বাংলারজমিন
মেয়ের উত্ত্যক্তকারীর বিচার চাওয়ায় পিতার ওপর হামলা
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
উল্লাপাড়ায় নিজ মেয়ের উত্ত্যক্তকারীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করার অপরাধে মো. শামছুল হক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বন্যাকান্দি গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে শামছুল হক গুরুতর আহত অবস্থায় সিরাজগঞ্জ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। শামছুল হক উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গত ৮ই সেপ্টেম্বর দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে শারমিনকে কয়েক মাস আগে রাস্তার মধ্যে একই গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে লিটন উত্ত্যক্ত করে আসছিল। মেয়েটিকে উত্ত্যক্তকারীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গ্রাম ছেড়ে প্রায় ৪ মাস আগে ঢাকায় চলে যেতে হয়। শারমিন ঢাকায় গিয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। মেয়েটি ঢাকায় যাওয়ার পর উত্ত্যক্তকারী লিটনও কয়েক দিনের ব্যবধানে ঢাকায় গিয়ে একই পোশাক তৈরির কারখানায় চাকরি নেয়। এখানেও লিটন শারমিনকে উত্ত্যক্ত করতো এবং জোর করে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাত। কয়েকদিন লিটনের হাতে শারমিন লাঞ্ছিত হয়েছে। এ অবস্থায় শামছুল হকের পরিবার থেকে লিটনের সঙ্গে শারমিনের বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। লিটন ও তার পরিবার থেকে শারমিনকে বিয়ে করতে রাজি হয়। কিন্তু কিছুদিন পর লিটন গ্রামের কিছু প্রভাবশালী লোকের সহযোগিতায় অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে। এই ঘটনার পর শামছুল হক তার মেয়ের প্রতি অন্যায়-অবিচারের প্রতিকার জানিয়ে সিরাজগঞ্জ বিচারিক হাকিমের আদালতে প্রতারক লিটনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। শামছুল হক অভিযোগ পত্রে আরো বলেন, গত ৩১শে আগস্ট সন্ধ্যায় শামছুল হক তার গ্রাম বন্যাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি মোনহারি (পাউরুটি) দোকানে যাওয়ার সময় কথিত লিটন ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়। লাঠিসোঁটা নিয়ে তারা তাকে বেধড়ক পেটায়। এ সময় তার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোক এগিয়ে এলে লিটন ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। ওই রাতেই স্থানীয়রা শামছুল হককে সিরাজগঞ্জ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় পড়ে আছেন। এরপর শামছুল হক তার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর লিটন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আবারও সিরাজগঞ্জ বিচারিক হাকিমের আদালতে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য উল্লাপাড়া থানায় দেয়া হয়েছে। শামছুল হক তার অভিযোগপত্রে তার মেয়ের লাঞ্ছনা এবং তার (শামছুল) ওপর সন্ত্রাসী হামলার উপযুক্ত বিচারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানায় যোগাযোগ করলে, শামছুল হকের মামলার তদন্তকারী মডেল থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. আসলাম উদ্দীন বিশ্বাস জানান, ইতিমধ্যেই তারা কয়েকবার লিটনকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু লিটনকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ তাকে ধরতে সবধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান জানান, তিনি উল্লিখিত শামছুল হকের অভিযোগপত্রটি পেয়ে এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উল্লাপাড়া থানা পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় পড়ে আছেন। এরপর শামছুল হক তার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর লিটন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আবারও সিরাজগঞ্জ বিচারিক হাকিমের আদালতে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালত থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য উল্লাপাড়া থানায় দেয়া হয়েছে। শামছুল হক তার অভিযোগপত্রে তার মেয়ের লাঞ্ছনা এবং তার (শামছুল) ওপর সন্ত্রাসী হামলার উপযুক্ত বিচারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানায় যোগাযোগ করলে, শামছুল হকের মামলার তদন্তকারী মডেল থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. আসলাম উদ্দীন বিশ্বাস জানান, ইতিমধ্যেই তারা কয়েকবার লিটনকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু লিটনকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ তাকে ধরতে সবধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান জানান, তিনি উল্লিখিত শামছুল হকের অভিযোগপত্রটি পেয়ে এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উল্লাপাড়া থানা পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন।