ফেসবুক ডায়েরি

দেখি আশপাশটাও বদলে যাচ্ছে

শাকেরা আরজু

৩ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৩:১৯ পূর্বাহ্ন

কথা বলছি নিজের বিষয়ে, ৪ বছরের কন্যা সন্তানের মা আমি, জব করি। নিজেকে নিয়ে কখনো ভাবি না, কোথাও গেলে পোশাক পড়তে বাছাই করতে ভালো লাগে না, চুল সাজাতে ভালো লাগে না, বেড়াতে ইচ্ছে করে না, শপিং ভালো লাগে না, নিজের শখের ফটোগ্রাফি করি না, গান শুনতে ইচ্ছে করে না, মুভি দেখতে ইচ্ছে করে না, মজার কিছু দেখলেও শুনলেও হাসি পায় না, ঠিক যেন পানি না পেয়ে নেতিয়ে পড়া একটি ফুল গাছ। নিশ্বাস নিচ্ছি কিন্তু বেচেঁ নেই মনে হতো। সমাজ সংসার আমাকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলতে লাগলো।
বোন ডাক্তার, তাকে সব বললাম, বললো Anhedonia হয়েছে। মানে ডিপ্রেশনে ভুগছি।
কিছুদিন ভাবলাম, একবার দেখিই না চেষ্টা করে এর থেকে বের হওয়া যায় কিনা। অনিচ্ছা সত্বেও ভালো না লাগার কাজ গুলি করতে লাগলাম। তবে একটু একটু করে। ছবি তুলতে ভালো লাগা ফিরিয়ে আনলাম, দিনে সময় পেলে গান শুনতে লাগলাম। বাসায় মেয়ের সাথে সময় কাটানো, ওর পছন্দের কাজ করা, অফিসে বাইরে সবার সাথে হেসে কথা বলার চেষ্টাও করলাম। দেখি আশপাশটাও বদলে যাচ্ছে আমার সাথে সাথে।
যদিও প্রশ্ন এসেছে কেন এত ছবি তোল, আগে তো তুলনি, রোমান্টিক হয়ে যাচ্ছ, আরো নানা কিছু।
তবে যে যাই বলুক, ভেতরে ভেতরে টের পাচ্ছিলাম বাচঁতে শুরু করেছি আবার।
এখন কেউ নেগেটিভ কথা বললে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। অনেক কটু কথা, খোঁচা, বিষণ্ণ, বিপন্ন, বিষ্ময়কর পরিস্থিতিতেও নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করি। নিজে পাহাড়ে উঠতে না পারলেও কেউ উঠলে তাকে স্বাগত জানাই। সমাজ, সংস্কার, শারীরিক বা মানসিক নানা কারণে অনেক সময় মেয়েদের নানা প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। পরিবার অফিসের কলিগ, বন্ধু, এই পুরো সমাজ ই পারে আবার তাকে বাচঁতে শেখাতে। শুধু নিশ্বাস নেয়া নয়, স্বপ্ন নিয়ে বাচঁতে শেখাতে। নিজেকে অবহেলা, লুকিয়ে রাখা নয় এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই, পরিবার ও সমাজের এগিয়ে চলা। (লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া)
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status