প্রথম পাতা
কাউন্সিলে বড় পরিবর্তন আসছে আওয়ামী লীগে
কাজী সোহাগ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
কাউন্সিলের মাধ্যমে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। দল ও সরকারকে আলাদা করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন এমন অনেককেই সম্মেলনে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হতে পারে। আবার দলীয় পদ থেকে বাদ পড়েছেন কিন্তু দলীয় সভাপতির আস্থায় আছেন এমন অনেককে মন্ত্রিসভায় জায়গা দেয়া হতে পারে। সবমিলিয়ে আওয়ামী লীগের আগামী নেতৃত্বে থাকবে বড় ধরনের চমক। দলের প্রায় সব বিভাগেই আনা হবে পরিবর্তন। বিশেষ করে উপদেষ্টা পরিষদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বিষয় ভিত্তিক সম্পাদকমন্ডলী,সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপ-সম্পাদকে ব্যপক পরিবর্তন করা হবে। দুটি কারণে বড় ধরনের পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন, দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। প্রথমত ক্ষমতায় থাকতে থাকতে সাংগঠনিক কাঠামো আরও মজবুত করা। দ্বিতীয়ত আগামী বছর জুড়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হবে। এজন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দল সাংগঠনিকভাবে চাঙ্গা না থাকলে বছরব্যাপী আয়োজন সফল করা সম্ভব নয়। এজন্য নতুন ও তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো হবে।
সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়েও আলোচনা রয়েছে। বর্তমানে এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন ওবায়দুল কাদের। কাউন্সিলে তিনিই এ দায়িত্বে থাকছেন নাকি নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হবে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে গতকাল ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর ওপরই নির্ভর করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন,আমাদের দলের সভাপতি ও পার্টির সুপ্রিম শেখ হাসিনা। কাউন্সিলে কাউন্সিলররা নেত্রীর মাইন্ড সেটের ওপর সবকিছু ছেড়ে দেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সভাপতির নির্দেশ অনুযায়ী চলেন। আরেকবার সাধারণ সম্পাদক হবো কি না তা নেত্রীর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তিনি বললে থাকবো, না বললে সরে যাবো। তবে এই পদে যে-ই আসুক আমি তাকে স্বাগত জানাই। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থী যে কেউ হতে পারেন। এটা তাদের অধিকার। কিন্তু নেত্রীর ইচ্ছার বাইরে কিছু হয় না। নেত্রী যাকে চয়েস করবেন তিনিই নেতা হবেন। আমি ভাগ্যবান যে, এই দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এটা বিরাট সম্মানের বিষয়। দলের অনেক বড় বড় নেতা এখনও সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি।
এদিকে, দলের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, সাধারণ সম্পাদক পদে চার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকই ছিলেন আলোচনায়। এর মধ্যে ছাত্রলীগ ইস্যুতে দুই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের কপাল পুড়েছে বলে জানান তারা। ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে যে রিপোর্ট আছে তাতে ওই দুই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও ছাত্রলীগ কেন্দ্রিক নানা অভিযোগ রয়েছে। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক সম্পাদকের ৮ জনের মধ্যে ৬ জনই বাদ পড়তে পারেন। তাদের জায়গায় আসবেন ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পরীক্ষিত কয়েকজন নেতা। দলীয় সভাপতি এরইমধ্যে নানা উপায়ে যোগ্য নেতাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ মানবজমিনকে বলেন, কাউন্সিল হলে লিডারশিপের পরিবর্তন থাকে। সেক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভেতরে নতুনদের সুযোগ দেয়া হয়। নতুনরা আসলে সন্নিবেশ হয়। শুধু নেতা পরিবর্তন করার জন্য কাউন্সিল না। কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্রের সংযোজন-বিয়োজনও থাকে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১ তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২০ ও ২১শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তিন বছর পর পর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হয়। আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩শে অক্টোবর। সে হিসাবে আগামী অক্টোবরের ২৩ তারিখে শেষ হচ্ছে ত্রিবার্ষিক কমিটির মেয়াদ। এদিকে, ৮টি সাংগঠনিক টিম গঠনের মাধ্যমে সম্মেলন প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে দলটি। বিভিন্ন জেলা উপজেলায় তারা বর্ধিত সভার পাশাপাশি তৃণমূলের সার্বিক অবস্থা তুলে নিয়ে আসছেন। এদিকে, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল কমিটির সম্মেলন আগামী ১০ই ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দেশের সকল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কাছে লেখা এই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘গত ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘‘গণভবন”-এ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২০ ও ২১শে ডিসেম্বর ২০১৯ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় আসন্ন জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনের পূর্বেই সংগঠনের যে সকল শাখা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সেখানে সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’ দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সারা দেশ থেকে সাড়ে ৬ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। দলের জেলা কমিটির নির্বাচিত নেতারা হলেন জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিলর। দলের গঠনতন্ত্রে প্রতি ২৫ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একজন কাউন্সিলর নির্বাচনের বিধান আছে।
সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়েও আলোচনা রয়েছে। বর্তমানে এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন ওবায়দুল কাদের। কাউন্সিলে তিনিই এ দায়িত্বে থাকছেন নাকি নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হবে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে গতকাল ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর ওপরই নির্ভর করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন,আমাদের দলের সভাপতি ও পার্টির সুপ্রিম শেখ হাসিনা। কাউন্সিলে কাউন্সিলররা নেত্রীর মাইন্ড সেটের ওপর সবকিছু ছেড়ে দেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সভাপতির নির্দেশ অনুযায়ী চলেন। আরেকবার সাধারণ সম্পাদক হবো কি না তা নেত্রীর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তিনি বললে থাকবো, না বললে সরে যাবো। তবে এই পদে যে-ই আসুক আমি তাকে স্বাগত জানাই। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থী যে কেউ হতে পারেন। এটা তাদের অধিকার। কিন্তু নেত্রীর ইচ্ছার বাইরে কিছু হয় না। নেত্রী যাকে চয়েস করবেন তিনিই নেতা হবেন। আমি ভাগ্যবান যে, এই দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এটা বিরাট সম্মানের বিষয়। দলের অনেক বড় বড় নেতা এখনও সাধারণ সম্পাদক হতে পারেননি।
এদিকে, দলের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, সাধারণ সম্পাদক পদে চার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকই ছিলেন আলোচনায়। এর মধ্যে ছাত্রলীগ ইস্যুতে দুই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের কপাল পুড়েছে বলে জানান তারা। ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে যে রিপোর্ট আছে তাতে ওই দুই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও ছাত্রলীগ কেন্দ্রিক নানা অভিযোগ রয়েছে। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক সম্পাদকের ৮ জনের মধ্যে ৬ জনই বাদ পড়তে পারেন। তাদের জায়গায় আসবেন ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পরীক্ষিত কয়েকজন নেতা। দলীয় সভাপতি এরইমধ্যে নানা উপায়ে যোগ্য নেতাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ মানবজমিনকে বলেন, কাউন্সিল হলে লিডারশিপের পরিবর্তন থাকে। সেক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভেতরে নতুনদের সুযোগ দেয়া হয়। নতুনরা আসলে সন্নিবেশ হয়। শুধু নেতা পরিবর্তন করার জন্য কাউন্সিল না। কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্রের সংযোজন-বিয়োজনও থাকে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১ তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২০ ও ২১শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তিন বছর পর পর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হয়। আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩শে অক্টোবর। সে হিসাবে আগামী অক্টোবরের ২৩ তারিখে শেষ হচ্ছে ত্রিবার্ষিক কমিটির মেয়াদ। এদিকে, ৮টি সাংগঠনিক টিম গঠনের মাধ্যমে সম্মেলন প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে দলটি। বিভিন্ন জেলা উপজেলায় তারা বর্ধিত সভার পাশাপাশি তৃণমূলের সার্বিক অবস্থা তুলে নিয়ে আসছেন। এদিকে, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল কমিটির সম্মেলন আগামী ১০ই ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দেশের সকল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কাছে লেখা এই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘গত ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ‘‘গণভবন”-এ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২০ ও ২১শে ডিসেম্বর ২০১৯ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় আসন্ন জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনের পূর্বেই সংগঠনের যে সকল শাখা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সেখানে সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’ দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সারা দেশ থেকে সাড়ে ৬ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। দলের জেলা কমিটির নির্বাচিত নেতারা হলেন জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিলর। দলের গঠনতন্ত্রে প্রতি ২৫ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একজন কাউন্সিলর নির্বাচনের বিধান আছে।