এক্সক্লুসিভ

টেকনাফে যুবলীগ নেতা হত্যা

আরো ২ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৭:২৬ পূর্বাহ্ন

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আরো দুই আসামি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার জাদিমোরা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।

নিহতরা হলো- মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু উপজেলার বুসিদং ইউনিয়নের হাসুরতা গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জমির আহমদের ছেলে মো. আবদুল করিম (২৪) ও মিয়ানমারের একই ইউনিয়নের পুইমালী গ্রামের বাসিন্দা এবং একই ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহমদ (২৭) ওরফে নেছার ডাকাত। নিহত দুইজনই যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর সংখ্যা ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহত সবাই সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

টেকনাফ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারেন যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার মামলার আসামিরা টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা চাইল্ড ফ্রেন্ডলি স্পেস অফিসের পেছনে পাহাড়ের উপরে পানির ট্যাংকির নিচে অবস্থান করছে। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে একদল অস্ত্রধারী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলে এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন (৩৫), কনস্টেবল নাবিল (৩০) ও রবিউল ইসলাম (৩৩) আহত হন। এ সময় কোনো উপায়ান্তর না দেখে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করে এগিয়ে যায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন ও রোহিঙ্গারা এগিয়ে এলে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও রোহিঙ্গা মাঝিদের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দুই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ৭ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করে। একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধ দুই যুবকের পরিচয় উপস্থিত রোহিঙ্গা মাঝিদের সহায়তায় শনাক্ত করা হয়েছে। মৃতদেহ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ঘটনার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

গত ২২শে আগস্ট রাতে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে (৩০) তুলে নিয়ে পাহাড়ে গুলি করে হত্যা করে একদল উচ্ছৃঙ্খল রোহিঙ্গা। খবর পেয়ে নিহত ফারুকের ভাই আমির হামজা ও উসমানসহ স্বজনেরা সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তার মরদেহ আনতেও বাধা দেয়। পরে পুলিশ ওমর ফারুকের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত ২৪শে আগস্ট রাতে জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুল আজিজের ছেলে আবদুর শুক্কুর ও ছব্বির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ শাহ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। পরে ২৬শে আগস্ট রাতে একই ক্যাম্পের হামিদ উল্লাহ ছেলে মোহাম্মদ হাসান এবং ১লা সেপ্টেম্বর রাতে ওই ক্যাম্পের মৃত কালা মিয়ার ছেলে ডাকাত নুর মোহাম্মদ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার  দুইজনসহ যুবলীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার ৬ জন আসামি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status