এক্সক্লুসিভ
কর্ণফুলীতে বিদেশি দুই ফিশিং ট্রলার নিয়ে তোলপাড়
ইব্রাহিম খলিল, চট্টগ্রাম থেকে
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:১৮ পূর্বাহ্ন
নষ্ট ইঞ্জিন মেরামতের কথা বলেছিল ক্যামেরুনের পতাকাবাহী দুইটি ফিশিং ট্রলারের নাবিকরা। সাত দিন সময় চেয়ে কর্ণফুলী নদীতে প্রবেশ করে তারা। কিন্তু অনুমোদিত সময় পার হওয়ার পরও কোনো মেরামত কাজ না করায় ট্রলার দুটি নিয়ে রহস্য দানা বাঁধে। আর এ নিয়ে চট্টগ্রামে চলছে তোলপাড়।
এ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ও। তাই ট্রলার দুটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের রহস্য জানতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া মানব ও মাদক পাচারে জাহাজ দুইটির সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ইন্টারপোল পুলিশ সদর দপ্তরেও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এমন তথ্য দিয়েছেন কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর মাহমুদ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লে. কমান্ডার এম. সাইফুল ইসলাম।
ওসি আলমগীর মাহমুদ বলেন, ইঞ্জিন মেরামতের অনুমোদিত মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২রা সেপ্টেম্বর পুলিশ ট্রলার দুইটিতে তল্লাশি চালায়। জাহাজ দুটোতে এ সময় কিছু মাছ ধরার জাল ছিল। তবে তারা কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছে আমরা এখনো ক্লিয়ার না। সন্দেহজনক হওয়ায় তারা যাতে মুভ করতে না পারে, কোনো জিনিস আনলোড করতে না পারে সেজন্য ট্রলারগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমসসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লে. কমান্ডার এম. সাইফুল ইসলাম জানান, নষ্ট ইঞ্জিন মেরামতের নামে বাংলাদেশের জলসীমায় আসা সিউইন্ড ও সিভিউ ফিশিং জাহাজ দুইটি কর্ণফুলী নদীর তীরে কন্টিনেন্টাল (কন্টিনেন্টাল মেরিন ফিশারিজ লিমিটেড) জেটির ভিতরে রাখা হয়েছে।
অনুমোদিত সময়ে জাহাজ দুইটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেয়ার কারণে এর আগে গত ২৮শে আগস্ট জাহাজ দু’টিতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এ সময় জাহাজে নাবিক হিসেবে ৮ জন থাই ও ৮ জন কোম্বোডিয়ান নাগরিক ছিল। তাদের সাথে বন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে শোর পাস ছিল।
লে. কমান্ডার এম. সাইফুল ইসলাম বলেন, অনুসন্ধান করে আমরা জানতে পারি এই জাহাজ দুইটি ছিল মূলত থাই জাহাজ। বেশ কয়েকবার মালিকানা বদল হয়ে সোমালিয়া, সর্বশেষ ক্যামেরুনের পতাকা বহন করছে। ২০১৮ সালে জাহাজ দুটি ইন্ডিয়ান ওশান টুনা কমিশনের (আইওটিসি) ইলিগ্যাল, আনরিপোর্টেড এবং আনরেগুলেটেড ফিশিংয়ের (আইইউইউ) তালিকাভুক্ত হয়। জাহাজ দুইটি মানব-মাদক পাচার ও আইইউইউ ফিশিংয়ে অভিযুক্ত হওয়ায় কারণে থাই সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারপোলকে অবহিত করা হয়।
সূত্র জানায়, জাহাজ দুটির স্থানীয় এজেন্ট ইন্টারমোডাল প্রাইভেট লিমিটেড। সি উইন্ডের দৈর্ঘ্য ৪৬ মিটার ও সিভিউর দৈর্ঘ্য ৪৫ মিটার। গত ২০শে আগস্ট ট্রলার দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙর করে। কাস্টমসের কাছে জাহাজের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ জালের তথ্য গোপন করে ২১শে আগস্ট থেকে ট্রলার দুটি কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে কন্টিনেন্টালের (কন্টিনেন্টাল মেরিন ফিশারিজ লিমিটেড) জেটিতে আছে। স্থানীয় এজেন্ট জাহাজ দুটি মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশ অনুযায়ী এনেছেন বলে দাবি করেছেন।
