শেষের পাতা
‘টাকা দিয়ে ছাত্র প্রতিনিধি এর নাম কি রাজনীতি’
ইবি প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন নেতাকর্মীরা। গতকাল লাগাতার আন্দোলনের ৫ম দিন পার করলেন পদবঞ্চিতরা। সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কারের দাবি জানান তারা। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ঝাল চত্বরে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন তারা। সাবেক নেতা শিশির ইসলাম বাবু, মাসুদ, লালন ও আরাফাতের নেতৃত্বে তিন শতাধিক কর্মী বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে তারা ভিসি ড. রাশিদ আসকারীর কাছে একই দাবিতে সাক্ষাৎ করতে যান। সেখানে তারা ভিসিকে আবারো ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। এর মধ্যে শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে বহিষ্কার না করলে ক্যাম্পাস অচল করে দেয়ার হুমকি দেন নেতারা। এদিকে গণস্বাক্ষর চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রাখেন তারা।
এ সময় রাকিবের নামে অর্থ দিয়ে নেতা হওয়া, নিয়োগ বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন তারা। সাদা কাপড়ে গণস্বাক্ষরে কর্মীরা প্রশাসন ও সাবেক প্রক্টর মাহবুবর রহমানের মাধ্যমে রাকিব নেতা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে প্রশাসন থেকে টাকা নিয়েই সে নেতা হয়েছে বলেও বেশ কয়েকজন কর্মী অভিযোগ দিয়ে স্বাক্ষর করে। অন্য এক ছাত্রলীগ কর্মী লিখেন, ‘টাকা দিয়ে ছাত্র প্রতিনিধি, এর নাম কি ছাত্র রাজনীতি?’ এ ধরনের প্রায় ৩ শতাধিক মন্তব্য ও স্বাক্ষর দেন নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে ভিসি ড. রাশিদ আসকারী মানবজমিনকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার বিরুদ্ধে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ ছাত্র হিসেবে তার নিয়োগ-বাণিজ্যে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমি পরিবহন শাখায় তলব করেছি, ড্রাইভার নিয়োগ কেন্দ্রিক কোনো বিজ্ঞপ্তি আছে কি না? তারা রিপোর্ট দিলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।’
এ সময় রাকিবের নামে অর্থ দিয়ে নেতা হওয়া, নিয়োগ বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন তারা। সাদা কাপড়ে গণস্বাক্ষরে কর্মীরা প্রশাসন ও সাবেক প্রক্টর মাহবুবর রহমানের মাধ্যমে রাকিব নেতা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে প্রশাসন থেকে টাকা নিয়েই সে নেতা হয়েছে বলেও বেশ কয়েকজন কর্মী অভিযোগ দিয়ে স্বাক্ষর করে। অন্য এক ছাত্রলীগ কর্মী লিখেন, ‘টাকা দিয়ে ছাত্র প্রতিনিধি, এর নাম কি ছাত্র রাজনীতি?’ এ ধরনের প্রায় ৩ শতাধিক মন্তব্য ও স্বাক্ষর দেন নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে ভিসি ড. রাশিদ আসকারী মানবজমিনকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার বিরুদ্ধে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ ছাত্র হিসেবে তার নিয়োগ-বাণিজ্যে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমি পরিবহন শাখায় তলব করেছি, ড্রাইভার নিয়োগ কেন্দ্রিক কোনো বিজ্ঞপ্তি আছে কি না? তারা রিপোর্ট দিলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।’