প্রথম পাতা

খালেদের সহযোগী ও অর্থের সন্ধানে র‌্যাব

আল-আমিন

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রবিবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

ক্যাসিনো ডন যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার অবৈধ অর্থ ও তার সহযোগীদের বিষয়ে  অনুসন্ধান শুরু করেছে র‌্যাব। খালেদকে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‌্যাবের গোয়েন্দা ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তার তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালাচ্ছে। তার তথ্যে র‌্যাব খালেদের পাঁচজন সহযোগীর নাম জানতে পেরেছে। ওই ৫ জন সহযোগীর মধ্যে আছে সুমন, আশরাফুল, রবিউল ইসলাম সোহেল ও আরমান। সুমন পল্টন থানা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক ও আশরাফুল হচ্ছেন মতিঝিল থানা যুবলীগের নামধারী নেতা। কোন পদে নেই। রবিউল ইসলাম সোহেল ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উত্তরের সাবেক সভাপতি ও আরমান একই বিভাগের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। সোহেল ও আরমান দুইজনই সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। খালেদ ক্যাসিনো থেকে মাসে প্রায় ১ কোটি টাকা উঠাতেন। ওই টাকার ভাগবাটোয়ারা হতো।

তবে মোটা অংকের কিছু টাকা তিনি নিজের জন্য রেখে দিতেন। ওই টাকা হন্ডির মাধ্যমে তিনি বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন বলে র‌্যাবের ধারণা। খালেদের দুইটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে সেই অ্যাকউন্টে উল্লেখযোগ্য টাকা পাওয়া যায়নি। র‌্যাবের ধারণা, তিনি ওই টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন। খালেদ র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ক্যাসিনোতে কিভাবে জড়ায় এবং তাকে কে-কীভাবে সহযোগিতা করেছে তার বিস্তারিত জানিয়েছেন। খালেদের কাছ থেকে যে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে সেই মোবাইল ফোনে যাদের নাম রয়েছে অধিকাংশ লোকের নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ক্যাসিনোর সঙ্গে তাদের লিঁয়াজো ছিল। তাদের প্রত্যেক্যের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে গোয়েন্দারা।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার মানবজমিনকে জানান, দুর্নীতিবাজ ও সস্ত্রাসীরা যতদিন পর্যন্ত নির্মূল না হবে ততদিন পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তার হওয়া খালেদের তথ্য অনুযায়ী অভিযান চলছে।
র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার মতিঝিল এলাকাসহ যেসবস্থানে ক্যাসিনো ছিল সেগুলো পরিচালনার ভার ছিল খালেদের। ক্যাসিনোর টাকা যথাসময়ে গডফাদারদের কাছে পৌঁছে দেয়ার কারণে ওই সকল গডফাদারদের আস্থভাজনে পরিণত হয় খালেদ।

সূত্র জানায়, যে ৫ জন খালেদের সহযোগী ছিলো তার মধ্যে একজনের নাম সুমন। সুমন পল্টন গালর্স স্কুলের পাশের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে থাকেন। ১০ বছর আগে পল্টন মোড়ে ফুটপাতে একটি চশমার দোকান ছিল। খালেদের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর তার জগৎ রঙ্গিন হয়ে যায়। ক্যাসিনোর টাকায় বদলে যায় তার জীবন। খালেদের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর সুমনের সঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের এক নেতার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে। তার সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার কারণে রাজধানীর ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পল্টন যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদকের পদ পান। এতে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status