খেলা

সিপিএল-এ দ্বিতীয় শিরোপা সাকিবের

স্পোর্টস রিপোর্টার

১৪ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন

ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে বাজি ফুটছে। ঝলক দিয়ে উঠছে আলো। হর্ষ ধ্বনিতে মুখরিত গ্যালারি। এমন আনন্দমুখর পরিবেশে সতীর্থদের সঙ্গে ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরলেন সাকিব আল হাসান। যেটি গতকাল ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) জিতেছেন সাকিব। ফাইনালে সাকিবের দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্ট ২৭ রানে হারায় গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সকে। সিপিএলে এটি সাকিব ও বার্বাডোজের দ্বিতীয় শিরোপা। আর আসরে সাকিব শিরোপার স্বাদ নিলেন পৃথক দুই দলের হয়ে। ২০১৪ সালে সিপিএলের দ্বিতীয় আসরে প্রথম সাফল্য পায় বার্বাডোজ। আর সাকিব ২০১৬তে জ্যামাইকা তালাওয়াহসের হয়ে ট্রফি জেতেন। সেবারও সাকিবের প্রতিপক্ষ ছিল গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স। গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সকে আসরের দুর্ভাগা দল বলা যায়। এ নিয়ে সাত আসরে পাঁচবার ফাইনালে উঠে প্রত্যেকবারই হার শেষে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদের।

গতকাল টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১/৬ সংগ্রহ করে বার্বাডোজ। ওপেনার জনসন চার্লস ২২ বলে ৩৯, আলেক্স হেলস ২৪ বলে ২৮ রান করেন। সাকিব ১৫ বলে ১৫ রান করে রানআউট হন। আর ইনিংসের শেষ দিকে  ঝড় তোলেন জনাথন কার্টার। ২৭ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সমান ৪টি করে  চার-ছক্কা হাঁকান কার্টার। অ্যাশলে নার্স ১৫ বলে ১৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। গায়ানার হয়ে ইমরান তাহির, বেন লাফিন, কেমো পল, রোমারিও শেফার্ড ১টি করে উইকেট নেন।
১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানে থামে গায়ানা আমাজন। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন  ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ। চন্দরপল হেমরাজ ১, শিমরন হেটমায়ার ৯ ও অধিনায়ক শোয়েব মালিক করেন মাত্র ৪ রান। নিকোলাস পুরান ২৫ বলে ২৪ ও কেমো পল ১৪ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন রেমন্ড রেইফার। অ্যাশলে নার্স ১৭ রানের বিনিময়ে ২টি ও হ্যারি গারনি ২৪ রানে নেন ২ উইকেট। ম্যাচসেরা হন জোনাথন কার্টার। সিরিজসেরার পুরস্কার জেতেন বার্বাডোজের আরেক খেলোয়াড় হেইডেন ওয়ালশ।

কেমন  ছিল সাকিবের পারফরম্যান্স?
ফাইনালসহ এবারের সিপিএলে সাকিব ম্যাচ খেলেন ৬টি। প্রত্যেক ম্যাচেই ব্যাটিং করার সুযোগ পান বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। ৬ ইনিংসে যথাক্রমে করেন ৩৮, ২২, ১৩, ৫, ১৮ ও ১৫। বল হাতে প্রথম তিন ম্যাচে ৪ উইকেট নিলেও পরের তিন ম্যাচে কোনো উইকেট নিতে পারেননি সাকিব। এর মধ্যে প্রথম কোয়ালিফায়ারে গায়ানা আমাজনের বিপক্ষে  খরচ করেন ৪৬ রান। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ২ ওভারে ২৭ রান খরচে ছিলেন উইকেটশূন্য। আর ফাইনালে ২ ওভারে ১৮ দিয়েও কোনো সাফল্য পাননি। তবে সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং নৈপুণ্যটা সিপিএলেই। সেটাও বার্বাডোজের হয়ে। ২০১৩’র আসরে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো রেড স্টিলের বিপক্ষে ট্রাইডেন্টসের বল হাতে সাকিব আর হাসান চার ওভারের স্পেলে মাত্র ৬ রানে ৬ উইকেট নেন। সাত বারের সিপিএল ইতিহাসে কোনো বোলারের সেরা নৈপুণ্য এটি। আসরে ৬ উইকেটের কির্িত নেই আর কোনো বোলারের।

রোল অব অনার

সাল    চ্যাম্পিয়ন    রানার্সআপ
২০১৩    জ্যামাইকা তাহলাওয়াস    গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স
২০১৪    বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস    গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স
২০১৫     ত্রিনিদাদ রেড স্টিল    বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস
২০১৬    জ্যামাইকা তালাওয়াস    গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স
২০১৭    ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স    সেন্ট কিটস প্যাট্রিয়টস
২০১৮    ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স    গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স
২০১৯    বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস    গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status