খেলা

কেন ভারতের বিপক্ষে বারবার এমন হার?

স্পোর্টস রিপোর্টার

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

জাতীয় দল হোক আর অনূর্ধ্ব-১৯- ভারত সামনে এলেই যেন এলোমেলো হয়ে যায় সব। শনিবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ভারতকে ১০৬ রানে গুঁড়িয়ে নিশ্চিত জয় দেখছিল টাইগার যুবারা। ব্যাট হাতে নেমে বিপর্যয়ে পড়লেও অষ্টম উইকেট জুটিতে নৈপুণ্য নিয়ে সম্ভাবনা ধরে রেখেছিল টাইগার যুবারা।  কিন্তু জয় থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থেমে যায় তারা। কেন বারবার ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ে শেষটা সুখকর হয় না? গতকালই  দেশে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এমন হার নিয়ে যুবারা জানিয়েছেন তাদের গভীর আক্ষেপের কথা।  ফাইনালে মাত্র ৮ রানে তিন উইকেট নেয়া তারকা শামীম হোসেন পাটোয়ারি বলেন, ‘এটা বলার মতো না। প্রতিবারই এমন হয়  যে, ইন্ডিয়ার কাছে আমরা জেতা ম্যাচগুলো হেরে যাই। এটা আসলেই অনেক লজ্জার বিষয়। অবশ্যই লজ্জার বিষয় কারণ  বারবারই জেতা ম্যাচগুলো হারছি।’ প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ দল। এই প্রাপ্তিও কম নয়। এই দলটিই সবশেষ ইংল্যান্ড সফরেও দারুণ খেলেছে। তাই তাদের নিয়ে আশার কমতি নেই দলের ফিল্ডিং  কোচ ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সের। তিনি মনে করেন ফাইনাল হারলেও তাদের মধ্যে জয়ের ক্ষুধাটা দেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয় ব্যাটিং ব্যর্থতার পাশাপাশি বাজে আম্পায়ারিংকেও কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ডিকেন্স। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে আম্পায়ার দুটি বাজে সিদ্ধান্ত না দিলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারতো।
ফিল্ডিং কোচ ডিকেন্স জানিয়েছেন বারবার এমন হারের কারণও। তিনি বলেন, ‘আসলে এটি শুধু যে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য হয় এমন না। এটি আমাদের জাতীয় দলের ক্ষেত্রেও হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে আমাদের এই রোগটা পুরানো। আমি সামনে থেকে দেখে যা বুঝেছি যখনই ভারত প্রতিপক্ষ হয় তখনই দল বেশি আবেগী হয়ে খেই হারায়। এমন নয় যে অনূর্ধ্ব-১৯ দল এমন পরিস্থিতিতে আগে অন্য দলের বিপক্ষে জয় পায়নি। তারা সম্প্রতি এমন বেশ কয়েকটি ক্লোজ ম্যাচ দারুণভাবে শেষ করে জয় নিয়ে ফিরেছে। কিন্তু যখনই ভারতের বিপক্ষে এমন পরিস্থিতি হলো তারা যেন কেমন হয়ে গেল। আমাদের উচিত ছিল ৫০ ওভার খেলে জয় নিয়ে ফেরা। সেখানে তাড়াহুড়ার প্রয়োজন ছিল না।’  একই কথা অবশ্য বলেছেন শামীম পাটোয়ারি। তার মতে অন্য কোনো দল হলে অন্য কিছুই হতে পারতো। ভারত বলেই হয় মানসিক একটি বাঁধা ছিল তাদের সামনে। তিনি বলেন, ‘মনে হয়েছিল আমরা ভালো কিছু করতে পারবো। আমরা ম্যাচটা ফিনিশিং করতে পারবো। কিন্তু আসলে এটা আর হয়নি। এটা আমরা এক্সিকিউট করতে পারিনি। আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য। সেরকম কিছু করতে পারিনি দলের জন্য। ব্যাটিংয়ে কিছুই দিতে পারিনি। হয়তো সাইকোলজিক্যাল কিছু একটা কাজ করে ঐ সময়। ব্যক্তিগতভাবে সবার পারফরম্যান্সই ভালো। সবকিছুই ভালো। শুধু ফাইনাল ম্যাচটি খারাপ হয়ে গেছে আমাদের সবার। ভারত ছাড়া অন্য কেউ হলে কি হতো এটা বলা যায় না।
আপনি যদি আগের সিরিজগুলো দেখেন, আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছি। সবকিছুতেই আমাদের উন্নতি হচ্ছে। এশিয়া কাপে আমরা ভালোই খেলেছি। ম্যাচটি দুর্ভাগ্যবশত হেরে গিয়েছি। অসাধারণ বোলিং করেছে আমাদের বোলাররা। সবকিছুতেই ভালো হয়েছে আমাদের।’ ফিল্ডিং  কোচ ডিকেন্সও ভারতের বিপক্ষে  বোলিংটাকেই বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ব্যাটিংয়ে আমরা পারিনি। কিন্তু ওদের কিন্তু আমরা দারুণ বোলিং দিয়ে ১০৬ রানেই বেঁধে ফেলেছিলাম। এটি আমাদের সাফল্যতো বলবোই। আমি মনে করি এই দলটির মধ্যে দারুণ সম্ভাবনা আছে। ওরা দারুণ করছে। আশা করি সামনে ভালো করবে।’ তবে হারের পিছনে বাজে আম্পায়ারিংকেও দায়ি তরে ডিকেন্স বলেন, ‘দুটি আউট খুবই বাজে ছিল। আসলে ভারতের পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত আম্পায়াররা সব সময়ই দিয়ে থাকেন। এটি নতুন কিছু নয়। আমাদের জাতীয় দলও এর শিকার। এই নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কম নয়।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status