দেশ বিদেশ
কুষ্টিয়ায় চিরনিদ্রায় আবরার
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
৯ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার, ৮:২০ পূর্বাহ্ন
হত্যাকাণ্ডের শিকার বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে কুষ্টিয়ায়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তৃতীয় জানাজা শেষে রায়ডাঙ্গা গ্রামের কবরস্থানে আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় এলাকাবাসী হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। কুষ্টিয়া শহরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। এতে বিএনপির পক্ষে দলটির খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত ও জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু অংশ নেন।
জানাজা শেষ করে একদিকে দাফন চলছে, অন্যদিকে সেখানে মুহূর্তের মধ্যে শোকার্ত মানুষগুলো প্রতিবাদের মিছিলে রূপান্তরিত হয়। তাদের এক দাবি ফাহাদের মতো এমন করুণ পরিণতি রুখতে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ডই হবে একমাত্র বিচার। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে গোটা এলাকা। ‘শেখ হাসিনার বাংলায় খুনিদের ঠাঁয় নাই, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় খুনিদের ঠাঁয় নাই, ফাহাদ ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই, ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই। এরকম নানা ভাষার স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে চারদিক। এর আগে মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৫টার দিকে মরদেহবাহী গাড়িটি শহরের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ সড়কের (পিটিআই রোডের) নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। লাশের অপেক্ষারত স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মা-বাবাসহ পরিবার পরিজনের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। পরে সকাল সাড়ে ৬টায় আল-হেরা জামে মসজিদের পাশে পিটিআই রোডে ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী অংশ নেয়। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শহরের এনএস রোডস্থ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস, সহ-সভাপতি অর্পণ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার ইমন, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জন কৃষ্ণ শীল, দপ্তর সম্পাদক জুলিয়া পারভীন প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, যারা মানুষের কথা বলে, দেশের কথা বলে তাদের মৃত্যু নেই। তারা সব সময় রয়ে যায় মানুষের হৃদয়ে। আর যারা ওই দেশপ্রেমিকদের হত্যা করে তাদেরকে ঘৃণার পাত্র হয়ে অমানুষের খেতাব নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। মানববন্ধনে আবরার ফাহাদকে হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করা হয়।
জানাজা শেষ করে একদিকে দাফন চলছে, অন্যদিকে সেখানে মুহূর্তের মধ্যে শোকার্ত মানুষগুলো প্রতিবাদের মিছিলে রূপান্তরিত হয়। তাদের এক দাবি ফাহাদের মতো এমন করুণ পরিণতি রুখতে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ডই হবে একমাত্র বিচার। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে গোটা এলাকা। ‘শেখ হাসিনার বাংলায় খুনিদের ঠাঁয় নাই, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় খুনিদের ঠাঁয় নাই, ফাহাদ ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই, ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই। এরকম নানা ভাষার স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে চারদিক। এর আগে মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৫টার দিকে মরদেহবাহী গাড়িটি শহরের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ সড়কের (পিটিআই রোডের) নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। লাশের অপেক্ষারত স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মা-বাবাসহ পরিবার পরিজনের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। পরে সকাল সাড়ে ৬টায় আল-হেরা জামে মসজিদের পাশে পিটিআই রোডে ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী অংশ নেয়। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শহরের এনএস রোডস্থ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস, সহ-সভাপতি অর্পণ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার ইমন, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জন কৃষ্ণ শীল, দপ্তর সম্পাদক জুলিয়া পারভীন প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, যারা মানুষের কথা বলে, দেশের কথা বলে তাদের মৃত্যু নেই। তারা সব সময় রয়ে যায় মানুষের হৃদয়ে। আর যারা ওই দেশপ্রেমিকদের হত্যা করে তাদেরকে ঘৃণার পাত্র হয়ে অমানুষের খেতাব নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। মানববন্ধনে আবরার ফাহাদকে হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করা হয়।