তবে আইন অনুযায়ী জাহাজ এভাবে আসার সুযোগ নেই। জাহাজ দুটির কাগজপত্রে অনেক ত্রুটি আছে। পোর্ট ক্লিয়ারেন্স পরিবর্তন করা হয়েছে। অর্থাৎ এক জাহাজের পরিবর্তে এই জাহাজের নাম যোগ করা হয়েছে। পোর্ট ক্লিয়ারেন্স অনুযায়ী জাহাজের কম্বোডিয়া যাওয়ার কথা। সেখানে জাহাজ কীভাবে বাংলাদেশের জলসীমায় এলো সেই বিষয়ে স্থানীয় এজেন্ট কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। মেরামতের কথা বলা হলেও জাহাজে কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি।
সূত্র আরো জানায়, সিউইন্ড এবং সিভিউ নামের ওই মাছ ধরার ট্রলার দুইটি মেরামতের অনুমতি নিয়ে গত ২০শে আগস্ট বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের একটি জেটিতে বার্থ করে। গত ২৬শে আগস্ট অনুমোদিত মেয়াদ অতিক্রান্ত হয়েছে। মেয়াদসীমায় কোনো মেরামত কাজ না করায় এবং সন্দেহজনক আচরণের কারণে প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। জাহাজ দুইটিতে পুলিশের সার্বক্ষণিক পাহারা বসানো হয়েছে।
এদিকে, জাহাজ দুইটির উদ্দেশ্য ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে একটি কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসমপদ মন্ত্রণালয়। রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় দুটি বিদেশি জাহাজের অনুপ্রবেশের বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সভা শেষে মৎস্য ও প্রাণিসমপদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মাছ ধরার ট্রলার দুটি মিথ্যা ডিক্লারেশন দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। আমরা সেটা ইনকোয়ারি করে ধরতে পারছি। আমরা এখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং করেছি। মিটিংয়ে কাস্টমসের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে।
এ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ও। তাই ট্রলার দুটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের রহস্য জানতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া মানব ও মাদক পাচারে জাহাজ দুইটির সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ইন্টারপোল পুলিশ সদর দপ্তরেও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এমন তথ্য দিয়েছেন কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর মাহমুদ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লে. কমান্ডার এম. সাইফুল ইসলাম।
ওসি আলমগীর মাহমুদ বলেন, ইঞ্জিন মেরামতের অনুমোদিত মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২রা সেপ্টেম্বর পুলিশ ট্রলার দুইটিতে তল্লাশি চালায়। জাহাজ দুটোতে এ সময় কিছু মাছ ধরার জাল ছিল। তবে তারা কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছে আমরা এখনো ক্লিয়ার না। সন্দেহজনক হওয়ায় তারা যাতে মুভ করতে না পারে, কোনো জিনিস আনলোড করতে না পারে সেজন্য ট্রলারগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমসসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লে. কমান্ডার এম. সাইফুল ইসলাম জানান, নষ্ট ইঞ্জিন মেরামতের নামে বাংলাদেশের জলসীমায় আসা সিউইন্ড ও সিভিউ ফিশিং জাহাজ দুইটি কর্ণফুলী নদীর তীরে কন্টিনেন্টাল (কন্টিনেন্টাল মেরিন ফিশারিজ লিমিটেড) জেটির ভিতরে রাখা হয়েছে।
