকর্তা। মো. হাবিবুল্লাহ আরো বলেন, বিআরটিসির রুট পারমিট নেই এমন অজুহাতে এন মল্লিক ও যমুনা পরিবহনের ক্যাডাররা বিআরটিসি বাসটির গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে ভাঙচুর করেছে। যদি বিআরটিসির রুট পারমিট না থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তা বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু এন মল্লিক বা যমুনা পরিবহন কোন অধিকারে এমনটা করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে যমুনা পরিবহনের মালিক চন্দন মণ্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি শুনেছি কে বা কারা বিআরটিসি এসি বাস সার্ভিসটি বন্ধ করে দিয়েছে। এর সঙ্গে আমার বা যমুনা পরিবহনের কোন যোগসূত্র নেই।’ নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু বলেন, কে বা কারা বিআরটিসি বাস চালু করলো কিংবা বন্ধ হলো আমরা অবগত নই। তবে আমরা এমন একটি সার্ভিসের আশা করি। প্রসাশন ও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে সার্ভিসটি চালু হলে ভালো হতো। আমাদের সহযোগিতা চাইলে সহযোগিতা করবো। তবে তাদের সার্ভিস চালুর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি পরিমাণ আছে তা জানতে হবে। উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে এই ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।


   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status