এক্সক্লুসিভ
স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৮:২৯ পূর্বাহ্ন
মহম্মদপুরে বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল হাতে নিয়ে রফিক মল্লিক (২৬) নামের এক যুবকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক তরুণী (২৫)। তরুণী রফিককে তার প্রেমিক বলে দাবি করেছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার যশপুর মালোপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়েটি ওই যুবকের বাড়িতেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সাদেক মল্লিকের ছেলে প্রেমিক রফিকুল ইসলাম (শয়ের মল্লিক)-এর বাড়িতে উপজেলার মৌশা উত্তরপাড়া এলাকার এক তরুণী বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল হাতে অনশন করছেন। মেয়েটিকে একা পেয়ে ছেলের পরিবারের লোকজন তার শরীরে আঘাতও করেছে বলে মেয়েটির পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
অনশনরত তরুণী বলেন, ‘রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার ১৩ বছরের সম্পর্ক। তার যখন অন্য জায়গায় বিয়ে হয় তখনও সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে আমার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে কুৎসা রটায়। পরে বাধ্য হয়ে রফিকুলের প্ররোচনায় স্বামীকে তালাক দেই।’ এরপর তাকে বিয়ের কথা বলে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি দেয় এবং বিয়ে ছাড়ায় একসঙ্গে থাকতে শুরু করে রফিকুল। কিছুদিন পরে হঠাৎ ছেলেটি তাকে না বলে বাসা ছেড়ে দিয়ে গোপনে অন্যত্র বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করলে মেয়েটির মনে খটকা লাগে এবং একপর্যায়ে ছেলেটি মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফোনে কথা বলতে গেলে সে ব্যস্ত বলে প্রায়ই তার ফোন কেটে দেয়। এছাড়া বিয়ের কথা বললে ছেলেটি পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় হয়েই বিয়ের দাবি নিয়ে বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে বলে মেয়েটি জানান। ওই ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে না দিলে মেয়েটি আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দেয় পরিবারের লোকজনদের। এদিকে প্রেমিক রফিকুল জানান, পড়ালেখার সুবাদে ওই মেয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সে এখন অনশন করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম ফুল মিয়া বলেন, এ ঘটনায় ছেলের বাড়িতে গিয়েছিলাম। দু’পক্ষকে নিয়ে আমি সমঝোতার চেষ্টা করছি। এর আগে একই দাবিতে অভিযুক্ত রফিকের বাড়িতে গিয়ে আরো এক তরুণী উঠেছিল বলে তিনি জানান। সেটিও গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়েছিল।
অনশনরত তরুণী বলেন, ‘রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার ১৩ বছরের সম্পর্ক। তার যখন অন্য জায়গায় বিয়ে হয় তখনও সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে আমার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে কুৎসা রটায়। পরে বাধ্য হয়ে রফিকুলের প্ররোচনায় স্বামীকে তালাক দেই।’ এরপর তাকে বিয়ের কথা বলে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি দেয় এবং বিয়ে ছাড়ায় একসঙ্গে থাকতে শুরু করে রফিকুল। কিছুদিন পরে হঠাৎ ছেলেটি তাকে না বলে বাসা ছেড়ে দিয়ে গোপনে অন্যত্র বাসা ভাড়া করে থাকতে শুরু করলে মেয়েটির মনে খটকা লাগে এবং একপর্যায়ে ছেলেটি মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফোনে কথা বলতে গেলে সে ব্যস্ত বলে প্রায়ই তার ফোন কেটে দেয়। এছাড়া বিয়ের কথা বললে ছেলেটি পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় হয়েই বিয়ের দাবি নিয়ে বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে বলে মেয়েটি জানান। ওই ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে না দিলে মেয়েটি আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দেয় পরিবারের লোকজনদের। এদিকে প্রেমিক রফিকুল জানান, পড়ালেখার সুবাদে ওই মেয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সে এখন অনশন করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম ফুল মিয়া বলেন, এ ঘটনায় ছেলের বাড়িতে গিয়েছিলাম। দু’পক্ষকে নিয়ে আমি সমঝোতার চেষ্টা করছি। এর আগে একই দাবিতে অভিযুক্ত রফিকের বাড়িতে গিয়ে আরো এক তরুণী উঠেছিল বলে তিনি জানান। সেটিও গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়া হয়েছিল।