বাংলারজমিন
মির্জাগঞ্জে নদীতীরে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) থেকে
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শ্রীমন্ত নদীর তীর দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় নদী ক্রমশই ছোট হয়ে আসছে। ফলে একসময় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলমগ্ন হয়ে পরবে পুরো এলাকা এমনই অভিযোগ স্থানীয়দে। উপজেলার পূর্বসুবিদখালী লঞ্চঘাট এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শ্রীমন্ত নদী। নদীর বড় একটা অংশ দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছে উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের মৃত মো. মহিউদ্দিন সিকদারের ছেলে মো. ফারুক হোসেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্থায়ীভাবে কলম গেঁথে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রায়ই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যেন দেখার কেউ নেই। অথচ যেখানে এই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে তার একেবারে কাছেই উপজেলা ভূমি অফিস। এভাবে নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকলে নদীটা ছোট হয়ে পড়বে। সামান্য বন্যা হলেই নদীর দু’কূল ছাপিয়ে পানি লোকালয় ঢুকবে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। তাই নদী রক্ষার্থে অবৈধ স্থায়ী পাকা স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানান তারা। এ ব্যাপারে ফারুক হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, স্থাপনা নির্মাণের জন্য কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। তবে অফিস থেকে অনুমতির জন্য আবেদন করতে বলেছে। পরে অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের সর্ভেয়ার মো. বেলায়েত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাকা স্থাপনার ব্যাপারে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি কিছু জমি লিজ নিয়েছেন। তবে পাকা স্থাপনা নির্মাণের জন্য কোনো অনুমতি নেননি।
অনুমতি নেয়ার জন্য তাকে বলা হয়েছে। উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. মনজুরুল হোসেন বলেন, সার্ভেয়ার বেলায়েত হোসেনকে সরজমিনে পাঠানো হয়েছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুমতি নেয়ার জন্য তাকে বলা হয়েছে। উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. মনজুরুল হোসেন বলেন, সার্ভেয়ার বেলায়েত হোসেনকে সরজমিনে পাঠানো হয়েছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।