শেষের পাতা
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ আটক ২
যুবকের মুখে মলমূত্র ঢেলে নির্যাতন
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
৯ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন
বরিশালের হিজলায় এক যুবককে হাত-পা বেঁধে মুখে মল-মূত্র ঢেলে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনার ভিডিও এখন ফেসবুকে ভাইরাল। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার হিজলার হরিনাথপুর তালতলা জামে মসজিদ রোড এলাকার টুমচরের বাসিন্দা ও তেল ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে আজম ব্যাপারী (২৫) কে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর মুখে মলমূত্র ঢেলে দেয় প্রভাবশালীরা। যা ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। এতে নড়েচড়ে বসে হিজলা উপজেলা প্রশাসন। ভিডিওতে দেখা যায়, ‘আজম ব্যাপারীকে হাত-পা বেঁধে হেরিংবনের রস্তার ওপর শুইয়ে রাখা হয়েছে। তার চারদিক ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে ৭-৮ জন। এর মধ্যে একজন আজমের বুকের ওপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া অপর একজন আজমের পা এবং একজন তার মাথা মাটির সাথে চেপে ধরে আছে।
একটু পরেই বুকের ওপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি বিশেষ পাত্রে মল-মূত্র নিয়ে তা জোর করে আজমের মুখে ঢালার চেষ্টা করছে। তখন আজম অনেক অনুনয় বিনয় এবং ধস্তাধস্তি করেও তাদের থেকে রক্ষা পায়নি। এসময় পাশে দাঁড়িয়ে কিছু লোক ওই ঘটনা উপভোগ করলেও কেউ প্রতিরোধে এগিয়ে আসেনি।
ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।আর পুরো ঘটনাটি পাশ থেকে দাঁড়িয়ে কেউ একজন মোবাইল ফোনে ভিডিও করে।
অভিযোগের বিষয়ে নিজের ভুল স্বীকার করে ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য আব্দুর মাহবুব সিকদার বলেন, ‘আজম বেপারী ঝাড়-ফুক দিয়ে গ্রামের মেয়ে এবং বউদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে। সম্প্রতি সে স্থানীয় জহির খানের স্ত্রী পারভীন বেগম ও তার মেয়ে’র সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করে। এমনকি পারভীন বেগমকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুদিন পরে তারা পুনরায় এলাকায় ফেরে। এখানে এসে আমাকে ও পারভীনের স্বামী জহিরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেরে ফেলতে কুফরি দিয়ে বান মারে। আর এই বিষয়টি অন্য এক ওঝার কাছ থেকে জানতে পারি। পরে ওই যুবককে মেমানিয়া গাল্স স্কুল থেকে ধরে আনি।
তিনি বলেন, স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে আজম বেপারীকে ধরে নিয়ে গেলে তাদের সামনে নিজের অপরাধ স্বীকার করে। তাই রাগের মাথায় আজমকে নির্যাতনের পরে মুখে মলমূত্র ঢেলে দিয়ে অপরাধ করেছেন বলে স্বীকার করেন মাহবুব সিকদার।
তবে পুলিশি অভিযান টের পেয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব সিকদার। তিনি স্থানীয় আব্দুল খালেক সিকদারের ছেলে ও হরিনাথপুর লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার মাহবুব সিকদার। তাকেও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হিজলার হরিনাথপুরে শাওড়া সৈয়দখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তারেক আহসান রাসেল। তবে অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আটককৃতরা হলো- উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের বাসিন্দা শরিফ মাতুব্বরের ছেলে আব্দুর রশিদ ও একই এলাকার বাসিন্দা কবির। এদের মধ্যে আব্দুর রশিদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ‘এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তাছাড়া নির্যাতনের শিকার যুবককেও খুঁজে পায়নি। তবে এই ঘটনায় বিকেলের মধ্যেই মামলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা আমি দেখেছি। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার হিজলার হরিনাথপুর তালতলা জামে মসজিদ রোড এলাকার টুমচরের বাসিন্দা ও তেল ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে আজম ব্যাপারী (২৫) কে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর মুখে মলমূত্র ঢেলে দেয় প্রভাবশালীরা। যা ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। এতে নড়েচড়ে বসে হিজলা উপজেলা প্রশাসন। ভিডিওতে দেখা যায়, ‘আজম ব্যাপারীকে হাত-পা বেঁধে হেরিংবনের রস্তার ওপর শুইয়ে রাখা হয়েছে। তার চারদিক ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে ৭-৮ জন। এর মধ্যে একজন আজমের বুকের ওপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া অপর একজন আজমের পা এবং একজন তার মাথা মাটির সাথে চেপে ধরে আছে।
একটু পরেই বুকের ওপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি বিশেষ পাত্রে মল-মূত্র নিয়ে তা জোর করে আজমের মুখে ঢালার চেষ্টা করছে। তখন আজম অনেক অনুনয় বিনয় এবং ধস্তাধস্তি করেও তাদের থেকে রক্ষা পায়নি। এসময় পাশে দাঁড়িয়ে কিছু লোক ওই ঘটনা উপভোগ করলেও কেউ প্রতিরোধে এগিয়ে আসেনি।
ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।আর পুরো ঘটনাটি পাশ থেকে দাঁড়িয়ে কেউ একজন মোবাইল ফোনে ভিডিও করে।
অভিযোগের বিষয়ে নিজের ভুল স্বীকার করে ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য আব্দুর মাহবুব সিকদার বলেন, ‘আজম বেপারী ঝাড়-ফুক দিয়ে গ্রামের মেয়ে এবং বউদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে। সম্প্রতি সে স্থানীয় জহির খানের স্ত্রী পারভীন বেগম ও তার মেয়ে’র সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক করে। এমনকি পারভীন বেগমকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুদিন পরে তারা পুনরায় এলাকায় ফেরে। এখানে এসে আমাকে ও পারভীনের স্বামী জহিরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেরে ফেলতে কুফরি দিয়ে বান মারে। আর এই বিষয়টি অন্য এক ওঝার কাছ থেকে জানতে পারি। পরে ওই যুবককে মেমানিয়া গাল্স স্কুল থেকে ধরে আনি।
তিনি বলেন, স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে আজম বেপারীকে ধরে নিয়ে গেলে তাদের সামনে নিজের অপরাধ স্বীকার করে। তাই রাগের মাথায় আজমকে নির্যাতনের পরে মুখে মলমূত্র ঢেলে দিয়ে অপরাধ করেছেন বলে স্বীকার করেন মাহবুব সিকদার।
তবে পুলিশি অভিযান টের পেয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব সিকদার। তিনি স্থানীয় আব্দুল খালেক সিকদারের ছেলে ও হরিনাথপুর লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার মাহবুব সিকদার। তাকেও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হিজলার হরিনাথপুরে শাওড়া সৈয়দখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) তারেক আহসান রাসেল। তবে অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আটককৃতরা হলো- উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের বাসিন্দা শরিফ মাতুব্বরের ছেলে আব্দুর রশিদ ও একই এলাকার বাসিন্দা কবির। এদের মধ্যে আব্দুর রশিদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ‘এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তাছাড়া নির্যাতনের শিকার যুবককেও খুঁজে পায়নি। তবে এই ঘটনায় বিকেলের মধ্যেই মামলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা আমি দেখেছি। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।