বাংলারজমিন
দুর্নীতির মামলায় সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন কারাগারে
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:২৪ পূর্বাহ্ন
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে ১৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত। গতকাল সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এর আদালত এ আদেশ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে হয়রানি না করার নির্দেশনা ছিল। তিনি সাতক্ষীরা দায়রা জজ আদালতে গতকাল সকালে জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ না হওয়ায় পরে সেটি প্রত্যাহার করে নেন। গতকাল সকালে তিনি সাতক্ষীরা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ১৮ কোটি টাকার মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতির ঘটনা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের পক্ষে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামি সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন তৌহিদুর রহমানসহ ৯ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সূত্র জানায়, পুলিশের বিশেষ শাখা (ইমিগ্রেশন) বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, মামলার এসব আসামি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন বলে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জেনেছে। তাই তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রয়োজন। ৯ই জুলাই ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন। এ মামলার আসামিরা হচ্ছেন সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদুর রহমান, স্টোর কিপার একেএম ফজলুল হক, হিসাররক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনসহ ৯ জন। মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যন্ত্রপাতির কোনো ধরনের চাহিদাপত্র না থাকা সত্ত্বেও যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ নেন। জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয়, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে দরপত্র আহ্বান, দরপত্র সংগ্রহ, দরপত্র মূল্যায়ন ও কার্যাদেশ দিয়ে তিনটি মিথ্যা বিলের বিপরীতে মোট ১৬ কোটি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৮২৭ টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এ মামলার আসামি হিসাবরক্ষক আনোয়ার হোসেন ইতিমধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে আছেন।