বিনোদন
ফের হিন্দি গানের আগ্রাসন, ক্ষুব্ধ সংগীত প্রযোজকরা
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
এ বছরের ৩রা জুলাই রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি তাদের গ্রাহকদের জন্য যুক্ত করেছে ভারতীয় জনপ্রিয় স্ট্রিমিং অ্যাপ ‘জি-ফাইভ’। যার মাধ্যমে রবি গ্রাহকরা ছাড়াও ওয়াইফাই দিয়ে নেট চালানো শ্রোতারা এই অ্যাপটির মাধ্যমে অবাধে উপভোগ করতে পারবেন হিন্দি গানসহ বিদেশের নাটক ও সিনেমা। এমন ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন সংগীত সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে অ্যাপটি বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন বলে দাবী বাংলাদেশের অডিও প্রযোজকদের সংগঠন এমআইবি। এ বিষয়ে এমআইবি সভাপতি ও লেজারভিশনের চেয়ারম্যান এ কে এম আরিফুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগেও দেশের মোবাইল ফোনগুলোর মাধ্যমে ভাইরাসের মতো হিন্দি গান সংক্রমিত হচ্ছিল। মুঠোফোনের রিংটোন, ওয়েলকাম টিউনের সূত্র ধরে তখন দেশের বেশিরভাগ উৎসবে ও অনুষ্ঠানে বাজতো হিন্দি গান। হিন্দি গানের প্রভাব এতোটাই ছিল যে ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সাল নাগাদ দেশের বেশিরভাগ সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এমন সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে, দেশের সংস্কৃতি ও সংগীতকে বাঁচানোর জন্যে এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠান বাঁচানোর তাগিদে অডিও প্রযোজকদের সংগঠন এমআইবি নেতারা দ্বারস্থ হন উচ্চ আদালতের। যার ফলাফল হিসেবে ২০১৫ সালের ৯ জুলাই উচ্চ আদালত থেকে একটি স্থগিতাদেশ দেন। ঐদিন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ-এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের রিংটোন ও ওয়েলকাম টিউনে হিন্দি গানের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু দেশের উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটি জি ফাইভ দেশে চালু করলো। এদিকে প্রতিষ্ঠানটি এ কাজ করতে পারে না বলেও মন্তব্য সংগঠনটির নেতাদের। তাই এমআইবি’র (মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) পক্ষ থেকে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড বরাবর একটি উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। জানতে চাওয়া হয়, কেন উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে প্রতিষ্ঠানটি ফের উপমহাদেশের গান-নাটক বিপণন করছেন তারা।