বাংলারজমিন
‘বন্ধু আকাশের পরিকল্পনায় যুবলীগ কর্মী মহিদুলকে হত্যা করা হয়েছে’
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
৯ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার, ৮:২৫ পূর্বাহ্ন
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় যুবলীগ কর্মী মহিদুল ইসলাম (২৭) হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সুমন (২২), আকাশ (২০) ও সুমনের সহযোগী লালচাঁনকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। নিহত মহিদুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আকাশের পরিকল্পনাতেই সুমন, মাসুম ও আশিকসহ আরো অনেকে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। সোমবার বিকালে র্যাব-৬ অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুস সালেহীন ইউসুফ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসামিদের সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের কাছে রাতেই হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৬ অধিনায়ক জানান, গত আগস্ট মাসে গল্লামারী পার্কের সামনে মহিদুল ও তার সহযোগীরা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাসুমকে লোহার পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এর জের ধরে মাসুম প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। ঘটনার ১৫ দিন আগে সুমন, মাসুম, আশিক ও আকাশ মহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ২৪শে সেপ্টেম্বর বিকালে সুমন, মাসুম ও আশিকসহ আরো কয়েকজন গল্লামারী ফুয়েল পাম্পের আশপাশে অবস্থান নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আকাশ মহিদুলকে নিয়ে হেঁটে সোনাডাঙ্গা থানাধীন সার্জিক্যাল হাসপাতালের কাছে পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পর আকাশ ঘটনাস্থল থেকে অন্যত্র চলে যায়। আকাশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর সুমন, মাসুম ও আশিক অতর্কিতভাবে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে মহিদুলকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে মহিদুল রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মহিদুলকে খুলনা মেডিকেলে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তিনি জানান, ঘটনার পর মাসুম ও সুমন কমিশনারের গলিতে মাসুমের বন্ধু লালচাঁনের বাসায় রক্তাক্ত জামা পরিবর্তন করে ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি তার বাসায় রেখে এলাকা ত্যাগ করে। ঘটনার পর থেকে এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৬। অবশেষে প্রধান আসামি সুমনকে ঢাকা থেকে এবং মহিদুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ ও সুমনের সহযোগী লালচাঁনকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়াও লালচাঁনের বাসা থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তাক্ত জামা কাপড় উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, সুমন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে মহিদুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল মহিদুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আকাশ। তারই পরিকল্পনা মতে সুমন, মাসুম ও আশিকসহ আরো অনেকে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। এ ছাড়া সুমনের নামে মাদক এবং আকাশের নামে হত্যা এবং নারী ও শিশু নির্যাতনসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, যুবলীগ কর্মী মহিদুল ইসলাম গত ২৪শে সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সোনাডাঙ্গাস্থ মজিদ স্মরণীতে একটি চায়ের দোকানের সামনে খুন হয়। এ ঘটনায় ২৫শে সেপ্টেম্বর রাতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নিহতের ভাই মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৬ অধিনায়ক জানান, গত আগস্ট মাসে গল্লামারী পার্কের সামনে মহিদুল ও তার সহযোগীরা এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাসুমকে লোহার পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এর জের ধরে মাসুম প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। ঘটনার ১৫ দিন আগে সুমন, মাসুম, আশিক ও আকাশ মহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ২৪শে সেপ্টেম্বর বিকালে সুমন, মাসুম ও আশিকসহ আরো কয়েকজন গল্লামারী ফুয়েল পাম্পের আশপাশে অবস্থান নেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আকাশ মহিদুলকে নিয়ে হেঁটে সোনাডাঙ্গা থানাধীন সার্জিক্যাল হাসপাতালের কাছে পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পর আকাশ ঘটনাস্থল থেকে অন্যত্র চলে যায়। আকাশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর সুমন, মাসুম ও আশিক অতর্কিতভাবে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে মহিদুলকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে মহিদুল রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন মহিদুলকে খুলনা মেডিকেলে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তিনি জানান, ঘটনার পর মাসুম ও সুমন কমিশনারের গলিতে মাসুমের বন্ধু লালচাঁনের বাসায় রক্তাক্ত জামা পরিবর্তন করে ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি তার বাসায় রেখে এলাকা ত্যাগ করে। ঘটনার পর থেকে এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৬। অবশেষে প্রধান আসামি সুমনকে ঢাকা থেকে এবং মহিদুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ ও সুমনের সহযোগী লালচাঁনকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়াও লালচাঁনের বাসা থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তাক্ত জামা কাপড় উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, সুমন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে মহিদুল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল মহিদুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আকাশ। তারই পরিকল্পনা মতে সুমন, মাসুম ও আশিকসহ আরো অনেকে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। এ ছাড়া সুমনের নামে মাদক এবং আকাশের নামে হত্যা এবং নারী ও শিশু নির্যাতনসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, যুবলীগ কর্মী মহিদুল ইসলাম গত ২৪শে সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সোনাডাঙ্গাস্থ মজিদ স্মরণীতে একটি চায়ের দোকানের সামনে খুন হয়। এ ঘটনায় ২৫শে সেপ্টেম্বর রাতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নিহতের ভাই মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।