বাংলারজমিন
তবুও দেখা নেই রুপালী ইলিশের
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
ইলিশশূন্যতায় হাহাকার চলছে বরগুনার পাথরঘাটার জেলে পল্লীগুলোতে। বঙ্গোপসাগর ও বিষখালী নদীর ইলিশকে ঘিরেই এখানকার জেলেদের জীবন-জীবিকা চলে। ভাদ্র শেষ হয়ে আশ্বিন চলছে। নদী ও সাগরে পানি বাড়ছে, থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি তবুও দেখা নেই রুপালি ইলিশের।
সাগর ও নদীতে মাছ না পাওয়ায় উপকূলের জেলে পরিবারগুলো অভাব অনটন আর চরম হতাশার মধ্যে দিন পার করছে। সাগর কিংবা নদীতে জাল ফেলে দু-একটা ইলিশের দেখা পেলেও তা হয়তো পরিবারের আহারেই চলে যায়। আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়ায় অভাব-অনটনে ঋণ করে চলছে জেলেদের সংসার। এনজিওর লোন আর মহাজনের দাদনের ভাবনাই জেলেদের পরিবারে নেমে এসেছে চরম হতাশা।
অন্যদিকে জেলেদের লোন ও দাদন দিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন এনজিও এবং ব্যবসায়ীরা। মাছ ধরা না পড়ায় জেলেরা ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছে না। জেলেরা বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ট্রলার, নৌকা ও জাল কিনে নদীতে নেমেছে। কিন্তু সারা দিন জাল ফেলেও মাছ না পাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে। হতাশায় এখন অনেক জেলেই নদীতে যাচ্ছে না। নদীর তীরেও অনেকে নৌকায় বসে অলস সময় কাটাচ্ছে। অন্যকোনো আয়ের উৎস না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে জেলেরা। বর্তমানে জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) বরগুনার পাথরঘাটায় দেখা যায়, ঘাটে নোঙর করে আছে জেলেদের শতাধিক ট্রলার। আড়তে অলস সময় পার করছেন আড়ৎদাররা। দু-এক ঝুড়ি মাছ ঘাটে আনা হলেও নেই হাঁকডাক। কারণ এ সময়ে যে পরিমাণ মাছ অবতরণ কেন্দ্রে আসার কথা তার তিন ভাগের এক ভাগও ইলিশ কেনাবেচা নেই।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদী ও সমুদ্রে ইলিশ ধরা না পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। দিন-রাত জাল ফেলে যে কয়টি মাছ পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে ট্রলারের তেল খরচও হয় না। জেলেরা আরও জানান, অনেকে এনজিও ও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইলিশ বিক্রির টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন। কিন্তু ইলিশ ধরা না পড়ায় দেনাও শোধ করতে পারছেন না তারা। নদীতে জাল ফেলে ফিরছে খালি হাতে। চড়া সুদে আনা ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। ট্রলার মাঝিদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, প্রতি বছর বৈশাখ থেকে ইলিশ ধরা শুরু হলেও এবছর ভরা মৌসুমে দুমাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে কয়েক দিন ইলিশ ধরা পড়লেও এখন আশ্বিন মাস শেষ হতে চললেও ইলিশের দেখা মিলছে না।
ইলিশের আড়ৎদার হাফিজুর রহমান বলেন, ভাদ্র মাসে বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়বে সেই আশায় ছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলছে না। বাকি সময়ে ইলিশ পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহ্ফুজুল হাসনাইন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা গভীর সমুদ্রে যেতে পারছে না। তাছাড়া এ বছর জলবায়ুর কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়। যে কারণে মনে হয় তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। আমরা আশা করি অচিরেই রুপালি ইলিশ ধরা পড়বে।
সাগর ও নদীতে মাছ না পাওয়ায় উপকূলের জেলে পরিবারগুলো অভাব অনটন আর চরম হতাশার মধ্যে দিন পার করছে। সাগর কিংবা নদীতে জাল ফেলে দু-একটা ইলিশের দেখা পেলেও তা হয়তো পরিবারের আহারেই চলে যায়। আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়ায় অভাব-অনটনে ঋণ করে চলছে জেলেদের সংসার। এনজিওর লোন আর মহাজনের দাদনের ভাবনাই জেলেদের পরিবারে নেমে এসেছে চরম হতাশা।
অন্যদিকে জেলেদের লোন ও দাদন দিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন এনজিও এবং ব্যবসায়ীরা। মাছ ধরা না পড়ায় জেলেরা ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছে না। জেলেরা বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ট্রলার, নৌকা ও জাল কিনে নদীতে নেমেছে। কিন্তু সারা দিন জাল ফেলেও মাছ না পাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে। হতাশায় এখন অনেক জেলেই নদীতে যাচ্ছে না। নদীর তীরেও অনেকে নৌকায় বসে অলস সময় কাটাচ্ছে। অন্যকোনো আয়ের উৎস না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে জেলেরা। বর্তমানে জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) বরগুনার পাথরঘাটায় দেখা যায়, ঘাটে নোঙর করে আছে জেলেদের শতাধিক ট্রলার। আড়তে অলস সময় পার করছেন আড়ৎদাররা। দু-এক ঝুড়ি মাছ ঘাটে আনা হলেও নেই হাঁকডাক। কারণ এ সময়ে যে পরিমাণ মাছ অবতরণ কেন্দ্রে আসার কথা তার তিন ভাগের এক ভাগও ইলিশ কেনাবেচা নেই।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদী ও সমুদ্রে ইলিশ ধরা না পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। দিন-রাত জাল ফেলে যে কয়টি মাছ পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে ট্রলারের তেল খরচও হয় না। জেলেরা আরও জানান, অনেকে এনজিও ও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইলিশ বিক্রির টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন। কিন্তু ইলিশ ধরা না পড়ায় দেনাও শোধ করতে পারছেন না তারা। নদীতে জাল ফেলে ফিরছে খালি হাতে। চড়া সুদে আনা ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। ট্রলার মাঝিদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, প্রতি বছর বৈশাখ থেকে ইলিশ ধরা শুরু হলেও এবছর ভরা মৌসুমে দুমাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে কয়েক দিন ইলিশ ধরা পড়লেও এখন আশ্বিন মাস শেষ হতে চললেও ইলিশের দেখা মিলছে না।
ইলিশের আড়ৎদার হাফিজুর রহমান বলেন, ভাদ্র মাসে বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়বে সেই আশায় ছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলছে না। বাকি সময়ে ইলিশ পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহ্ফুজুল হাসনাইন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা গভীর সমুদ্রে যেতে পারছে না। তাছাড়া এ বছর জলবায়ুর কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়। যে কারণে মনে হয় তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। আমরা আশা করি অচিরেই রুপালি ইলিশ ধরা পড়বে।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]