বাংলারজমিন
নবীনগরে সরকারি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৮:১২ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সরকারের হতদরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ’ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ উপ-খাতে ২০ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টাকা নবীনগর উপজেলার পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে ৮টি ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। অভিযোগ উঠে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা দয়াল চন্দ্র শীল সংশোধিত তালিকায় ৭ নম্বরে থাকা পৌরসভার ভেলানগর ভোলাচং গ্রামে হায়দার আলীর ছেলে মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে ওই ঘর বরাদ্দের জন্য ১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। প্রকল্প অফিস সূত্র জানায়, মূল তালিকায় উপজেলার পূর্বাঞ্চলের কাইতলা (উ) ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের নামে বরাদ্দ ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশে সেই নাম পরিবর্তন করে কাইতলা (উ) এর স্থলে পৌরসভার ভেলানগর ভোলাচং গ্রামের নাম দিয়ে উক্ত সংশোধনী তালিকা করা হয়।
এ ব্যাপারে ওই আওয়ামী লীগ নেতা দয়াল চন্দ্র শীলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি ও তার মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ করে দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার মোবাইলটি বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মোজাম্মেল হক বলেন, দলীয় নেতাকর্মী ও অফিসকে ম্যানেজ করার কথা বলে দয়াল আমার কাছে ১ লাখ টাকা চায় আমি ৮০ হাজার টাকা দেই, বাকি টাকা দেয়ার জন্য আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং বাকি টাকা না দিলে আমার হাত-পা কেটে ফেলবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মোজাম্মেলের কাছে ঘরের কথা বলে যে টাকা নিয়েছে সেটা দয়াল আমার কাছে স্বীকার করেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশে কাইতলা (উ) কেটে পৌরসভার ভেলানগর ভোলাচংয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধিত তালিকা করা হয়েছে। এই ঘরটির ব্যাপারে আর্থিক লেনদেনের কথা শুনেছি কিন্তু লিখিত কোনো অভিযোগ নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, এ ব্যাপারে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি মৌখিকভাবে আমার কানে এসেছে কিন্তু সরাসরি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সরকারের এ প্রকল্পের ঘর পেতে কোনো টাকা দিতে হয় না। কেউ যদি এ ধরনের অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকে, প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, তালিকায় নাম কেটে এটা সঠিক নয়, পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় স্থান পরিবর্তন হয়েছে, এটি সরকারি প্রজেক্ট, কোনো আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই, কেউ যদি কারো নাম করে নিয়ে থাকে এবং প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে ওই আওয়ামী লীগ নেতা দয়াল চন্দ্র শীলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি ও তার মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ করে দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার মোবাইলটি বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মোজাম্মেল হক বলেন, দলীয় নেতাকর্মী ও অফিসকে ম্যানেজ করার কথা বলে দয়াল আমার কাছে ১ লাখ টাকা চায় আমি ৮০ হাজার টাকা দেই, বাকি টাকা দেয়ার জন্য আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং বাকি টাকা না দিলে আমার হাত-পা কেটে ফেলবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মোজাম্মেলের কাছে ঘরের কথা বলে যে টাকা নিয়েছে সেটা দয়াল আমার কাছে স্বীকার করেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশে কাইতলা (উ) কেটে পৌরসভার ভেলানগর ভোলাচংয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধিত তালিকা করা হয়েছে। এই ঘরটির ব্যাপারে আর্থিক লেনদেনের কথা শুনেছি কিন্তু লিখিত কোনো অভিযোগ নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, এ ব্যাপারে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি মৌখিকভাবে আমার কানে এসেছে কিন্তু সরাসরি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সরকারের এ প্রকল্পের ঘর পেতে কোনো টাকা দিতে হয় না। কেউ যদি এ ধরনের অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকে, প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, তালিকায় নাম কেটে এটা সঠিক নয়, পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় স্থান পরিবর্তন হয়েছে, এটি সরকারি প্রজেক্ট, কোনো আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই, কেউ যদি কারো নাম করে নিয়ে থাকে এবং প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।