এক্সক্লুসিভ

নবীগঞ্জে সাংবাদিক জুনাইদ হত্যা ৩ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:৫৭ পূর্বাহ্ন

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের আলোচিত সাংবাদিক জুনাইদ আহমদ হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এ ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুইবছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। গতকাল দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাছিম রেজার আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ই জুলাই সাংবাদিক জুনাইদ আহমদ বাড়ি থেকে বের হয়ে জেলা সদর হবিগঞ্জে যান। ওই রাতেই দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে আলামত নষ্ট করার জন্য শায়েস্তাগঞ্জ রেল লাইনে ফেলে রাখে। ১১ই জুলাই সকালে সাংবাদিক জুনাইদ আহমদের মরদেহের প্রায় ২০ টুকরা রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার করে। ঘটনার শুরুতেই জুনাইদ আহমেদের পরিবার এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে আসছিল। একপর্যায়ে জুনাইদের ভাই মোজাহিদ আহমদ বাদী হয়ে হবিগঞ্জের আদালতে একই গ্রামের ফরিদ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করার জন্য জিআরপি থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। মামলার খবর পেয়েই প্রধান আসামি ফরিদ ইংল্যান্ডে পালিয়ে যায়। অপর আসামিরাও আত্মগোপন করে।
এদিকে, পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকায় জুনাইদের পরিবার তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীরের কাছে ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও আসামিদের গ্রেপ্তারের আবেদন করেন। মন্ত্রী এক মাসের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে নির্দেশ দিলেও কোনো ফল হয়নি। একপর্যায়ে নিহত জুনাইদের পরিবারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাহুবল থেকে পুলিশ মামলার ২ নম্বর আসামি পলাতক আব্দুল হামিদকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে রেলওয়ে পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ডের আবেদন করে তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেন। রিমান্ডে নিয়ে ওই কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু উদঘাটন না করে আসামিদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে জুনাইদের পরিবার বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি সোহরাব হোসেনের কাছে অভিযোগ দিলে তিনি নিহত সাংবাদিকের পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের আশ্বাস দেন।
এ মামলার প্রধান আসামি ফরিদ লন্ডনে পলাতক, অপর আসামি বাহুবলের মাদক সম্রাট আব্দুল হামিদকে স্থানীয় জনতা আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ৩য় আসামি বাদশা ছয় মাস জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পায়।

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status