বাংলারজমিন
মির্জাপুরে সিন্ডিকেটের কবলে পূজার চাল, দাম নিয়ে হতাশা
মো. জোবায়ের হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) থেকে
৯ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার, ৮:১৪ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার থেকে দেওয়া পূজার চাল নিয়ে সিন্ডিকেটবাজির মাধ্যমে কম মূল্য প্রদান করার অভিযোগ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন পূজারীরা। উপজেলার ২৩৩টি মণ্ডপে পূজা উপলক্ষে দেওয়া ১১৮ টন চাল নিয়ে এই অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ নিয়ে প্রশাসন বরাবর কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি পূজারীরা। তবে সরজমিনে পরিদর্শন ও একাধিক পূজারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পূজা উপলক্ষে দেয়া জিআর চাল একটি সিন্ডিকেট কম দামে কিনে নিচ্ছে যা টাঙ্গাইলের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় অর্ধেক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে পশুপাখিদের খাওয়ানোর চালও বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ২৫-৩০ টাকা কেজি ধরে। কিন্তু পূজা উপলক্ষে দেয়া মণ্ডপপ্রতি ৫০০ কেজি চালের প্রতি কেজি ১০-১২ টাকা মূল্যে ক্রয় করছে ওই সিন্ডিকেট। সে হিসেবে ৫০০ কেজি চালের বিপরীতে পূজারীরা পাচ্ছেন ৫-৬ হাজার টাকা। কিন্তু টাঙ্গাইল সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই চাল ১৯ টাকা ধরে বিক্রি হয়েছে সে হিসাবে তারা ৯-১০ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে জানান একাধিক পূজারী।
পূজারী মিন্টু ঘোষ, বিপ্লবসহ অনেকেই অভিযোগ করেন টাঙ্গাইলের অন্যান্য উপজেলা ও সারা দেশের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় আমাদের মির্জাপুরে চালের দাম সবচাইতে কম দেয়া হয়েছে। পূজারী সুবল পাল, নেপাল শীল জানান, সরকার যে চাল দিয়েছে সেই চাল অতিথি আপ্যায়নের উপযোগী না হলেও চালের দাম অত্যধিক কম বলায় চাল বিক্রি করেননি তারা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির মির্জাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রমথেস গোস্বামী শংকর জানান, মির্জাপুরে একটি সিন্ডিকেট পূজায় পাওয়া চাল নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করছেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যদিও দাপ্তরিকভাবে এই চাল বিক্রি নয় ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে কিন্তু এই চাল অন্যান্য উপজেলায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হলেও আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু দুর্বলতার কারণে পূজারীদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে চাল ক্রয় করেছে সিন্ডিকেট।
জিআর চাল ক্রেতা ও মির্জাপুর সাধারণ খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ছিবার উদ্দিন বলেন, আমরা কারও কাছ থেকে জোর করে চাল ক্রয় করিনি। চালের বাজার কম তাই সেইভাবেই আমরা চাল কিনেছি। যারা আমাদের দামে চাল দেয়নি তারা চাল নিয়ে গেছে। তবে অন্যান্য উপজেলায় ১৯ টাকা ধরে চাল বিক্রি হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, সরকার পূজার চাল ব্যবহারের জন্য দিলেও পূজারীরা তা বিক্রি করছেন। তবে একটি সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম নিয়ে পূজারীদের অসন্তুষ্টির কথা লোকমুখে শুনলেও কেউ এ নিয়ে অভিযোগ করেনি। সামনের বার থেকে পূজার চালের একটি বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
পূজারী মিন্টু ঘোষ, বিপ্লবসহ অনেকেই অভিযোগ করেন টাঙ্গাইলের অন্যান্য উপজেলা ও সারা দেশের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় আমাদের মির্জাপুরে চালের দাম সবচাইতে কম দেয়া হয়েছে। পূজারী সুবল পাল, নেপাল শীল জানান, সরকার যে চাল দিয়েছে সেই চাল অতিথি আপ্যায়নের উপযোগী না হলেও চালের দাম অত্যধিক কম বলায় চাল বিক্রি করেননি তারা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির মির্জাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রমথেস গোস্বামী শংকর জানান, মির্জাপুরে একটি সিন্ডিকেট পূজায় পাওয়া চাল নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করছেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যদিও দাপ্তরিকভাবে এই চাল বিক্রি নয় ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে কিন্তু এই চাল অন্যান্য উপজেলায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হলেও আমাদের অভ্যন্তরীণ কিছু দুর্বলতার কারণে পূজারীদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে চাল ক্রয় করেছে সিন্ডিকেট।
জিআর চাল ক্রেতা ও মির্জাপুর সাধারণ খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ছিবার উদ্দিন বলেন, আমরা কারও কাছ থেকে জোর করে চাল ক্রয় করিনি। চালের বাজার কম তাই সেইভাবেই আমরা চাল কিনেছি। যারা আমাদের দামে চাল দেয়নি তারা চাল নিয়ে গেছে। তবে অন্যান্য উপজেলায় ১৯ টাকা ধরে চাল বিক্রি হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক বলেন, সরকার পূজার চাল ব্যবহারের জন্য দিলেও পূজারীরা তা বিক্রি করছেন। তবে একটি সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম নিয়ে পূজারীদের অসন্তুষ্টির কথা লোকমুখে শুনলেও কেউ এ নিয়ে অভিযোগ করেনি। সামনের বার থেকে পূজার চালের একটি বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।