বিশ্বজমিন

বৃটিশ সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় আজ

মানবজমিন ডেস্ক

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ২:১৯ পূর্বাহ্ন

বৃটিশ সুপ্রিম কোর্ট আজ এক ঐতিহাসিক রায় দিতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ৫ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন। তার এই সিদ্ধান্ত বেআইনি কিনা সে বিষয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে চূড়ান্ত রায় দেয়ার কথা আজ সুপ্রিম কোর্টের। বৃটিশ মন্ত্রীরা বলছেন, পার্লামেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত আদালতের বিষয় নয়। কিন্তু এর বিরোধিতাকারীরা ও সমালোচকদের যুক্তি, এর মধ্য দিয়ে ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় এমপিদের অংশগ্রহণকে সীমিত করা হয়েছে। আজকের রায় যদি প্রধানমন্ত্রী জনসনের বিরুদ্ধে যায় তাহলে অবিলম্বে পার্লামেন্ট অধিবেশন আহ্বান করা হতে পারে। কারণ, সরকার বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় তারা মেনে চলবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
 
বরিস জনসন এখন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক রয়েছেন। যদি রায় তার বিপক্ষে যায় তাহলে দ্বিতীয়বার পার্লামেন্ট স্থগিত করা হবে না- এমনটা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আগামী ১৪ই অক্টোবর পার্লামেন্ট বসার কথা রয়েছে। সেদিন বক্তব্য রাখবেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। আগামী ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার শেষ সময়সীমা। এমন অবস্থায় পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।

এর বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ব্যবসায়ী জিনা মিলার। দ্বিতীয় আপিলটি করেছে সরকার। এ নিয়ে তিন দিন শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। পার্লামেন্ট স্থগিতকে পুরোপুরি রাজনৈতিক বিষয় এবং এ বিষয়ে আদালতের কিছু করার নেই বলে ইংলিশ হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন জিনা মিলার। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের কোর্ট অব সেশন পার্লামেন্ট স্থগিতকে বেআইনি বলে রায় দেয়ার বিরুদ্ধে আপিল করেছে সরকার। স্কটল্যান্ডের আদালতে এ বিষয়ে মামলা করেছিলেন আন্তঃদলীয় এমপিদের একটি গ্রুপ। এর নেতৃত্বে ছিলেন স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির জোয়ানা চেরি।

এ বিষয়ে বিবিসির আইন বিষয়ক প্রতিনিধি ক্লিভ কোলেম্যান বলছেন, দুটি নাটকীয় সাংঘর্ষিক রায়ের বিষয় সমাধান করতে হবে সুপ্রিম কোর্টকে। এর মধ্যে একটির রায় এমন হতে পারে, যার জন্য বরিস জনসনকে পদত্যাগ করতে হতে পারে। ক্লিভ কোলেম্যান আরো বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট যদি এমন সিদ্ধান্ত দেয় যে, বিষয়টা তাদের। তাহলে তারা রায় দিতে পারে যে, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে যে পরামর্শ দিয়েছেন বরিস জনসন তা আইনসম্মত। এর অর্থ হলো বরিস জনসন তখন বিজয়ী হবেন। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট এমনও রায় দিতে পারে যে, রানীকে দেয়া জনসনের পরামর্শ বেআইনি। এক্ষেত্রে তার উদ্দেশ্য যথার্থ নয়। এর ফলে পার্লামেন্টকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। এমনটা হলে বরিস জনসন হেরে যেতে পারেন। দুটি বিষয়ই তার জন্য খারাপ। কিন্তু তিনি রানীকে অনুপযুক্ত উদ্দেশে ভুলপথে পরিচালিত করেছেন এমনটা হতে পারে খুব খারাপ। এমন প্রেক্ষাপটে তার পদত্যাগ দাবি করা হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্ট যদি তার বিরুদ্ধে রায় দেন তাহলে কি তিনি পদত্যাগ করবেন? এমন প্রশ্নে বরিস জনসন বিবিসিকে বলেছেন, আমি অপেক্ষা করছি। দেখবো রায় কি হয়। বিচার বিভাগ ও আইনের প্রতি সরকারের পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। যদি সরকার বিজয়ী হয় তাহলে কোনোই পরিবর্তন আসবে না। আগামী ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত থাকবে। কিন্তু ভিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে, আরো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে যদি বিচারকরা রায় দেন যে, জনসন বেআইনিভাবে কাজ করেছেন। আদালতে জমা দেয়া ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, আদালত যদি সরকারের বিরুদ্ধে রায় দেয় তাহলে তাদের সামনে তিনটি বিকল্প আছে। তারা আরো একবার পার্লামেন্ট স্থগিত করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা আইনগতভাবে ভিন্ন একটি উপায়ে একই সময়ের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করতে পারে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status