অনুমোদিত সময়ে জাহাজ দুইটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেয়ার কারণে এর আগে গত ২৮শে আগস্ট জাহাজ দু’টিতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এ সময় জাহাজে নাবিক হিসেবে ৮ জন থাই ও ৮ জন কোম্বোডিয়ান নাগরিক ছিল। তাদের সাথে বন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে শোর পাস ছিল।
লে. কমান্ডার এম. সাইফুল ইসলাম বলেন, অনুসন্ধান করে আমরা জানতে পারি এই জাহাজ দুইটি ছিল মূলত থাই জাহাজ। বেশ কয়েকবার মালিকানা বদল হয়ে সোমালিয়া, সর্বশেষ ক্যামেরুনের পতাকা বহন করছে। ২০১৮ সালে জাহাজ দুটি ইন্ডিয়ান ওশান টুনা কমিশনের (আইওটিসি) ইলিগ্যাল, আনরিপোর্টেড এবং আনরেগুলেটেড ফিশিংয়ের (আইইউইউ) তালিকাভুক্ত হয়। জাহাজ দুইটি মানব-মাদক পাচার ও আইইউইউ ফিশিংয়ে অভিযুক্ত হওয়ায় কারণে থাই সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারপোলকে অবহিত করা হয়।
সূত্র জানায়, জাহাজ দুটির স্থানীয় এজেন্ট ইন্টারমোডাল প্রাইভেট লিমিটেড। সি উইন্ডের দৈর্ঘ্য ৪৬ মিটার ও সিভিউর দৈর্ঘ্য ৪৫ মিটার। গত ২০শে আগস্ট ট্রলার দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙর করে। কাস্টমসের কাছে জাহাজের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ জালের তথ্য গোপন করে ২১শে আগস্ট থেকে ট্রলার দুটি কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে কন্টিনেন্টালের (কন্টিনেন্টাল মেরিন ফিশারিজ লিমিটেড) জেটিতে আছে। স্থানীয় এজেন্ট জাহাজ দুটি মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশ অনুযায়ী এনেছেন বলে দাবি করেছেন।
তবে আইন অনুযায়ী জাহাজ এভাবে আসার সুযোগ নেই। জাহাজ দুটির কাগজপত্রে অনেক ত্রুটি আছে। পোর্ট ক্লিয়ারেন্স পরিবর্তন করা হয়েছে। অর্থাৎ এক জাহাজের পরিবর্তে এই জাহাজের নাম যোগ করা হয়েছে। পোর্ট ক্লিয়ারেন্স অনুযায়ী জাহাজের কম্বোডিয়া যাওয়ার কথা। সেখানে জাহাজ কীভাবে বাংলাদেশের জলসীমায় এলো সেই বিষয়ে স্থানীয় এজেন্ট কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। মেরামতের কথা বলা হলেও জাহাজে কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি।
সূত্র আরো জানায়, সিউইন্ড এবং সিভিউ নামের ওই মাছ ধরার ট্রলার দুইটি মেরামতের অনুমতি নিয়ে গত ২০শে আগস্ট বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের একটি জেটিতে বার্থ করে। গত ২৬শে আগস্ট অনুমোদিত মেয়াদ অতিক্রান্ত হয়েছে। মেয়াদসীমায় কোনো মেরামত কাজ না করায় এবং সন্দেহজনক আচরণের কারণে প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। জাহাজ দুইটিতে পুলিশের সার্বক্ষণিক পাহারা বসানো হয়েছে।
এদিকে, জাহাজ দুইটির উদ্দেশ্য ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে একটি কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসমপদ মন্ত্রণালয়। রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় দুটি বিদেশি জাহাজের অনুপ্রবেশের বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সভা শেষে মৎস্য ও প্রাণিসমপদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মাছ ধরার ট্রলার দুটি মিথ্যা ডিক্লারেশন দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। আমরা সেটা ইনকোয়ারি করে ধরতে পারছি। আমরা এখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং করেছি। মিটিংয়ে কাস্টমসের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে।