বাংলারজমিন
সোনারগাঁয়ে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
সোনারগাঁয়ে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিক ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুরে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায়। এ সময় রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকের পরীক্ষাগার, মেশিনপত্র, দরজা- জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ঘটনার পর পরই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুদ্ধ স্বজনদের বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বড় সাদিপুর গ্রামের পিন্টু মিয়ার স্ত্রী আমান্তিকা গর্ভবতী হলে চিকিৎসার জন্য শুক্রবার বিকালে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে আসে। এ সময় ক্লিনিকে অবস্থানরত চিকিৎসক ডা. নূরজাহান বেগম ওইদিন আমান্তিকাকে সিজার করার পরামর্শ দেন এবং নিজেই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তার সিজার করেন। সিজারের পর আমান্তিকার একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। এদিকে ডা. নূরজাহান তাড়াহুড়ো করে সিজারের পর ওই আমান্তিকার পেটে ভুলবশত ব্যান্ডেজ করার গজ কাপড় রেখেই কাটা স্থান সেলাই করে দেন। পরে আমান্তিকার স্বামী ও স্বজনরা তাকে তার সন্তানসহ বাড়ি নিয়ে চলে যান। বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর আমান্তিকার বমি ও পেটে অস্বস্তি হয়ে পেট ফুলে যায়। এ অবস্থায় তার স্বামী ও স্বজনরা পুনরায় ডা. নূরজাহানের শরণাপন্ন হলে আমান্তিকাকে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তির পরামর্শ দেন। ডা. নূরজাহান কেয়ার হাসপাতালে গিয়ে পুনরায় ওই রোগীর আলট্রাসনো করিয়ে দেখতে পান পেটে ব্যান্ডেজ করার গজ কাপড় রয়ে গেছে। পরে তা বের করতে গিয়ে রোগীর জরায়ু কেটে ফেলেন ডা. নূরজাহান। এ সময় রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কেয়ার হাসপাতাল থেকে ঢাকার গেণ্ডারিয়া আজগর আলী হাসপাতালে তাকে প্রেরণ করার পর গতকাল সোমবার ভোরে তিনি মারা যান।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, নিহত আমান্তিকার লাশ দুপুরে একটি এম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হয়েছে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালের সামনে। রোগী মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ডা. নূরজাহানকে খুঁজতে থাকে। সেখানে তাকে না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ স্বজনরা হাসপাতালের পরীক্ষাগার ও দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এদিকে আমান্তিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।
নিহত আমান্তিকার স্বামী মো. পিন্টু মিয়া জানান, বন্দর উপজেলার কল্যাণদী গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে আমান্তিকার সঙ্গে ২০১৮ সালের ৩রা আগস্ট তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রীকে হারাতে হয়েছে। তিনদিনের মাথায় তার কন্যাসন্তান এতিম হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে দোষী ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেন তিনি।
নিহতের বাবা সোহেল মিয়া জানান, শুক্রবার আমার মেয়েকে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ডাক্তার সিজার করার পরামর্শ দেন। জরুরি সিজার না করলে মা ও পেটের সন্তান মারা যাবে বলে জানান। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী আমরা সিজারের সিদ্ধান্ত নিই। ওইদিন ডাক্তার নূরজাহান তাড়াহুড়া করে সিজারের পর পেটে গজ কাপড় রেখেই সেলাই করায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল ভাঙচুর হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠালে বিক্ষুদ্ধ স্বজনদের পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ব্যাপারে উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুদ্ধ স্বজনদের বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বড় সাদিপুর গ্রামের পিন্টু মিয়ার স্ত্রী আমান্তিকা গর্ভবতী হলে চিকিৎসার জন্য শুক্রবার বিকালে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে আসে। এ সময় ক্লিনিকে অবস্থানরত চিকিৎসক ডা. নূরজাহান বেগম ওইদিন আমান্তিকাকে সিজার করার পরামর্শ দেন এবং নিজেই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তার সিজার করেন। সিজারের পর আমান্তিকার একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। এদিকে ডা. নূরজাহান তাড়াহুড়ো করে সিজারের পর ওই আমান্তিকার পেটে ভুলবশত ব্যান্ডেজ করার গজ কাপড় রেখেই কাটা স্থান সেলাই করে দেন। পরে আমান্তিকার স্বামী ও স্বজনরা তাকে তার সন্তানসহ বাড়ি নিয়ে চলে যান। বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর আমান্তিকার বমি ও পেটে অস্বস্তি হয়ে পেট ফুলে যায়। এ অবস্থায় তার স্বামী ও স্বজনরা পুনরায় ডা. নূরজাহানের শরণাপন্ন হলে আমান্তিকাকে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তির পরামর্শ দেন। ডা. নূরজাহান কেয়ার হাসপাতালে গিয়ে পুনরায় ওই রোগীর আলট্রাসনো করিয়ে দেখতে পান পেটে ব্যান্ডেজ করার গজ কাপড় রয়ে গেছে। পরে তা বের করতে গিয়ে রোগীর জরায়ু কেটে ফেলেন ডা. নূরজাহান। এ সময় রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কেয়ার হাসপাতাল থেকে ঢাকার গেণ্ডারিয়া আজগর আলী হাসপাতালে তাকে প্রেরণ করার পর গতকাল সোমবার ভোরে তিনি মারা যান।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, নিহত আমান্তিকার লাশ দুপুরে একটি এম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হয়েছে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালের সামনে। রোগী মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ডা. নূরজাহানকে খুঁজতে থাকে। সেখানে তাকে না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ স্বজনরা হাসপাতালের পরীক্ষাগার ও দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এদিকে আমান্তিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।
নিহত আমান্তিকার স্বামী মো. পিন্টু মিয়া জানান, বন্দর উপজেলার কল্যাণদী গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে আমান্তিকার সঙ্গে ২০১৮ সালের ৩রা আগস্ট তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রীকে হারাতে হয়েছে। তিনদিনের মাথায় তার কন্যাসন্তান এতিম হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে দোষী ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেন তিনি।
নিহতের বাবা সোহেল মিয়া জানান, শুক্রবার আমার মেয়েকে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ডাক্তার সিজার করার পরামর্শ দেন। জরুরি সিজার না করলে মা ও পেটের সন্তান মারা যাবে বলে জানান। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী আমরা সিজারের সিদ্ধান্ত নিই। ওইদিন ডাক্তার নূরজাহান তাড়াহুড়া করে সিজারের পর পেটে গজ কাপড় রেখেই সেলাই করায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল ভাঙচুর হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠালে বিক্ষুদ্ধ স্বজনদের পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ব্যাপারে উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।