বাংলারজমিন
মাগুরায় পানির অভাবে পাট ও আমন চাষে ক্ষতির আশঙ্কা
মাগুরা প্রতিনিধি
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন
মাগুরা জেলায় গত বছর জুন-জুলাই মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল, এ বছর একই সময়ে হয়েছে তার অর্ধেক। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে কৃষিতে।
জেলার অন্যতম নদী গড়াই ও মধুমতি ছাড়া বাকি নদীগুলোতে পানি তেমন বাড়েনি। খালগুলোর অবস্থা আরো ভয়াবহ। খালগুলোতে পানি শুষ্ক মৌসুমের মতো তলানিতে। পানির অভাবে জেলার কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। একই কারণে আমন ধান রোপণেও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে কৃষকদের।
কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পাট কাটা ও আমন রোপণ শেষ না হলে দুই ফসলেই লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে কৃষকদের।
সদর উপজেলার বালিয়াডাঙা গ্রামের নাজিম উদ্দিন জানান, এ মৌসুমে তিনি ৬ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। ইতিমধ্যে পাট কাটা শেষ হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। পাট পচানোর পানির অভাবে মাঠে রয়েছে পাট। সদর উপজেলার হাওড়খালি খালে পাট পচানোর জন্য ভেজাচ্ছিলেন চাষি আকামত ও সলেমান। তারা জানান, আশপাশের অনেক চাষি নির্ভর করে এ খালের উপর। এ বছর খালে পানি নেই বললেই চলে। যেটুকু আছে তাতে কাজ হচ্ছে না। তারা আরো জানান, গত বছরের চেয়ে এবার পাটের ফলন ভালো কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় মোট ৩২ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত জেলায় ১৬ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমির পাট কাটা হয়েছে।
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, মধুমতি ও গড়াই ছাড়া এলাকার সব নদ-নদীতে বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর পাট চাষিরা। কিন্তু সবকটি নদীতে গড় পানির পরিমাণ তিন মিটারের নিচে যা অন্য বছরের তুলনায় কম। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জাহিদুল আমিন বলেন, পাটের দাম নির্ধারণ করে এর রঙের উপর। পরিষ্কার পানিতে পাট পচাতে না পারলে ভালো রং হয় না। যেসব এলাকায় পানির বেশি সংকট সেখানে চাষিরা রিবন রেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে। তিনি আরো জানান, পাট কাঁচা অবস্থায় আঁশ আলাদা করে অল্প পানিতে ভেজানো যায়। বড় চাড়ি বা পলিথিন বেষ্টিত স্থানে এ পদ্ধতিতে পাট পচানো যায়। এতে পাটের গুণগত মানে কোনো তারতম্য হয় না।
কর্মকর্তা আরো বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে কাটতে না পারলে আঁশ আরো শক্ত হবে। এতে গুণগত মান নষ্ট হবে।
জেলার অন্যতম নদী গড়াই ও মধুমতি ছাড়া বাকি নদীগুলোতে পানি তেমন বাড়েনি। খালগুলোর অবস্থা আরো ভয়াবহ। খালগুলোতে পানি শুষ্ক মৌসুমের মতো তলানিতে। পানির অভাবে জেলার কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। একই কারণে আমন ধান রোপণেও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে কৃষকদের।
কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পাট কাটা ও আমন রোপণ শেষ না হলে দুই ফসলেই লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে কৃষকদের।
সদর উপজেলার বালিয়াডাঙা গ্রামের নাজিম উদ্দিন জানান, এ মৌসুমে তিনি ৬ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। ইতিমধ্যে পাট কাটা শেষ হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। পাট পচানোর পানির অভাবে মাঠে রয়েছে পাট। সদর উপজেলার হাওড়খালি খালে পাট পচানোর জন্য ভেজাচ্ছিলেন চাষি আকামত ও সলেমান। তারা জানান, আশপাশের অনেক চাষি নির্ভর করে এ খালের উপর। এ বছর খালে পানি নেই বললেই চলে। যেটুকু আছে তাতে কাজ হচ্ছে না। তারা আরো জানান, গত বছরের চেয়ে এবার পাটের ফলন ভালো কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় মোট ৩২ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত জেলায় ১৬ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমির পাট কাটা হয়েছে।
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, মধুমতি ও গড়াই ছাড়া এলাকার সব নদ-নদীতে বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর পাট চাষিরা। কিন্তু সবকটি নদীতে গড় পানির পরিমাণ তিন মিটারের নিচে যা অন্য বছরের তুলনায় কম। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জাহিদুল আমিন বলেন, পাটের দাম নির্ধারণ করে এর রঙের উপর। পরিষ্কার পানিতে পাট পচাতে না পারলে ভালো রং হয় না। যেসব এলাকায় পানির বেশি সংকট সেখানে চাষিরা রিবন রেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে। তিনি আরো জানান, পাট কাঁচা অবস্থায় আঁশ আলাদা করে অল্প পানিতে ভেজানো যায়। বড় চাড়ি বা পলিথিন বেষ্টিত স্থানে এ পদ্ধতিতে পাট পচানো যায়। এতে পাটের গুণগত মানে কোনো তারতম্য হয় না।
কর্মকর্তা আরো বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে কাটতে না পারলে আঁশ আরো শক্ত হবে। এতে গুণগত মান নষ্ট হবে।