বাংলারজমিন
মৌলভীবাজারে বিপ্লবী লীলা নাগের বাড়ি সংরক্ষণের জন্য দাবি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
৩ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৭:২৫ পূর্বাহ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী, উপমহাদেশের নারী জাগরণের পথিকৃত বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী বিপ্লবী লীলা নাগের ১১৯তম জন্মদিনে মৌলভীবাজারের রাজনগরের পাঁচগাঁও-এ লীলা নাগের পৈতৃক বাড়ি সংরক্ষণ করে তার স্মৃতিরক্ষার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মৌলভীবাজারে দাবি সমাবেশ করেছে প্রগতি লেখক সংঘ ও লীলা নাগ স্মৃতি পরিষদ। গতকাল দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত দাবি সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। লীলা নাগ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি কবি ইন্দ্রজিৎ দেবের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমদ আফরোজের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ডা. এম এ আহাদ, সিপিবির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জহর লাল দত্ত, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সমন্বয়ক আ.স.ম সালেহ সোহেল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন মৌলভীবাজার জেলা সংসদের সভাপতি শুবিনয় শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি রেহনুমা রুবাইয়াত প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, রাজনগরের পাঁচগাঁও গ্রামে লীলা নাগের ঐতিহাসিক বাড়িটি বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত প্রয়াত আলাউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের দখলে রয়েছে। বাড়িটি উদ্ধার ও সংরক্ষণ এবং এই বিপ্লবী মহিয়সীর অবদান আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বাড়িটিকে জাদুঘর ও বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সরকার ও সচেতন মহলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন প্রগতি লেখক সংঘ ও লীলা নাগ স্মৃতি পরিষদের প্রতিনিধিরা।
বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী বিপ্লবী লীলা নাগ অখণ্ড ভারতবর্ষে ১৯০০ সালের ২রা অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গিরিশচন্দ্র নাগ ঔপনিবেশিক ভারতের আসামের গোয়ালপাড়া মহকুমার ডেপুটি কালেক্টর এবং স্বদেশি আন্দোলনের নেতা ছিলেন। লীলা নাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী এবং উপমহাদেশের প্রথম মহিলা সম্পাদক হিসেবে লীলা নাগ ‘জয়শ্রী’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন। এ পত্রিকার মাধ্যমে তিনি নারী জাগরণ ও বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। সমাজসংস্কারক, সাংবাদিক, বিপ্লবী লীলা নাগের পরিবারও বৃটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা রাখে। লীলা নাগের রাজনগরের পাঁচগাঁও-এর জন্মভিটা থেকে অনেকে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ঔপনিবেশিক বাংলায় বহু সামাজিক সংগঠন, মহিলা সমিতি এবং স্কুল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। ১৯৭০ সালের ১১ই জুন তিনি কলকাতায় মারা যান।
বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী বিপ্লবী লীলা নাগ অখণ্ড ভারতবর্ষে ১৯০০ সালের ২রা অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গিরিশচন্দ্র নাগ ঔপনিবেশিক ভারতের আসামের গোয়ালপাড়া মহকুমার ডেপুটি কালেক্টর এবং স্বদেশি আন্দোলনের নেতা ছিলেন। লীলা নাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী এবং উপমহাদেশের প্রথম মহিলা সম্পাদক হিসেবে লীলা নাগ ‘জয়শ্রী’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন। এ পত্রিকার মাধ্যমে তিনি নারী জাগরণ ও বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। সমাজসংস্কারক, সাংবাদিক, বিপ্লবী লীলা নাগের পরিবারও বৃটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা রাখে। লীলা নাগের রাজনগরের পাঁচগাঁও-এর জন্মভিটা থেকে অনেকে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ঔপনিবেশিক বাংলায় বহু সামাজিক সংগঠন, মহিলা সমিতি এবং স্কুল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। ১৯৭০ সালের ১১ই জুন তিনি কলকাতায় মারা যান।