বাংলারজমিন
অশীতিপর মোকছেদকে তাড়িয়ে দিলো স্ত্রী-সন্তানরা
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
আশি বছরের মোকছেদ আলী। বয়সের ছাপের সঙ্গে অপুষ্টি আর অবহেলার কারণে শরীরটা নুয়ে পড়েছে অনেকখানি। বসে থাকলে মাথা তুলে কথা বলতেই তার রাজ্যের কষ্ট। যে সংসারের জন্যে একসময় তিনি খেটেছেন নিরন্তর সেই সংসারে এই বৃদ্ধ বয়সে তার ঠাঁই হয়নি। ্ সোনামুখী গ্রামের মোকছেদ আলীর সংসারে স্ত্রী, তিন পুত্র ও দুই মেয়ে রয়েছে। এক ছেলে দোলন ট্রাকে করে মাটির ব্যবসা করেন। একজন ঢাকায় চাকরি করেন। অন্যরা বাড়িতেই থাকেন। এই সংসারে অন্তত দু’মুঠো ভাতের অভাব হওয়ার কথা নয় মোকছেদ আলীর। কিন্তু তার ঠাঁই হয়েছে সিএনজি স্টেশনের এক ঘরের বারান্দায়। গতকাল সোমবার দুপুরে তাকে সংসারের কথা জিজ্ঞেস করতেই তার দু’চোখ বেয়ে পানি পড়তে তাকে। স্পষ্ট করে কথাও বলার শক্তি হারিয়েছেন মোকছেদ। ইশারায় আর কিছু কথায় তিনি বোঝালেন, বাড়ি থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। অসুখে জোটে না ওষুধ। অনেক আগে থেকেই তার সঙ্গে পরিবারের সবাই এমন আচরণ করে। এ সময় ওই গ্রামের শাহ্ আলম জানান, কয়েকদিন আগেই তাকে ধরে বাড়িতে রাখতে গিয়েছিল কয়েকজন সিএনজি ড্রাইভার। তাদের সঙ্গে মোকছেদের স্ত্রী খারাপ আচরণ করেছেন। এ সময় তিনি গ্রহণ করতে চাননি মোকছেদ আলীকে। অবশেষে গত চারদিন ধরে মোকছেদ আলীর আবারো ঠাঁই হয়েছে সিএনজি স্টেশনে।
ওই স্ট্যান্ডের চেইন মাস্টার এন্তাজ আলী জানান, ‘ওই পরিবারের সবাই অন্যরকম। যে কথা বলতে যায় তাকেই নানাভাবে মামলায় জড়িয়ে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, মোকছেদের স্ত্রী কমপক্ষে কয়েক ডজন করে মামলা প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীর নামে করেছেন।
এদিকে মোকছেদের ঠাঁই নেয়া ঘরের মালিক শাহ আলম জানান, এভাবে কখন যে তিনি মারা যাবেন তখন আমি ঝামেলায় পড়ে যাবো। তাই আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ওই স্ট্যান্ডের চেইন মাস্টার এন্তাজ আলী জানান, ‘ওই পরিবারের সবাই অন্যরকম। যে কথা বলতে যায় তাকেই নানাভাবে মামলায় জড়িয়ে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, মোকছেদের স্ত্রী কমপক্ষে কয়েক ডজন করে মামলা প্রতিবেশী ও গ্রামবাসীর নামে করেছেন।
এদিকে মোকছেদের ঠাঁই নেয়া ঘরের মালিক শাহ আলম জানান, এভাবে কখন যে তিনি মারা যাবেন তখন আমি ঝামেলায় পড়ে যাবো। তাই আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।